ঢাকা , শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫ , ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পরিবর্তন আসছে সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনায় সবাইকে ছাতার নিচে আনতে ভিত গড়ছে ঐকমত্য কমিশন জুনে ৩২৪টি রাজনৈতিক মিথ্যা তথ্য শনাক্ত : সিজিএস অন্তর্বর্তী সরকারের বিদায়ের সময় এসেছে-দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য গাজীপুরে আসন বাড়ছে কমছে বাগেরহাটে : ইসি ৩৯টি সংসদীয় আসনে আসছে পরিবর্তন : ইসি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে ১৫ সদস্যের কমিটি শান্তি মিশনে মানের দিক থেকে শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী-মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাশিয়ায় ভূমিকম্পের পর আঘাত হেনেছে সুনামি কুড়িগ্রামের উলিপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড জুলাইয়ের আহত-নিহতদের তালিকায় অসঙ্গতি পাওয়া গেছে-মুক্তিযোদ্ধা উপদেষ্টা সবুজায়ন স্বপ্নে খরা ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮৬ সড়কে আলু ফেলে নওগাঁর কৃষকদের মানববন্ধন রাজধানীতে মাসে ২০টিরও বেশি হত্যা ও ৫টি ডাকাতি হচ্ছে রিয়াদের বাসা থেকে আড়াই কোটির চেক-এফডিআর নথি উদ্ধার এনসিপির সমাবেশে হামলায় আরেক মামলা আসামি সাড়ে ৫ হাজার তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের বিবাদ মেটাতে হচ্ছে কমিটি : ধর্ম উপদেষ্টা ভয়াবহতার মূলে এডিস মশার অস্বাভাবিক প্রজনন

শঙ্কায় বই উৎসব

  • আপলোড সময় : ২৫-১১-২০২৪ ১২:১৭:১১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৫-১১-২০২৪ ১২:১৭:১১ পূর্বাহ্ন
শঙ্কায় বই উৎসব
* প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণির বই ছাপা শুরু
* ষষ্ঠ-নবম শ্রেণির বই ছাপা শুরু হতে পারে ডিসেম্বরে
* টেন্ডারের নিয়মে ছাপালে জানুয়ারিতেও মিলবে না বই
* ধারণার চেয়েও কম সময়ে কাজ শেষ হবে, আশা এনসিটিবির
* ডিসেম্বরের মধ্যে ৪০ কোটি ১৬ লাখ বই ছাপিয়ে স্কুলে স্কুলে পৌঁছে দেয়াটা ‘পাহাড়সম’ কঠিন

