ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এস এইচ কে এস সি শিক্ষার্থীদের ‘হ্যাপি ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠিত করদাতার ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টির শঙ্কা নারায়ণগঞ্জে গুলি করে কুপিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নেই- দুদু কানাডা প্রবাসীদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু অর্থনীতিতে অশনি সংকেত শত শত কারখানা বন্ধ এপিবিএন অধিনায়কের প্রত্যাহারচাওয়া নিয়ে তোলপাড় নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি শাহজাহানপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২ গণপরিবহনে সংরক্ষিত হচ্ছে না যাত্রীদের অধিকার জাবি শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের দাফন সম্পন্ন জাকসুর ফল প্রকাশে বিলম্ব ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন হবে-প্রেস সচিব বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি তিনজন কারাগারে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রবেশ পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি রোড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ এক্সিবিশনে যৌথ সক্ষমতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে-বাণিজ্য উপদেষ্টা স্বস্তি নেই সবজির দামে নিত্যপণ্যের দাম চড়া রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ বিশ্বকাপের টিকেট না পাওয়ায় বরখাস্ত হলো ভেনেজুয়েলা ও পেরুর কোচ
সাবেক সিইসি মোহাম্মদ আবু হেনা

সিস্টেম পরিবর্তন না করেও নির্বাচন সম্ভব

  • আপলোড সময় : ১২-১১-২০২৪ ০২:৪৮:০৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-১১-২০২৪ ০২:৪৮:০৮ অপরাহ্ন
সিস্টেম পরিবর্তন না করেও নির্বাচন সম্ভব
স্টাফ রিপোর্টার
বর্তমান সিস্টেম পরিবর্তন না করেও কার্যকর নির্বাচন করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মোহাম্মদ আবু হেনা।
গতকাল সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন মোহাম্মদ আবু হেনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, যোগ্য সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার দরকার। তা না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়নও দরকার।
কী মতামত দিয়েছেন এমন প্রশ্নে সাবেক সিইসি আবু হেনা বলেন, কমিশনের আমন্ত্রণে এসেছি। আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। আমি ১৯৯২ সালের ১২ জুন সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা করেছি। এই সুযোগের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। আমাদের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা হতাহত হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। আগামী নির্বাচন নিয়ে আমার সুপারিশ কিছু আছে। আমি তাদের বলেছি, আশা করি তারা বিবেচনা করবেন। আমার সবচেয়ে বড় কথা হলো আমি চাই দেশে আগামীতে যে নির্বাচন হবে, সেগুলো সাধারণ বা অন্যান্য নির্বাচন যাই হোক, সেগুলো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় এবং দেশের কল্যাণ যেন হয়।
তিনি বলেন, আইন যতই ভালোই হোক না কেন, প্রয়োগ না হলে সুফল আসে না। যত রিফর্ম করেন না কেন, নির্বাচন কমিশনে যোগ্য মানুষ দরকার, যোগ্য কমিশন দরকার। যোগ্য সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনার দরকার। তারা যদি যোগ্য না হন তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আর আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়ন দরকার। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রার্থী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার দরকার। ওপর থেকে আরোপ করা নয়। নিচে থেকে ওঠে আসতে হবে। ভোটের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনের মাধ্যেম যোগ্য প্রার্থী দিতে হবে। এটা যদি সবগুলো দল বাস্তবায়ন করে তবে দেশের জন্য কল্যাণ হবে।
আবু হেনা বলেন, আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই। এই সিস্টেমই কার্যকর হতে পারে। নতুন কোনো সিস্টেম দরকার আছে বলে মনে করি না। যেসব দেশে সংখ্যানুপাতিক সিস্টেম আছে, সেসব দেশে যে এটা ভালোভাবে চলছে এটা মনে করবেন না। এটা আমি জানি। আমাদের যে সিস্টেম আছে, যেটা মানুষের কাছে পরীক্ষিত এই সিস্টেমই কার্যকর করে তোলা দরকার। এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। সংসদ কয় কক্ষের হবে এটা দলগুলোর ওপর ছেড়ে দেওয়া ভালো।
সাবেক এই সিইসি বলেন, আইন খালি সংশোধন করলেই হয় না। আইনের প্রয়োগ দরকার যোগ্য লোককে দিয়ে। কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই সুনাম আছে এরকম লোক দরকার। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিটমেন্ট থাকলে সেটা করা যায়।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, উনি যা বলেছেন আমরা এতে উৎসাহিত হয়েছি। উনি বলেছেন আমরা সঠিক পথেই আছি। উনার অভিজ্ঞতার আলোকে সঠিক আছে। আমরা আইন-কানুন গভীরভাবে পর্যালোচনা করছি। আমাদের অগ্রগতি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। দলগুলোর কিছু মতামত পেয়েছি। গণমাধ্যমের সঙ্গেও বসবো।
তিনি বলেন, অনেক ধরনের মতামত আছে। এক্ষেত্রে অনেক মতামত বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিশনের সঙ্গেও বসবেন বলে জানান তিনি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স