ঢাকা , শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ , ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
অন্তর্বর্তী সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরও সংকটে- রিজভী অবিলম্বে সাংবাদিক ছাঁটাই বন্ধসহ ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন চাপ সামাল দিতে পরিবহন সক্ষমতা বাড়াচ্ছে বেবিচক রমনা বটমূলে বোমা হামলা হাইকোর্টের রায় ৮ মে ৩০০ শিক্ষক ও গবেষককে সম্মাননা দিবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিএসইসির ২১ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার পরামর্শ এফবিসিসিআইয়ের দাম কমিয়েও ক্রেতা মিলছে না সিমেন্টের চিন্ময় দাসের জামিন চেম্বারে স্থগিত সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত-মির্জা ফখরুল যুদ্ধের দোরগোড়ায় পাকিস্তান-ভারত প্রস্তুতি থাকতে হবে যুদ্ধের রাজনৈতিক বিতর্ক ও আর্থিক সংশ্লেষ নেই এমন সংস্কার সুপারিশ ইসির রাজধানীতে পর পর তিনদিনে ৪ সমাবেশ আজ মহান মে দিবস রণতরী থেকে সমুদ্রে পড়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ৮১০ কোটির বিমান পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে জল্পনা-কল্পনা দাম আড়াই হাজার কোটির বেশি ইয়েমেনে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলা সামরিক অভিযানের সবুজ সংকেত মোদির
ফরিদপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান

ফকির বেলায়েত শতকোটি টাকার মালিক

  • আপলোড সময় : ২৫-১১-২০২৪ ১০:৩০:৪৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৫-১১-২০২৪ ১০:৩০:৪৯ অপরাহ্ন
ফকির বেলায়েত শতকোটি টাকার মালিক
ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফকির বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ বনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফকির বেলায়েত হোসেন কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন কানাইপুরের বিভিন্ন অসহায় লোকজনের থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
সূত্রে জানায়, তৎকালীন বেলায়েত হোসেন কানাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থাকা অবস্থায় এবং আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে শত শত উন্নয়নমূলক কাজের বাজেটের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা যায়। পরবর্তীতে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজনের জামাজমি দখল করতেন এই বেলায়েত হোসেন। আরো জানা যায়, অবৈধভাবে অর্জিত কালো টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ গত আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখে কমন কমিশন (দুদক) ফকির হোসেনর অনুসন্ধানের বিষয়ে নোটিশ জারি করেন।
