ঢাকা , বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ইশরাক-কায়কোবাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে আসিফ প্রতীকী মূল্যে সরকারি সম্পত্তি কাউকে দেওয়া হবে না-অর্থ উপদেষ্টা আমরা সংস্কারকে ভয় পাই না স্বাগত জানাই-মির্জা ফখরুল মবতন্ত্র দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে-গণসংহতি প্রেস কাউন্সিলে নতুন কমিটি, ১২ জনকে অন্তর্ভুক্ত বাস-ট্রাক চালকদের ভালো স্বাস্থ্য আমাদের সবার জন্য জরুরি ডানপন্থী রাজনীতিতে বেড়েছে দৃশ্যমানতা জুলাই শুধু স্বৈরাচার মুক্তির মাস নয়, এটা পুনর্জন্মের মাস : প্রধান উপদেষ্টা পুঁজিবাজারে কোটি টাকা হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে জলবায়ু পরিবর্তন-খাদ্য সংকটে হুমকিতে সুন্দরবনের বাঘ জুলাই সনদের খসড়ায় আপত্তি জানিয়েছে এনসিপি-জামায়াত বিচার নিয়ে আমাদের আন্তরিকতায় সন্দেহ রাখবেন না -আইন উপদেষ্টা নৈরাজ্যের শঙ্কা দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ১৬০ দিন পর কুয়েটে ক্লাস শুরু বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু ৯ জন উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ ৬ ‘খোলা জানালা’ সেবা চালু করেছে ‘ডিআরইউ’ বগুড়ায় কার্গো সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের অফিসে ডাকাতি সাড়ে ১৭ লাখ টাকা লুট ৩৯৩ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি মৃত্যু একজনের ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ নারীর লাশ ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার
সহিংসতায় শিক্ষা কার্যক্রম চালু নিয়ে অনিশ্চয়তা

বন্ধ হচ্ছে একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

  • আপলোড সময় : ২৮-১১-২০২৪ ১২:১৮:০৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-১১-২০২৪ ১২:১৮:০৮ পূর্বাহ্ন
বন্ধ হচ্ছে একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
শিক্ষার্থীদের সহিংসতার ঘটনায় একের পর এক বন্ধ হচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ। এ পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক (কলেজ) স্তরের আটটি প্রতিষ্ঠান এবং একটি ইংরেজি মাধ্যম প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কবে নাগাদ শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা যাবে তা সুনির্দিষ্ট করে জানাতে পারছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষকরা বলছেন, সহিংসতা বন্ধ করতে না পারলে কবে নাগাদ শিক্ষা কার্যক্রম চালু হবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
গত কয়েক দিনে সহিংসতা-ভাঙচুরের কারণে বন্ধ করা হয়েছে ঢাকা কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, দনিয়া কলেজ, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ। এছাড়া মঙ্গলবার সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির লটারিও স্থগিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ ও ২১ নভেম্বর ঢাকা সিটি কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংসতা ও সংঘর্ষে বন্ধ হয়ে যায় এই দুই প্রতিষ্ঠান। এর আগে আরও দুই দফা ঢাকা সিটি কলেজ বন্ধ করা হয়েছিল ছাত্রদের বিক্ষোভ এড়াতে। ভুল চিকিৎসায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ২৪ নভেম্বর ন্যাশনাল মেডিকেলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। ওইদিন রাজধানীর প্রায় ৩৭টি কলেজের শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ফটক অবরোধ ও ভাঙচুর করে। ২৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজে হামলার ‘প্রতিশোধ’ নিতে পরদিন ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে পাল্টা হামলা, ভাঙচুর ও শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়। এদিন সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় বন্ধ হয়ে যায় সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, দনিয়া কলেজ। সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলন করে গত ১৮ ও ১৯ নভেম্বর। আন্দোলন চলাকালে রেলপথ ও সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়। সহিংসতায় আহত হন নারী ও শিশু। আন্দোলনের কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয় কলেজটি। সর্বশেষ ২৬ নভেম্বর সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির লটারিও স্থগিত করে প্রতিষ্ঠানটি। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেষ্টা এবং প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আন্দোলন সহিংসতা থামানো হলেও কবে নাগাদ এসব প্রতিষ্ঠান খোলা হবে তার সঠিক তথ্য জানাতে পারছে না প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষ। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বলছেন, পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। শুরু হবে পাঠদান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে জানতে চাইলে কবি নজরুল সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা বাইরের ইন্ধনে এগুলো করছে। শিগগিরই ঠিক হয়ে যাবে আশা করি। সরকারি সিদ্ধান্ত ও পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিগগিরই খুলে দেয়া হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহিংসতা ও বন্ধে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, যেকোনও মূল্যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমমুখী করতে হবে। আর কোনও প্রতিষ্ঠানে যেন সহিংসতা ভাঙচুর না হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে, দ্রুত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেরাতে হবে। সহিংসতা ঠেকাতে সরকারকে কঠোর হতে হবে, তা না হলে শিক্ষা লাইনচ্যূত হয়ে যেতে পারে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স