ঢাকা , শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ , ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
অন্তর্বর্তী সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরও সংকটে- রিজভী অবিলম্বে সাংবাদিক ছাঁটাই বন্ধসহ ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন চাপ সামাল দিতে পরিবহন সক্ষমতা বাড়াচ্ছে বেবিচক রমনা বটমূলে বোমা হামলা হাইকোর্টের রায় ৮ মে ৩০০ শিক্ষক ও গবেষককে সম্মাননা দিবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিএসইসির ২১ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার পরামর্শ এফবিসিসিআইয়ের দাম কমিয়েও ক্রেতা মিলছে না সিমেন্টের চিন্ময় দাসের জামিন চেম্বারে স্থগিত সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত-মির্জা ফখরুল যুদ্ধের দোরগোড়ায় পাকিস্তান-ভারত প্রস্তুতি থাকতে হবে যুদ্ধের রাজনৈতিক বিতর্ক ও আর্থিক সংশ্লেষ নেই এমন সংস্কার সুপারিশ ইসির রাজধানীতে পর পর তিনদিনে ৪ সমাবেশ আজ মহান মে দিবস রণতরী থেকে সমুদ্রে পড়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ৮১০ কোটির বিমান পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে জল্পনা-কল্পনা দাম আড়াই হাজার কোটির বেশি ইয়েমেনে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলা সামরিক অভিযানের সবুজ সংকেত মোদির

কৃত্রিম সংকটে সারের দাম বৃদ্ধি বিপাকে কৃষকরা

  • আপলোড সময় : ০৫-১২-২০২৪ ১২:৩৩:৪৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-১২-২০২৪ ১২:৩৩:৪৮ পূর্বাহ্ন
কৃত্রিম সংকটে সারের দাম বৃদ্ধি বিপাকে কৃষকরা
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
চলতি রবি মৌসুমের শুরুতে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিএডিসি ডিলার, সাব-ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন। বিশেষ করে ইউরিয়া, ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বড়বাড়ী ইউনিয়ন বিএডিসি ডিলার মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্স প্রোপাইটার রমজান আলী ও মাহবুবুর রহমানের দোকানে ৩দিন  ঘুরেও পায়নি এক বস্তা সার। এমন অভিযোগ বড়বাড়ী গ্রামের কৃষক ফারাজুল ইসলামের। কৃষকদের অভিযোগ, ডিলাররা কৃষকদের কাছে সার বিক্রি না করে অতিরিক্ত দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন। পরে সেই সার খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে কৃষকদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এর পরও চাহিদামতো সার পাচ্ছেন না তারা। যদিও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সারের কোনো সংকট নেই বলে দাবি করছেন। গত মঙ্গলবার সরেজমিনে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডিলার ও খুচরা সার ব্যবসায়ীরা টিএসপি প্রতি কেজি ২৭ টাকা, প্রতি বস্তা- ১৩৫০ টাকা, এমও.পি প্রতি কেজি ২০ টাকা, প্রতি বস্তা- ১ হাজার টাকা, ডি. এ. পি প্রতি কেজি ২১ টাকা, প্রতি বস্তা ১০৫০ টাকা। বিক্রেতারা দোকানে মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখলেও সে অনুযায়ী বিক্রি করছেন না তারা। প্রতি বস্তা সার সরকারি মূল্যের চেয়ে প্রকারান্তরে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছেন। কৃষক সার কিনতে গেলে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা সংকটের কথা বলেন। তবে দাম বেশি দিলেই সার পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া বিক্রেতারা কৃষকদের কোনো সঠিক বিক্রয় রসিদ দেন না। আর যেটা কৃষকদের দেন তার চেয়ে বেশি দাম দিয়ে সার কিনতে হয়। ডিলার/খুচরা বিক্রেতাদের কাছে তারা এভাবে জিম্মি হয়ে পড়েছে। সরকার অনুমোদিত এসব ডিলার/সাব-ডিলাররা সরকারি নির্দেশনা না মানায় দেখা দিয়েছে সারের কৃত্রিম সংকট। আর এতে বাড়বে কৃষি উৎপাদন খরচ।
বড়বাড়ী ডিমাবাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ জানান, বর্তমানে আলু, গম ও ভুট্টার চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এ সময় টিএসপি, বিওপি ও এমওপি সার সংকট দেখা দিয়েছে। দামের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা দিলেই সার মিলছে। বিএডিসি ডিলার ভাই ভাই ট্রেডার্সের মালিক রমজান আলীর কাছে গেলে তিনি বলেন, সার নেই। চলতি মাসের বরাদ্দকৃত যে সার তুলেছিলাম, তা এলাকার প্রান্তিক চাষীদের স্লীপের মাধ্যমে দিয়ে শেষ হয়ে গেছে। এই একই অভিযোগ ফারাজুল ইসলামেরও। দুওসুও ইউনিয়নের দুওসুও বানিয়া পাড়া গ্রামের কৃষক ইউসুফ আলী বলেন, ডিলাররা রাতারাতি সার নিয়ে খুচরা বিক্রেতাদের দিয়ে দিচ্ছেন। এজন্য আমরা সার পাচ্ছি না। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রশাসন যদি অভিযান চালায় তাহলে আর সারের কৃত্রিম সংকট থাকবে না। এ বিষয়ে ডিলার রমজান আলী জানান, চলতি মাসে বরাদ্দ পেয়েছি, টিএসপি ৮ মেট্রিক টন, ডিএপি ৩২.২৫ ও এমওপি পেয়েছি ১২.২৫ মেট্রিক টন। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম পাওয়ার কারণে বাজারে সারের কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। যদিও আমি আমার বড় ভাই মাহবুবুর রহমানের লাইসেন্স বার্ষিক চুক্তিতে চালাই, তাতেও সামলাতে পারছি না। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন  বলেন, এখন সারের কোনো ঘাটতি নেই। স্যারের বাজার ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক চাষিদের মাঝে বিতরণ বিষয়ে গতকাল মিটিং করা হয়েছে। এর পরও কোথাও কোথাও সংকটের অজুহাতে বেশি দামে সার বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেব নাথ বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। কৃত্রিম সার সংকটের কোনো সমস্যা নেই।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য