ঢাকা , সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার পদত্যাগ ঈদের লম্বা ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দরে শিডিউল বিপর্যয় অবৈধভাবে ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগে টিউলিপকে দুদকের তলব আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিহত দুই কর্মীকে নিয়ে জামায়াত-বিএনপি ঠেলাঠেলি মোসাদের দুই গুপ্তচরকে আটক করেছে ইরান ১০ দিনের ছুটি শেষে খুলেছে সরকারি অফিস খেলাপি ঋণ ছাড়াল ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা যারা খেলে খেলুক আমরা শুধু রেফারি হয়ে কাজ করব-সিইসি এনটিআরসিএতে অবস্থান নিয়েছেন ভাইভায় ফেল করা প্রার্থীরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পুলিশের লাঠিচার্জ মানবিক পুলিশ চাচ্ছি আমরা, সবার সঙ্গে যেন ভালো ব্যবহার করে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পাচার অর্থ ফেরাতে সরকার চাইলে এখনই আইনজীবী নিয়োগ সম্ভব-গভর্নর শেষ মুহূর্তে রাজধানীতে মানুষের স্রোত গ্যাস সিলিন্ডারজনিত অগ্নি দুর্ঘটনা বাড়ছে কারাগারে ‘ফাঁস নিলেন’ বিরুলিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান সুজন আজ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার জরুরি বৈঠকের ডাক ইরানের হামলায় তছনছ ইসরায়েল করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা নকলমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশনা ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক-প্রেস সচিব

শুল্ক ছাড় আমদানির পরও অস্থির পেঁয়াজের বাজার

  • আপলোড সময় : ১৮-১১-২০২৪ ১১:০১:৫৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-১১-২০২৪ ১১:০১:৫৩ অপরাহ্ন
শুল্ক ছাড় আমদানির পরও অস্থির পেঁয়াজের বাজার
শুল্ক ছাড়ের সুবিধা ও বিপুল পরিমাণ আমদানি কমছে না পেঁয়াজের দাম। কোনোভাবেই কাটছে না পেঁয়াজের বাজার অস্থিরতা। বরং কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজের দর বেশি বাড়তে থাকায় আমদানি পেঁয়াজের ওপর এর প্রভাব পড়ছে। যদিও প্রতিদিন দেশে ঢুকছে শত শত ট্রাক পেঁয়াজ। ব্যবসায়ীদের মতে, প্রতিবছর এ সময় দেশি পেঁয়াজের মজুত ফুরিয়ে আসে। ফলে দর বাড়ে। দেশি পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে হয় আমদানি পেঁয়াজে। কিন্তু বর্তমানে পেঁয়াজ নিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক দেশে ঢুকলেও বন্দরে দর বেশি। তবে বন্দর এলাকার বাজারে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তদারকি জোরদার করা হলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসতো। ব্যবসায়ীদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, খুচরা বাজারে এখন প্রতি কেজি দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। সপ্তাহ দুয়েক আগে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ১৩০ টাকার মতো। এছাড়া দুই সপ্তাহ আগে ভারতীয় পেঁয়াজ ছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। তবে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি অন্য দেশের পেঁয়াজও রয়েছে। এর মধ্যে খুচরা ব্যবসায়ীরা মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০, তুরস্কের পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ এবং চীনা পেঁয়াজের কেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করছে। সরকারি সংস্থা টিসিবির তথ্যানুযায়ী গত এক মাসে দেশি পেঁয়াজের দর ৩০ এবং আমদানি করা পেঁয়াজের দর ৮ শতাংশ বেড়েছে। সূত্র জানায়, কিছুদিন পরই বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসা শুরু হবে। তখন বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে। তবে এর আগ পর্যন্ত আমদানি অব্যাহত রাখতে হবে। নাহলে বাজারের অস্থিরতা কাটবে না। বর্তমানে হিলি বন্দর এলাকায় পেঁয়াজের বাজারে নিয়ন্ত্রণ নেই। ভারতের রপ্তানিকারকরা মূল মুনাফা নিয়ে যাচ্ছে। দর বাড়লে তাদেরই লাভ বেশি। তবে সরকার যদি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বন্দর-সংশ্লিষ্ট বাজারে তদারকি জোরদার করে, তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে। কারণ ৬০০ ডলারে প্রতি টন পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়। ওই হিসাবে প্রতি কেজির দর পড়ে ৭৩ টাকার মতো। এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক খরচ ও মুনাফা যোগ করলে পাইকারি পর্যায়ে ৭৫ টাকা হওয়ার কথা। এর চেয়ে বেশি মুনাফা করলেও পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজির দর সর্বোচ্চ ৮০ টাকা হতে পারে। তবে বন্দরেই প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। ওই পেঁয়াজ ঢাকায় গেলে ১২০ টাকা হওয়া স্বাভাবিক। জোর তদারকি না থাকায় বন্দর এলাকায় কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা মুনাফা লুটছে ভারতীয় ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। এ প্রসঙ্গে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুনুর রশিদ জানান, এখন ভারতে পেঁয়াজের দর বেশি। তবে এখানে বেশির ভাগ ব্যবসায়ী ভারতীয় পেঁয়াজে কমিশনে ব্যবসা করে। সে ক্ষেত্রে পেঁয়াজের দর বাড়লেও একই কমিশন মেলে। বর্তমানে আমদানি করা পেঁয়াজের সংকট নেই। শুধু ভারত থেকেই বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে দৈনিক অন্তত ১৫০ ট্রাক পেঁয়াজ আসে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের তদারকি দুর্বল। সেজন্যই পেঁয়াজে বাজারে এমন বিশৃঙ্খলা চলছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স