ঢাকা , বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ইশরাক-কায়কোবাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে আসিফ প্রতীকী মূল্যে সরকারি সম্পত্তি কাউকে দেওয়া হবে না-অর্থ উপদেষ্টা আমরা সংস্কারকে ভয় পাই না স্বাগত জানাই-মির্জা ফখরুল মবতন্ত্র দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে-গণসংহতি প্রেস কাউন্সিলে নতুন কমিটি, ১২ জনকে অন্তর্ভুক্ত বাস-ট্রাক চালকদের ভালো স্বাস্থ্য আমাদের সবার জন্য জরুরি ডানপন্থী রাজনীতিতে বেড়েছে দৃশ্যমানতা জুলাই শুধু স্বৈরাচার মুক্তির মাস নয়, এটা পুনর্জন্মের মাস : প্রধান উপদেষ্টা পুঁজিবাজারে কোটি টাকা হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে জলবায়ু পরিবর্তন-খাদ্য সংকটে হুমকিতে সুন্দরবনের বাঘ জুলাই সনদের খসড়ায় আপত্তি জানিয়েছে এনসিপি-জামায়াত বিচার নিয়ে আমাদের আন্তরিকতায় সন্দেহ রাখবেন না -আইন উপদেষ্টা নৈরাজ্যের শঙ্কা দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ১৬০ দিন পর কুয়েটে ক্লাস শুরু বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু ৯ জন উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ ৬ ‘খোলা জানালা’ সেবা চালু করেছে ‘ডিআরইউ’ বগুড়ায় কার্গো সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের অফিসে ডাকাতি সাড়ে ১৭ লাখ টাকা লুট ৩৯৩ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি মৃত্যু একজনের ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ নারীর লাশ ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার

বাংলাদেশ-ভারত ট্রেন চলাচল অনিশ্চিত

  • আপলোড সময় : ০১-১২-২০২৪ ১১:১৪:০৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-১২-২০২৪ ১১:১৪:০৭ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ-ভারত ট্রেন চলাচল অনিশ্চিত
* যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাবে ভারত কোনো সাড়া দিচ্ছে না। * নিরাপত্তাঝুঁকির কারণে গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশের সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়।* ১২ আগস্ট সারা দেশে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও এখনো আন্তর্দেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে না। অনিশ্চিত অবস্থায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ট্রেন চলাচল। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাবে ভারত কোনো সাড়া দিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে কবে নাগাদ দু’দেশের মধ্যে ট্রেন চলবে তা বলা যাচ্ছে না। ট্রেন চলাচল বন্ধের সময় মিতালী এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেন বাংলাদেশে আটকা পড়ে। আর ট্রেনটি আটকে থাকায় একটি লাইন দখল হয়ে রয়েছে। ফলে লাইনটি অন্য ট্রেনের জন্য ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আবার মিতালী এক্সপ্রেসের মালিক ভারত হওয়ায় এর কোনো ক্ষতি যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখে বাড়তি নিরাপত্তা দিতে হচ্ছে। ট্রেনটি ফিরিয়ে দিতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তবে ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ড বাংলাদেশ রেলওয়েকে খালি ট্রেনটি ফিরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ নিরাপত্তা চেয়েছে। এমনকি ফেরার পথে খালি ট্রেনের সঙ্গে সীমান্ত পর্যন্ত পুলিশের বহর চাওয়া হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, এদেশে আটকেপড়া ভারতের খালি ট্রেনটি যত দ্রুত ফিরিয়ে দেয়া যায় ততোই ভালো। কারণ ট্রেনের কোনো ক্ষতি হলে দু’দেশের সম্পর্ক খারাপ হবে। মূলত নিরাপত্তাঝুঁকির কারণে গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশের সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়। ওই দিন থেকে বাংলাদেশ-ভারত ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। তবে ১২ আগস্ট সারা দেশে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও এখনো আন্তর্দেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে না। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আটটি ইন্টারচেঞ্জ থাকলেও পাঁচটি সচল আছে। এর মধ্যে তিনটি পথে যাত্রীবাহী ট্রেন ১৮ জুলাইয়ের আগে নিয়মিত চলাচল করেছে। ট্রেনগুলো হলো মিতালী এক্সপ্রেস, মৈত্রী এক্সপ্রেস ও বন্ধন এক্সপ্রেস। গত ১৭ জুলাই রাতে মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছে। পরদিন রাতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশে এর ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ট্রেনটি ঢাকা ছেড়ে যেতে পারেনি। ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে চলাচলকারী আন্তর্দেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনসহ ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং খুলনা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনও বর্তমানে বন্ধ। সূত্র জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশীদের জন্য ভারতীয় ভিসা প্রক্রিয়ায় শীতলতা বিরাজ করছে। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে ঢাকায় বন্ধ থাকা ভিসার প্রক্রিয়া ভারতকে চালু করতে হবে। আগের নেয়া ভিসায় বাসে ও বিমানে যাত্রীরা যাতায়াত করছে। তবে পুরনো ভিসার মেয়াদ শেষ হতে থাকায় ওই সংখ্যাও দিন দিন কমে আসছে। ভারতের দিক থেকে বাংলাদেশকে এখনো যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য নিরাপদ মনে করা হচ্ছে না। তাই পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেয়া হলেও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর বিষয়ে আগস্ট মাসে ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ডের সঙ্গে বেশ কয়েকবার অনানুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ের যোগাযোগ হয়েছে। তবে তাতে ভারতের সায় মেলেনি। গত ১৯ আগস্ট দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালন বিভাগের এক চিঠির বিপরীতে পণ্যবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে অনুমতি দেয় ভারত। ওই রাতেই পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে অনাপত্তি পায় বাংলাদেশ। এদিকে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী জানান, ভারত কেন ট্রেন চালাতে চাইছে না তা জানা নেই। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স