ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এস এইচ কে এস সি শিক্ষার্থীদের ‘হ্যাপি ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠিত করদাতার ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টির শঙ্কা নারায়ণগঞ্জে গুলি করে কুপিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নেই- দুদু কানাডা প্রবাসীদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু অর্থনীতিতে অশনি সংকেত শত শত কারখানা বন্ধ এপিবিএন অধিনায়কের প্রত্যাহারচাওয়া নিয়ে তোলপাড় নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি শাহজাহানপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২ গণপরিবহনে সংরক্ষিত হচ্ছে না যাত্রীদের অধিকার জাবি শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের দাফন সম্পন্ন জাকসুর ফল প্রকাশে বিলম্ব ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন হবে-প্রেস সচিব বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি তিনজন কারাগারে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রবেশ পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি রোড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ এক্সিবিশনে যৌথ সক্ষমতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে-বাণিজ্য উপদেষ্টা স্বস্তি নেই সবজির দামে নিত্যপণ্যের দাম চড়া রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ বিশ্বকাপের টিকেট না পাওয়ায় বরখাস্ত হলো ভেনেজুয়েলা ও পেরুর কোচ

দেশে দেউলিয়া ঘোষণার মামলা বাড়ছে

  • আপলোড সময় : ২৮-১১-২০২৪ ১০:২৭:২৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-১১-২০২৪ ১০:৪৯:৩১ অপরাহ্ন
দেশে দেউলিয়া ঘোষণার মামলা বাড়ছে
* দেউলিয়া আইনের ১০ ধারা মোতাবেক কোনো ঋণখেলাপি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণার জন্য আদালতে মামলা করতে পারেন
* কোনো ব্যাংক খেলাপিকে দেউলিয়া ঘোষণার জন্যও মামলা করতে পারে
* আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার
দেশে প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া ঘোষণার মামলা বাড়ছে। বিগত ১৯৯৭ সালে দেশে দেউলিয়া বিষয়ক আইন প্রণয়নের পর এখন পর্যন্ত ওই আইনে বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানির বিরুদ্ধে ৬৮৭টি মামলা করা হয়েছে। আর গত ৩০ জুন পর্যন্ত সারা দেশে ১৭৭টি মামলা বিচারাধীন ছিলো। এর মধ্যে ১০টি মামলা পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ঝুলে আছে। তবে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ ২৫টি জেলায় দেউলিয়াবিষয়ক আইনে মামলা থাকলেও অন্য ৩৯টি জেলায় দেউলিয়াবিষয়ক কোনো মামলা নেই। এর মধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ৮৮টি এবং চট্টগ্রামে ২৯টি মামলা রয়েছে। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কোনো ঋণখেলাপি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে, মর্টগেজ রাখা সম্পত্তিসহ তার নিজের সব সম্পত্তির মূল্যের চেয়ে ঋণের পরিমাণ যদি বেশি হয়, তখন দেউলিয়া আদালতের আশ্রয় নেয়া যায়। দেউলিয়া আইনের ১০ ধারা মোতাবেক কোনো ঋণখেলাপি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণার জন্য আদালতে মামলা করতে পারেন। আবার কোনো ব্যাংক খেলাপিকে দেউলিয়া ঘোষণার জন্যও মামলা করতে পারে। মামলা করার পর আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সংশ্লিষ্ট খেলাপির সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে রিসিভার নিয়োগ দেন। এরপর আদালত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সম্পত্তি ক্রোক করে ব্যাংকের অনূকুলে নেয়ার রায় দেন। অর্থঋণে মামলা চলাকালে কোনো খেলাপি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণার মামলা করলে, অর্থঋণের মামলা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অকার্যকর হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে দেউলিয়া ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। ব্যাংকের গ্রাহক পুরোপুরি দায়মুক্ত হতে না পারলে তিনি ভোটাধিকার প্রয়োগের যোগ্যতাও হারাবেন। আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশে দেউলিয়াবিষয়ক আইন সফল না হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। এই আইনে কাউকে জেলে নিতে পারবে না। তবে দেউলিয়া ঘোষণা করলে কিছু নাগরিক অধিকার চলে যায়। নিজের নামে কোনো সম্পত্তি গ্রহণ করতে পারে না। কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশে সেটা মনিটরিং করার কোনো ব্যবস্থা নেই। রপ্তানিমুখী পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠান গাজীপুরের প্যানউইন ডিজাইন লিমিটেড ওয়ান ব্যাংক থেকে জামানতের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ করে। বর্তমানে এই ব্যাংকে তাদের ৪০৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকার দেনা পড়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তাঁদের সন্তানের নামে কোনো স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি নেই। নেই কোনো মূল্যবান গয়নাও, যা দিয়ে দেনার টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। এমনকি জেলহাজতে আটক রাখলেও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো টাকা উদ্ধার করারও উপায় নেই। তাই দেনা শোধে অক্ষম দাবি করে দায় মোচনের জন্য দেউলিয়া ঘোষণা করতে ঢাকার দেউলিয়া আদালতে মামলা হয়েছে। একইভাবে নওগাঁর মহাদেবপুরে ওসমান অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেডের চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী ওসমান গণি ঋণ সুবিধা নিয়ে তিনটি অটোমেটিক রাইস মিল চালু করেন। বর্তমানে সাতটি ব্যাংক এবং ২৬০টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে তাঁর ২৫২ কোটি ২৪ লাখ টাকা দেনা রয়েছে। দেনা পরিশোধের জন্য কোনো সমাধান খুঁজে না পেয়ে তিনি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণার মামলা করেন। এ প্রসঙ্গে ঢাকা জেলা ও দায়রা আদালতের (দেওয়ানি) সরকারি কৌঁসুলি আবুল খায়ের জানান, নতুন যোগদান করেছি। এখনো সব কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। আগের যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের চিঠি দিয়ে বলা হলেও কোনো তথ্য প্রদান করছেন না। দেউলিয়া আদালতের যেসব মামলা রয়েছে, সেগুলো নিষ্পত্তি করা হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স