ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এস এইচ কে এস সি শিক্ষার্থীদের ‘হ্যাপি ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠিত করদাতার ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টির শঙ্কা নারায়ণগঞ্জে গুলি করে কুপিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নেই- দুদু কানাডা প্রবাসীদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু অর্থনীতিতে অশনি সংকেত শত শত কারখানা বন্ধ এপিবিএন অধিনায়কের প্রত্যাহারচাওয়া নিয়ে তোলপাড় নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি শাহজাহানপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২ গণপরিবহনে সংরক্ষিত হচ্ছে না যাত্রীদের অধিকার জাবি শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের দাফন সম্পন্ন জাকসুর ফল প্রকাশে বিলম্ব ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন হবে-প্রেস সচিব বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি তিনজন কারাগারে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রবেশ পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি রোড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ এক্সিবিশনে যৌথ সক্ষমতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে-বাণিজ্য উপদেষ্টা স্বস্তি নেই সবজির দামে নিত্যপণ্যের দাম চড়া রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ বিশ্বকাপের টিকেট না পাওয়ায় বরখাস্ত হলো ভেনেজুয়েলা ও পেরুর কোচ
খাদ্য অধিদফতর

রাজশাহীর উপ-সহকারী প্রকৌ. মাহবুবের ৭০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

  • আপলোড সময় : ২৮-১১-২০২৪ ১২:২৫:৩১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-১১-২০২৪ ১২:২৫:৩১ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীর উপ-সহকারী প্রকৌ. মাহবুবের ৭০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ
* বগুড়ার শান্তাহার খাদ্য অফিসের কর্মকর্তা হলেও রাজশাহীতে ডিউটি করছেন
* ডিপিএস, এফডিআর এবং সঞ্চয়পত্রে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা রয়েছে
* গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া মৌজার ১ একর ১৫ শতাংশ জমি দখল করেছেন


খাদ্য অধিদফতরের রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শেখ মো. মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, জমি দখল এবং টেন্ডারবাজির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি বাড়ি, গাড়ি ও অন্যান্য স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি মিলে প্রায় ৭০ কোটি টাকার আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছেন মাহবুব হোসেনের এক সহকর্মী মো. সামিউল ইসলাম, যিনি কেন্দ্রীয় খাদ্য ভবনের অফিস সহকারী।
মাহবুব হোসেনের বাড়ি গোপালগঞ্জে। ওই বাড়ির সূত্র ধরে তিনি শেখ হাসিনার পরিবারের নাম ভাঙিয়ে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, জমি দখল এবং টেন্ডারবাজির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। যদিও শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে, মাহবুব হোসেনের দাপট এখনও অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র জানায়, বগুড়ার শান্তাহার খাদ্য অফিসের কর্মকর্তা হলেও তিনি রাজশাহী খাদ্য অফিসে ডিউটি করছেন। আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস থেকে জানা যায়, মাহবুব হোসেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে বসেন, তবে সেখানে তার কোনো নির্দিষ্ট কক্ষ নেই। তিনি সাধারণত নিচতলার কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক আল সিহাবুল ইসলামের কক্ষে বসেন।
জানা গেছে, ঢাকার ১১৩/২ জিগাতলায় নির্মিত একটি ভবনের তৃতীয় তলায় মাহবুব হোসেনের একটি ১৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। রাজশাহীতে তার নিজস্ব পাঁচতলা ভবনটির মূল্য আনুমানিক ৭ কোটি টাকা। এছাড়াও গোপালগঞ্জে তার পৈত্রিক বাড়িতে একটি অত্যাধুনিক দুই তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। তার একটি বিলাসবহুল গাড়িও রয়েছে এবং স্ত্রী ও সন্তানদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংকে ডিপিএস, এফডিআর এবং সঞ্চয়পত্রে মাহবুব হোসেনের বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা রয়েছে। খাদ্য অধিদফতরে চাকরি পাওয়ার পর তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে এসব সম্পদ গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ।
এছাড়া, মাহবুব হোসেন জনৈক আলাউদ্দিন কবীরের রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া মৌজার ১ একর ১৫ শতাংশ জমি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন। ওই জমির ভুয়া বায়নামা তৈরি করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছেন।
আলাউদ্দিন কবীর জানিয়েছেন, তিনি এই জমি বিক্রি করার জন্য আলোচনা করেছিলেন। তবে, বর্তমানে ওই জমিতে বাউন্ডারি ওয়াল করে দখলে নিয়েছেন এবং অন্য কারোর কাছে বিক্রি করতে দিচ্ছেন না। এমনকি তিনি রাজশাহীতে আরও ৮-৯ জনের জমি জবরদখল করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় প্রভাবশালীদের মেনেজ করে মাহবুব হোসেন দখলদারিত্ব করছেন বলে জানা গেছে। পতিত সরকারের একজন মন্ত্রীর মতো তিনি এখন টাকা ব্যাংকে রাখেন না। তার পুরো অর্থ এখন বাসায় রাখেছেন বলেও সূত্র দাবি করেছে।
সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার এ ধরনের প্রতারণামূলক কার্যকলাপ কর্মচারী বিধি লঙ্ঘন ও ফৌজদারি অপরাধের শামিল।
এতসব অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও মাহবুব হোসেন এখনও তার পদে বহাল আছেন। সাধারণ মানুষ ও তার সহকর্মীরা তার দুর্নীতির যথাযথ তদন্ত এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী শেখ মো. মাহবুব হোসেন এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট বলে দাবি করেন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স