ঢাকা , বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
টাঙ্গাইলে এনসিপির পদযাত্রা, নিরাপত্তায় ৯ শতাধিক পুলিশ সদস্য সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত মডেল মেঘনার জব্ধকৃত মালামাল ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরির আদেশ সারাদেশে নীরবে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী মেলিওডোসিস ওয়ারড্রব ম্যালফাংশনের শিকার হলেন জেনিফার লোপেজ এবার প্রাক্তন স্বামীর ৩০ হাজার কোটির সম্পত্তিতে ‘চোখ’ কারিশমার অক্ষয় কুমারের ফিটনেস রহস্য ফাঁস! বিপাকে রাজকুমার! জারি হলো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে জয়ার নতুন সিনেমা সবাইকে কেন সতর্ক করলেন অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান? আবারও রায়হান রাফী ও তমা মির্জার প্রেমে ভাঙন বিএনপির ভরসার কেন্দ্রবিন্দুতে আপসহীন খালেদা জিয়া ডেঙ্গু আতঙ্কে নগরবাসী জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র ৫ আগস্টের মধ্যে জারি করতে হবে : নাহিদ ইসলাম বিয়ামে এসি বিস্ফোরণ নয়, নথি পোড়াতে গিয়ে আগুনে পুড়ে ২ জন নিহত ডিএসসিসির পরিবহন ব্যবস্থাপনায় ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রানওয়েতে স্কুলের পারমিশন যারা দিয়েছে তাদের ধরতে হবে-স্বাস্থ্য উপদেষ্টা একই দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ করতে চায় এনসিপি ও ছাত্রদল দেশকে পুনরায় গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন তারেক রহমান-ফখরুল রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির

ফরিদপুরে খেজুর রস সংগ্রহে ৩ হাজার গাছ প্রস্তুত

  • আপলোড সময় : ২৮-১১-২০২৪ ১০:২৯:৩৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-১১-২০২৪ ১০:২৯:৩৬ অপরাহ্ন
ফরিদপুরে খেজুর রস সংগ্রহে ৩ হাজার গাছ প্রস্তুত
ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের খেজুরের গুড় ও পাটালির খ্যাতি আছে দেশজুড়ে। এক যুগ আগেও জেলার বিভিন্ন স্থানে শীতের সকালে চোখে পড়তো খেজুর রসের হাঁড়ি ও খেজুর গাছ কাটার সরঞ্জামসহ গাছিদের ব্যস্ততার দৃশ্য। কালের পরিক্রমায়  কমে গেছে খেজুর গাছ, সেই সাথে গাছিও কমে গেছে। তবে এবছর শীত ও কুয়াশা আসার আগেই জেলার সালথা উপজেলায় খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। প্রায় ৩ হাজার গাছ প্রস্তুত করেছেন তারা।
জানা যায়, খেজুরের রস আহরণের মধ্য দিয়েই গ্রামীণ জনপদে শুরু হয় শীতের আমেজ। গাছিরা ভোরবেলা দড়ি -কাছি, ছ্যান ও দাও নিয়ে বেরিয়ে পড়ে রস সংগ্রহরের জন্য গাছ প্রস্তুত করার কাজে। প্রথমে ধারালো দা দিয়ে খেজুর গাছের মাথার সোনালি অংশ বের করে তারা। তারপর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে রাসায়নিক কোনও দ্রব্য ব্যবহার ছাড়াই খাঁটি গুড় তৈরি করেন এখানকার গাছিরা।
শীত মৌসুমে রস-গুড় উৎপাদন করে প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে এ উপজেলার শতাধিক কৃষক পরিবার। এ থেকে স্থানীয় কৃষক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হন।
সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের গাছি সাহাদৎ ফকির,  লোচন হাওলাদার  ও আল আমিন জানান, খেজুরের রস সংগ্রহ অনেক কষ্টের কাজ। তাই সহজে কেউ এই কাজ করতে চায় না। যারা বেশি দরিদ্র তারাই খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে। বর্তমানে চলছে গাছ ছোলার কাজ। ১০ দিন পর গাছে নল স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হবে সুস্বাদু খেজুর রস আহরণের মূল কাজ। তার কয়েকদিন পরই গাছে লাগানো হবে মাটির হাঁড়ি। সংগ্রহ করা হবে মিষ্টি স্বাদের খেজুরের রস। তা দিয়ে তৈরি হবে লোভনীয় গুড় ও পাটালি। এই গুড় ও পাটালি বাজারে বিক্রি করে চলবে গাছিদের সংসার।
তারা আরো জানান, প্রশাসনের উদ্যোগে উঠান বৈঠক, গাছি সমাবেশ ও খেজুরের গুড়ের মেলার আয়োজন করলে ব্যাপকভাবে খেজুর গুড়ের সুনাম ছড়িয়ে পড়তো। সেই সাথে ব্যবসায়ীদের ভ্যাজাল গুড় উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ হতো বলে দাবি গাছিদের।
এ ব্যাপারে  ফরিদপুরের সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিছুর রহমান বালী জানান, সালথা উপজেলায় আনুমানিক তিন হাজার খেজুরের গাছ থেকে রসের জন্য প্রস্তুত করছে গাছিরা। সামনে গাছিদের একত্রিত করে সতর্ক করবো, যাতে তারা মানসম্মত গুড় তৈরি করে বাজারজাত করে। অন্য কোন রাসায়নিক উপাদান যাতে ব্যবহার না করে, সে বিষয়ে বলা হবে। মানসম্মত গুড় তৈরি করার ক্ষেত্রে আমরা গাছিদের পাশে থাকবো।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য