ঢাকা , বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ , ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে-আলী রীয়াজ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বদলিতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন রাস্তায় অভিনেতাকে সিদ্দিককে গণপিটুনি কারিগরি শিক্ষার্থীরা যা শিখছেন, চাকরির বাজারে তার চাহিদা নেই -সিপিডি আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটের প্রস্তুতি চলছে : সিইসি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে গড়িমসি অপকর্ম বন্ধ করুন, নইলে বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে -নেতাকর্মীদের ফখরুল সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান বইপ্রেমী এক ডিসির গল্প গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোন ই-৮ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলেন ২৫ কর্মী পুলিশের জন্য ১৭২ কোটি টাকায় কেনা হবে ২০০ জিপ সামাজিক সুরক্ষায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাখ ২৪ হাজার উপকারভোগী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে লিপ্ত থাকার অভিযোগ গ্যাস খাতে বছরে আর্থিক ক্ষতি বিলিয়ন ডলার নতুন লুকে নজর কাড়লেন ব্লেক লাইভলি

মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগ জিতিয়েছে ট্রাম্পকে

  • আপলোড সময় : ০৭-১১-২০২৪ ১২:৫৫:০৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-১১-২০২৪ ১২:৫৫:০৫ পূর্বাহ্ন
মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগ জিতিয়েছে ট্রাম্পকে

এবারের নির্বাচনি প্রচারের সময় বিভিন্ন জনমত জরিপে আমেরিকানদের প্রায় অর্ধেকই বলেছিলেন, চারবছর আগের তুলনায় এখন তারা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে খারাপ অবস্থায় আছেন
জনতা ডেস্ক
১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিল ক্লিনটনের প্রচার কৌশলবিদ জেমস কারভিলের একটি উক্তি বিখ্যাত হয়ে আছে। তার ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মূলত প্রাধান্য পায় ‘অর্থনীতি আর বোকারা!’
আর যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররাও অন্য কোনও বিষয়ের চেয়ে অর্থনীতিকেই বেশি আমলে নেয়। এবারের নির্বাচনি প্রচারের সময় বিভিন্ন জনমত জরিপে আমেরিকানদের প্রায় অর্ধেকই বলেছিলেন, চারবছর আগের তুলনায় এখন তারা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে খারাপ অবস্থায় আছেন।
সুতরাং দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাদের কাকে পছন্দ তা খুব স্পষ্টই ছিল। সেটি হচ্ছেন: রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার ভোটের পর ফক্স নিউজ দোদুল্যমান তিন রাজ্য পেনসিলভেইনিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং জর্জিয়ায় ট্রাম্পের জয়ের পূর্বাভাস দেওয়ার পর তিনি জয় ঘোষণা করেন। বাকি আরও ৪ টি দোদুল্যমান রাজ্যে তিনি এগিয়ে ছিলেন। এরপর উইসকনসিনে জয়ের মধ্য দিয়ে ২৭০ ইলোকটোরাল ভোটের ম্যাজিক নম্বর ছাড়িয়ে গেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প।
এডিসন রিসার্চ এর জাতীয় বুথফেরত জরিপের তথ্যে দেখা গেছে, অর্থনীতি ইস্যুটিকে শীর্ষে রেখেছে ৩১ শতাংশ ভোটার। আর ৩৫ শতাংশ ভোটার দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অর্থাৎ, অর্থনীতি আছে দ্বিতীয় স্থানে। আর যেসব ভোটারের কাছে অর্থনীতিই প্রধান উদ্বেগের বিষয় তারা ব্যাপকভাবে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে। এ সংখ্যা ট্রাম্পের পক্ষে ৭৯ শতাংশ এবং হ্যারিসের পক্ষে ২০ শতাংশ।
অন্যদিকে, গত কয়েকবছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভোটারদের স্পষ্ট উদ্বেগ তাদেরকে ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার দিকে চালিত করেছে। ফলে সামগ্রিকভাবে কেবল অর্থনীতি নয়, মূল্যস্ফীতির বিষয়টি ট্রাম্পকে জেতাতে চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করেছে।
ভোটারদের অর্ধেকেরও বেশি বলেছে, গতবছরে তারা মূল্যস্ফীতির কারণে দুরবস্থায় ছিলেন। আবার প্রায় চারজনে একজন আমেরিকানই বলেছেন, তারা মূল্যস্ফীতির কারণে মারাত্মক দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে গেছেন।
যে সব ভোটার বলেছেন, তাদেরকে মূল্যস্ফীতির কারণে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাদের অনেকেই ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকেছেন। এ সংখ্যা ৫০ শতাংশ থেকে ৪৭ শতাংশ। আর মারাত্মক কষ্টের মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা বলা ৭৩ শতাংশ ভোটার ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন।
এডিসনের বুথ ফেরত জরিপের তথ্য বলছে, দেশজুড়ে ৪৫ শতাংশ ভোটার বলেছেন, তাদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা চারবছর আগের তুলনায় এখন বেশি খারাপ গেছে। ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।
এই ভোটাররা হ্যারিসকে ভোট না দিয়ে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। ট্রাম্পের পক্ষে পড়েছে ৮০ শতাংশ ভোট। আর হ্যারিস পেয়েছেন ১৭ শতাংশ ভোট।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