ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা নকলমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশনা ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক-প্রেস সচিব ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা প্রাণ গেল ৫ জনের পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে চার ভারতীয়সহ ১৬ জনকে পুশইন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ বাস কম যাত্রী বেশি, বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না টিকিট বেনাপোলে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেয়া হবে না পরিবেশ উপদেষ্টা যৌথ বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধÑ খেলাফত মজলিস ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা গ্রেফতার মৌসুমি ফলে ভরপুর বাজার দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতাদের সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু রোগী ও স্বজনদের মারধর করলেন ওয়ার্ড বয় উত্তরায় র‌্যাবের পোশাক পরে ‘নগদ’ এজেন্টের কোটি টাকা ছিনতাই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ মানা হচ্ছে না নির্দেশনা নতুন করে সংকটের মুখে দেশের পোশাক খাত নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ
জামিন শুনানি পিছিয়ে ২ জানুয়ারি

চিন্ময়ের পক্ষে ছিলেন না আইনজীবী

  • আপলোড সময় : ০৪-১২-২০২৪ ১২:১৭:২৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-১২-২০২৪ ১২:১৭:২৪ পূর্বাহ্ন
চিন্ময়ের পক্ষে ছিলেন না আইনজীবী
চিন্ময়ের পক্ষে ছিলেন না আইনজীবী, জামিন শুনানি পিছিয়ে ২ জানুয়ারি
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার ধার্য তারিখে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলামের আদালতে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানি করেননি। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষও মামলাটি শুনানি না করে সময়ের আবেদন করেন। সবমিলিয়ে আদালত পরবর্তী জামিন শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন।
চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট এনামুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ চিন্ময় দাসের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষও শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত জামিন শুনানির জন্য ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি নতুন তারিখ ধার্য করেছেন। যেহেতু শুনানি হয়নি, এ কারণে আসামিপক্ষের উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ নেই। আবার দায়রা জজ আদালতে অপেক্ষমাণ থাকার কারণে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও জামিন শুনানি করার সুযোগ নেই।
এক্ষেত্রে জামিন শুনানির ধার্য তারিখ ২ জানুয়ারি পর্যন্ত চিন্ময় দাসকে কারাগারে থাকতে হবে কি না জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ধার্য তারিখের আগে জামিন পেতে চাইলে চিন্ময় দাসের পক্ষের আইনজীবীদের একটি পথ খোলা রয়েছে। সেটি হচ্ছে তারা জামিন শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করতে পারেন। সেটি যদি আদালত নামঞ্জুর করেন, সেক্ষেত্রে এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। উচ্চ আদালত যদি মহানগর দায়রা জজকে তারিখ এগিয়ে এনে শুনানির জন্য নির্দেশনা দেন সেক্ষেত্রে ২ জানুয়ারির আগে শুনানির সুযোগ রয়েছে। তখনো জামিন দেওয়া না দেওয়া মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিষয়। এরপরও জামিন না হলে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতেও যেতে পারেন আবার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও জামিন শুনানি করতে পারেন।
এদিকে, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মফিজুল হক ভূঁইয়ার পদত্যাগ ও অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের খুনিদের বিচারের দাবিতে আজও বিক্ষোভ করেছেন আইনজীবীরা। বেলা ১১টার দিকে আদালত এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
এর আগে সোমবার চিন্ময়ের জামিন প্রদান না করায় আদালত এলাকায় তার অনুসারীদের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি মামলার দুই আসামির পক্ষে ওকালতনামা জমা দেন নেজাম উদ্দিন ও সানজিদা গফুর। তাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট নেজাম উদ্দিন মহানগর পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়ার জুনিয়র এবং অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর। গতকাল নেজাম উদ্দিনকে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয়ে আটকে রেখে বিক্ষোভ করেন আইনজীবীরা। একপর্যায়ে হাতে লিখে একটি পদত্যাগপত্রে সই করেন অ্যাডভোকেট নেজাম উদ্দিন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের একটি আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করেন ইসকন ও চিন্ময়ের অনুসারীরা। টানা কয়েক ঘণ্টার বিক্ষোভ ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে বিকেলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করেন কিছু ইসকন অনুসারী। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং স্থানীয় কয়েকজনের করা ভিডিও ফুটেজে হত্যার চিত্র দেখা যায়।
এ ঘটনায় গত ২৯ নভেম্বর নগরের কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। ভুক্তভোগীর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। একই দিন খানে আলম নামে একজন বাদী হয়ে ১১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার আগে একই ঘটনায় আরও ৩টি মামলা হয়।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স