ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বাস কম যাত্রী বেশি, বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না টিকিট বেনাপোলে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেয়া হবে না পরিবেশ উপদেষ্টা যৌথ বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধÑ খেলাফত মজলিস ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা গ্রেফতার মৌসুমি ফলে ভরপুর বাজার দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতাদের সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু রোগী ও স্বজনদের মারধর করলেন ওয়ার্ড বয় উত্তরায় র‌্যাবের পোশাক পরে ‘নগদ’ এজেন্টের কোটি টাকা ছিনতাই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ মানা হচ্ছে না নির্দেশনা নতুন করে সংকটের মুখে দেশের পোশাক খাত নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছেন-জামায়াত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক দেশে স্বস্তি এনেছে বললেন দুদু মামলার আগেই আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক, বড় পরিবর্তন আসছে আইনে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস আয়রন ডোম চুরমার ইসরায়েলি সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান ইরানের কাছে ধরাশায়ী ইসরায়েল
সহিংসতায় শিক্ষা কার্যক্রম চালু নিয়ে অনিশ্চয়তা

বন্ধ হচ্ছে একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

  • আপলোড সময় : ২৮-১১-২০২৪ ১২:১৮:০৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-১১-২০২৪ ১২:১৮:০৮ পূর্বাহ্ন
বন্ধ হচ্ছে একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
শিক্ষার্থীদের সহিংসতার ঘটনায় একের পর এক বন্ধ হচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ। এ পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক (কলেজ) স্তরের আটটি প্রতিষ্ঠান এবং একটি ইংরেজি মাধ্যম প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কবে নাগাদ শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা যাবে তা সুনির্দিষ্ট করে জানাতে পারছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষকরা বলছেন, সহিংসতা বন্ধ করতে না পারলে কবে নাগাদ শিক্ষা কার্যক্রম চালু হবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
গত কয়েক দিনে সহিংসতা-ভাঙচুরের কারণে বন্ধ করা হয়েছে ঢাকা কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, দনিয়া কলেজ, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ। এছাড়া মঙ্গলবার সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির লটারিও স্থগিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ ও ২১ নভেম্বর ঢাকা সিটি কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংসতা ও সংঘর্ষে বন্ধ হয়ে যায় এই দুই প্রতিষ্ঠান। এর আগে আরও দুই দফা ঢাকা সিটি কলেজ বন্ধ করা হয়েছিল ছাত্রদের বিক্ষোভ এড়াতে। ভুল চিকিৎসায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ২৪ নভেম্বর ন্যাশনাল মেডিকেলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। ওইদিন রাজধানীর প্রায় ৩৭টি কলেজের শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ফটক অবরোধ ও ভাঙচুর করে। ২৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজে হামলার ‘প্রতিশোধ’ নিতে পরদিন ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে পাল্টা হামলা, ভাঙচুর ও শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়। এদিন সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় বন্ধ হয়ে যায় সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, দনিয়া কলেজ। সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলন করে গত ১৮ ও ১৯ নভেম্বর। আন্দোলন চলাকালে রেলপথ ও সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়। সহিংসতায় আহত হন নারী ও শিশু। আন্দোলনের কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয় কলেজটি। সর্বশেষ ২৬ নভেম্বর সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির লটারিও স্থগিত করে প্রতিষ্ঠানটি। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেষ্টা এবং প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আন্দোলন সহিংসতা থামানো হলেও কবে নাগাদ এসব প্রতিষ্ঠান খোলা হবে তার সঠিক তথ্য জানাতে পারছে না প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষ। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বলছেন, পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। শুরু হবে পাঠদান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে জানতে চাইলে কবি নজরুল সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা বাইরের ইন্ধনে এগুলো করছে। শিগগিরই ঠিক হয়ে যাবে আশা করি। সরকারি সিদ্ধান্ত ও পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিগগিরই খুলে দেয়া হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহিংসতা ও বন্ধে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, যেকোনও মূল্যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমমুখী করতে হবে। আর কোনও প্রতিষ্ঠানে যেন সহিংসতা ভাঙচুর না হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে, দ্রুত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেরাতে হবে। সহিংসতা ঠেকাতে সরকারকে কঠোর হতে হবে, তা না হলে শিক্ষা লাইনচ্যূত হয়ে যেতে পারে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স