নতুন বইয়ের গন্ধ মেখে আনন্দ-উৎসবে বছর শুরু হয় শিক্ষার্থীদের। এবারও ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যবই তুলে দিতে কাজ করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে বই ছাপার কাজে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কিছু বই পাঠানো শুরুর সময়ে এবার ছাপা চলছে প্রাথমিকের বই। মাধ্যমিকেরটা আরও পিছিয়ে। বই উৎসব তাই এবার কিছুটা শঙ্কায়।
এনসিটিবি দ্রুততম সময়ে বই ছাপানো শেষ করার চেষ্টার কথা বললেও ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ৪০ কোটি ১৬ লাখ বই ছাপিয়ে তা স্কুলে স্কুলে পৌঁছে দেয়াটা ‘পাহাড়সম’ কঠিন। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা ঠিক কবে নাগাদ সব নতুন বই হাতে পাবে, তা নিয়েও নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছেন না খোদ এনসিটিবি কর্মকর্তারা। ফলে এবার বিবর্ণ হওয়ার শঙ্কায় ১ জানুয়ারির বহুল আকাক্সিক্ষত ‘বই উৎসব’। 
বই ছাপার কাজে এবার ‘অতি দেরি’ হওয়ার পেছনে নিজেদের কোনো ‘দায়’ দেখছেন না এনসিটিবির কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, পাঠ্যবই ছাপার কাজে এ বিলম্বের স্পষ্টই ‘সঙ্গত’ কারণ রয়েছে, যা শিক্ষার্থী-অভিভাবকরাও অবগত। বরং তাদের কর্মতৎপরতায় পাঠ্যবইয়ের বিপুল এ কর্মযজ্ঞ তুলনামূলক কম সময়ে শেষ করা সম্ভব হবে।
ছাপাখানায় প্রাথমিকের বই: ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৪০ কোটি ১৬ লাখ বই ছাপানোর কাজ করছে সরকার। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকের বইয়ের সংখ্যা ১২ কোটি ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫২টি।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বই ৯৮ লটে ছাপানো হবে, যার মধ্যে ৭০ লটের বই ৪১টি ছাপাখানায় পুরোদমে ছাপার কাজ চলমান। বাকি ২৮ লটের বই ২১ নভেম্বর সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। সেগুলোও দ্রুত ছাপার কাজ শুরু হবে। প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বইও ৯৮ লট। ৯৫ লটের বই ছাপার কাজের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়ের ক্রয় কমিটি। সেগুলো ছাপার কাজ করতে আর কোনো বাধা নেই। বাকি তিন লট ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী, ব্রেইল, শিক্ষক সহায়িকাসহ বিশেষ বই। এনসিটিবির উৎপাদন নিয়ন্ত্রক আবু নাসের টুকু বলেন, প্রাথমিকের সব বই এখন পুরোদমে ছাপার কাজ চলছে। আশা করি, প্রাথমিকের সবকটি বই বছরের প্রথমদিনে আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে পারবো।
মাধ্যমিকের পাঠ্যবই নিয়ে যত ‘শঙ্কা’: মাধ্যমিক পর্যায়ের অর্থাৎ, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এবার ২৮ কোটি ৬ লাখ ২২ হাজার ৩৩৭টি বই ছাপানো হবে। বিপুলসংখ্যক এ বই ছাপার কাজই এখনো শুরু করতে পারেনি এনসিটিবি।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, মাধ্যমিকের কোনো শ্রেণির বই এখনো ছাপাখানায় পাঠানো সম্ভব হয়নি। তবে সব শ্রেণির বইয়ের টেন্ডার হয়েছে। মাধ্যমিকের বইয়ের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলো-ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বইয়ের টেন্ডারের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে অনুমোদন হলে বই ছাপার কাজ শুরু হবে। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শুরুতে হয়তো ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বই ছাপাখানায় পাঠানো হতে পারে। অষ্টম-নবমের বই ছাপাখানায় পাঠাতে আরও দেরি হবে। জানুয়ারির শুরুতে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে কিছু বই পৌঁছাবে।
টেন্ডারের নিয়মে ছাপালে জানুয়ারিতেও বই মিলবে না: টেন্ডারের নিয়মে কাজ পাওয়ার পর মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো নির্দিষ্ট সময় পান। সেই সময়সীমা মেনে বই ছাপালে এবার জানুয়ারি মাসেও শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির নেতারা। মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান মো. রাব্বানি জব্বার বলেন, এবার সব কাজ দেরিতে হচ্ছে। কাজ পাওয়ার পর বই ডেলিভারি দেয়ার যে সময়সীমা, তা মেনে কাজ করলে শিক্ষার্থীদের হাতে এনসিটিবি জানুয়ারিতেও বই পাঠাতে পারবে কি না সন্দেহ। আমরা সার্বিক দিক বিবেচনায় দ্রুততম সময়ে কাজ শেষ করে দেয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে জানুয়ারির প্রথম দিন সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়াটা দুঃসাধ্য বলে মনে করেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসানও। তিনি বলেন, বই ছাপার কাজটা কেন দেরিতে শুরু হয়েছে বা হচ্ছে, তা কিন্তু সবাই অবগত। সেটা নিয়ে আমরা নতুন করে কোনো অজুহাত দিতেও চাই না। জানুয়ারির শুরুতে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে কিছু বই পৌঁছাবে। আর জানুয়ারি মাসের মধ্যেই সব বই আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে দিতে পারবো বলে বিশ্বাস করি। এটা করতে আমরা আমাদের কমিটমেন্ট ও ডেডিকেশনে কোনো ব্যত্যয় ঘটতে দেবো না। বাকিটা সময়ই বলে দেবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স