দুদকের সূত্রে জানা যায়, ফকির হোসেন সাবেক চেয়ারম্যান কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ ফরিদপুর কর্তৃক ২,৮৬,৬৩,২৫৭ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হাওয়ায় তার বিরুদ্ধে পাশ্বে উল্লেখিত ধারায় (১)টি মামলা (এজাহার) দায়ের করা হয়েছে। নিম্নে তার অবৈধ জোর জুলুম করে জমিজমা ও অন্যান্য সম্পত্তি ক্রয় সংক্রান্ত তথ্য বিবরণী নিচে দেয়া হলো। ১.দলিল নং-১৭৭৭, তাং-৩ মার্চ ২০১৫ ইং, ৫৬নং অটিকানাইপুর মৌজায় ২৪ শতাংশ-১০০৮০০০-৮৫২০/ দাতা-অমিয়বালা শিকদার চম্পা, গ্রহীতা-ফকির মো. বেলায়েত হোসেন। ২. দলিল নং-৭০৫২, তাং-১১/০৯/২০১৭ ইং, ৫৬নং ভাটিকানাইপুর মৌজায় ১৬ শতাংশ জমি মূল্য-১৩১৪০০০-দাতা-কুর, গ্রহীতা- ফকির মো. বেলায়েত হোসেন। ৩. দলিল নং-৮১৭৬, তাং-১৮/১০/২০১৫ ইং ৬৬নং রনকালি মৌজায় ১১৯ শতাংশ জন্ম মূল্য-১৪৯০০০-দাতা-বাবুল দাস, গ্রহীতা-ফকির মো. বেলায়েত হোসেন। ৪. দলিল নং-১০৬৬৮, তাং-২৮/১২/২০১৭ ইং, ৫৬নং ভাটিকানাইপুর মৌজায় ১০ শতাংশ ক্রয় মূল্য-২০৬৮০০০। পাতা-নির্মল তুমার দাস, গ্রহীতা-ফবির মো. বেলায়েত হোসেন। ৫. দলিল নং-৪৪৩১, তাং-১৪/০৫/২০১৬ ইং, ৫৮নং নাউখোলা মৌজায় ৬৪ শতাংশ মূল্য- ১৪৫৫০০০/-দাতা-আব্দুল মান্নান বিশ্বাস, গ্রহিতা-ফকির মো. বেলায়েত হোসেন। ৬. দলিল নং-৮২০৪, তাং-১১/১০/২০১৫ ইং, ৬৬ নং রনকালি মৌজায় ২৪০ শতাংশ জন্য মূল্য-০০৫৩০০, দাতা-নিশু নন্দ দাস, গ্রহীতা-ফকির মো. বেলায়েত হোসেন।
৭.দলিল নং-৪৮৮০, তাং-১৪/০৬/২০১৭ ইং, ৫৬নং ভাটিকানাইপুর মৌজায় ১৬ শতাংশ ক্রয় মূল্য-১১৫৭০০০-দাতা-মো. আলমগীর বাবুল, গ্রহীতা-ফকির মো. বেলায়েত হোসেন। ৮. দলিল নং-৪৯০২, তাং-১৫/০৬/২০১৭ ইং, ৪৬নং কানাইপুর মৌজার ০১.২৫ শতাংশ (বাজারের গুদাম ঘর) ক্রয় মূল্য-৩৫৯০০০। দাতা-তাপস অধিকারী গং, গ্রহীতা-ফকির মো. বেলায়েত হোসেন। ৯. এলজিএসপি-এর বরাদ্দকৃত ২০১১ ইং হইতে ২০১৯ ইং পর্যন্ত আনুমানিক ৪ কোটি ৫ লাখ টাকার মেম্বারদের ভাগ না দিয়ে রেজুলেশনে জোর করে সহি নিয়া একাই উক্ত টাকা ভোগ করে। ১০. কানাইপুর বাজারে তার নামে মোট ০৭টি দোকান আছে। যাহার আনুমানিক মুল্য ৭ কোটি টাকা। ১১.ঢাকা বসুন্ধরায় ১টি ফ্ল্যাট আছে যাহার মুল্য ১ কোটি টাকা। ১২.১টি কোলো নোহা মাইক্রোবাস আছে, যাহার নাম্বার. ঢাকা-মেট্রো-ট-১৯-৬২৭৭। ১৩. লোচিডা লাল মাইক্রোবাস আছে যাহার নাম্বার. ঢাকা মেট্রো-চ-০১৯১।
উল্লেখিত মোট জমি ৪৯০.২৫ শতাংশ এবং মোট মূল্য ১২৫০৭০০০ কথায়: এক কোটি পচিশ লাখ সাত হাজার টাকা। ২০১৫ ইং থেকে ২০১৭ ইং সাল পর্যন্ত। বলাবাহুল্য, ২০১১ ইং সাল থেকে বর্তমান সাল পর্যন্ত তাহার নামে বেনামে আর আনুমানিক ৬০টি ক্রয়ের দলিল আছে যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বহুল আলোচিত ফরিদপুরের দুটেরা বরকত, রুবেল এর ২০০০ কোটি টাকার মানি লন্ডারিংসহ মোট ৭টি মামলার বরকত ও রুবেল ১৬৪ ধারার স্বীকার করেছে যে, ফকির মো. বেলায়েত হোসেন আমাদের সাথে জড়িত আছে। এ বিষয়ে বেলায়েত হোসেনকে ফোন করলে সে কোনো সারা দেয়নি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স