ঢাকা , বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ , ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে-আলী রীয়াজ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বদলিতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন রাস্তায় অভিনেতাকে সিদ্দিককে গণপিটুনি কারিগরি শিক্ষার্থীরা যা শিখছেন, চাকরির বাজারে তার চাহিদা নেই -সিপিডি আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটের প্রস্তুতি চলছে : সিইসি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে গড়িমসি অপকর্ম বন্ধ করুন, নইলে বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে -নেতাকর্মীদের ফখরুল সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান বইপ্রেমী এক ডিসির গল্প গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোন ই-৮ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলেন ২৫ কর্মী পুলিশের জন্য ১৭২ কোটি টাকায় কেনা হবে ২০০ জিপ সামাজিক সুরক্ষায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাখ ২৪ হাজার উপকারভোগী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে লিপ্ত থাকার অভিযোগ গ্যাস খাতে বছরে আর্থিক ক্ষতি বিলিয়ন ডলার নতুন লুকে নজর কাড়লেন ব্লেক লাইভলি

স্বামীকে মৃত দেখিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলাকারী নারী গ্রেফতার

  • আপলোড সময় : ২৩-১১-২০২৪ ০১:০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-১১-২০২৪ ০১:০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
স্বামীকে মৃত দেখিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলাকারী নারী গ্রেফতার
সাভার প্রতিনিধি
সাভারের আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিজের জীবিত স্বামী আল আমিন মিয়াকে (২২) মৃত দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরকারী কুলসুম বেগম (২১) ও তার দুই সহযোগী শফিকুর এবং রুহুল আমীনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ওসি আবু বকর। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারের আলেকজাহান এসএম পাড়ার মোস্তাক আহমেদের বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে রাতেই আশুলিয়া থানায় নিয়ে আসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই রকিবুল ইসলাম। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মিথ্যা মামলার কারিগর মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার টেপড়া গ্রামের মেছের আলীর ছেলে রুহুল আমীন, একই জেলার ঘিওর থানার ফুলহারা গ্রামের মৃত মাসুম আলীর ছেলে শফিকুর রহমান ও ঘিওর থানার স্বল্পসিংজুরি বাঙলা এলাকার আব্দুল খালেকের মেয়ে কুলসুম বেগম। মিথ্যা মামলার বাদী কুলসুম বেগম জানান, চার বছরের সন্তানকে নিয়ে স্বামী আল-আমীনের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি সিলেটে থাকতেন তিনি। গত ২৮ আগস্ট দাম্পত্য কলহের জেরে সিলেট থেকে সাভারে বোনের কাছে চলে আসেন কুলসুম। আসার পথে গাড়িতে শফিকুর রহমানের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং তিনি চাকরির জন্য সাভারে এসেছেন বলে জানান। এই সুযোগে শফিক কুলসুমকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রুহুল আমীনের কাছে নিয়ে যান। পরে রুহুল আমীন ও শফিকুর চাকরির জন্য জন্ম নিবন্ধন চেয়ে সাভারের সেনা শপিং কমপ্লেক্সে দেখা করেন। এ সময় তারা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে আমার স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মামলা প্রস্তুত করেছেন বলে আমাকে জানান। আমি রাজি না হলে তারা নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাকে আদালতে নিয়ে উকিলের সামনে কাগজে স্বাক্ষর নেন। রুহুল আমীন ও শফিকুর রহমান ব্ল্যাকমেইল করে মামলা করতে বাধ্য করেছেন এবং আমাকে কক্সবাজারে বাসা ভাড়া করে দিয়ে থাকতে বলেন। কুলসুমের বোন ফাতেমা বলেন, আমার বোনকে রুহুল আমীন নানাভাবে ভয় দেখিয়েছেন। তিনি মামলা, ফাঁসি এমনকি সবসময় রুহুলের কাছে পিস্তল থাকে বলে ভয়ভীতি দেখান। রুহুল আমীন বেশ কয়েকজনের নাম মামলা থেকে কেটে দিয়েছেন। সে সময় আমার ছোটবোনকে আদালতে নিয়ে যান তারা। তারা বলতেন যে অজ্ঞাত ছেলেটা মারা গেছে তিনি যেন বিচার পান সেজন্য এই মামলা দায়ের করেছেন। পরে বুঝতে পারি তারা একটি চক্র ও মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। আমার বোন আশুলিয়া কিংবা সাভারে থাকত না। সে থাকত সিলেটে। শফিক ও রুহুল আমার বোনকে ফাঁসিয়েছেন। অভিযুক্ত শফিকুর রহমান বলেন, কুলসুমের সঙ্গে আমার গাড়িতে পরিচয় হয়। পরে তাকে নিয়ে আমি রুহুল আমীনের কাছে যাই। তিনি মামলার সব কাজ করেছেন। অভিযুক্ত রুহুল আমীন বলেন, কুলসুমই আমার কাছে মামলা করার জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন। টাকার বিনিময়ে আসামির নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, মনোয়ার মাস্টার, বাশার, ইলিয়াস শাহী ও সারোয়ার তালুকদারের নাম মামলা থেকে বাতিলের জন্য এভিডেভিড করা হয়েছে। তবে তাদের কাছে কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। আশুলিয়া থানার এসআই রকিবুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে বাদীকে উদ্ধার করে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তারা জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। যে মামলায় আসামি করা হয়েছিল ১৩০ জনকে। অথচ বাদীর স্বামী এখনো বেঁচে আছেন এবং আদালতে উপস্থিত হয়ে আল-আমীন সব স্বীকার করেছেন। আশুলিয়া থানার ওসি আবু বকর বলেন, জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় শফিক, রুহুল আমীন ও কুলসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মিথ্যা মামলার বিষয়টি স্বীকার করেছে। আজ শনিবার মামলার বাদী কুলসুমকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য আদালতে পাঠানো হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি ছুড়া হলে অন্তত অর্ধশতাধিক লোক মারা যায়। তাদের মধ্যে বেওয়ারিশ হিসেবে একজনের লাশ দাফন করা হয়। সেই লাশটিকে নিজের স্বামী আল-আমিন দাবি করে ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন কুলসুম বেগম।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