ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা নকলমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশনা ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক-প্রেস সচিব ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা প্রাণ গেল ৫ জনের পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে চার ভারতীয়সহ ১৬ জনকে পুশইন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ বাস কম যাত্রী বেশি, বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না টিকিট বেনাপোলে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেয়া হবে না পরিবেশ উপদেষ্টা যৌথ বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধÑ খেলাফত মজলিস ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা গ্রেফতার মৌসুমি ফলে ভরপুর বাজার দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতাদের সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু রোগী ও স্বজনদের মারধর করলেন ওয়ার্ড বয় উত্তরায় র‌্যাবের পোশাক পরে ‘নগদ’ এজেন্টের কোটি টাকা ছিনতাই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ মানা হচ্ছে না নির্দেশনা নতুন করে সংকটের মুখে দেশের পোশাক খাত নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ

বাজারে হঠাৎ সয়াবিন তেলের সংকট, বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে

  • আপলোড সময় : ০৭-১২-২০২৪ ১২:০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-১২-২০২৪ ১২:০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
বাজারে হঠাৎ সয়াবিন তেলের সংকট, বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ বাজারেই মিলছে না এ তেল। দু-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটারে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি দামে। ক্রেতার চোখে ধুলো দিতে সয়াবিন তেলের বোতল রাখা হচ্ছে গোপনে। সুপারশপগুলোতে তেল থাকলেও একজন ক্রেতাকে একটির বেশি বোতল দেওয়া হচ্ছে না। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন এলাকা, মোহাম্মদপুর ও ফার্মগেটের বাজারে এমন চিত্র দেখে গেছে। দেখা গেছে, মিরপুরের দোকানগুলোতে এক-দুইটি করে তেলের বোতল প্রকাশ্যে রাখা হয়েছে। কোনো কোনো দোকানে একটিও নেই। প্রতি লিটার বোতলজাত তেল ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করছে। আধা লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে দোকানভেদে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা লিটার দরে। দোকানদাররা জানান, এক সপ্তাহ ধরে সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো কোনো তেল আনছে না। পাইকারি বাজারে গিয়েও তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো কোনো দোকানে দুই-চার লিটার তেল পাওয়া গেলেও দাম বেশি। এজন্য আমরাও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছি। কেন বাড়তি দাম নিচ্ছে, এ নিয়ে তাদের কাছে বক্তব্য নেই। দু-একটি দোকান থেকে বিক্রেতারা পাল্টা প্রশ্ন করেন, কবে বাজারে বেশি তেল পাওয়া যাবে? মিরপুরের ১৩ ও ১৪ নম্বর এলাকায় খোলা তেলের পাওয়া যাচ্ছে , প্রতি লিটার ১৯০ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে সেখানে। বাজারে পামওয়েল মিলছে ১৮০ টাকা লিটার দরে। তবে শীতের দিন হওয়ার কারণে পামওয়েল নিয়ে স্বস্তিতে নেই দোকানদাররা। রোদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কোথাও কোথাও তেলের ছোট্ট ড্রাম বা বোতলের লম্বা সারি রেখে দেওয়া হয়েছে জমে যাওয়া পামওয়েল তরল হওয়ার জন্য। মিরপুরে ১১ নম্বরে খুচরা বাজারে তেল কিনতে এসে বেশ ক্ষুব্ধ আমেনা বেগম। তিনি বলেন, এইডা কোনো কতা! হাফ লিটারের হইলে পাওয়া যাবি, বেশি হলে না। তারপরও দাম ম্যালা। অন্য দোকানে যাবো হেইডাও উপায় নাই। সব দোকানে ত্যাল নাই। রাজধানীর সব এলাকাতেই একই অবস্থা। অবশ্য সুপারশপগুলোতে মিলছে সব ধরনের ভোজ্যতেল। তবে জনপ্রতি একটির বেশি বোতল কেনা যাচ্ছে না। তেলের বোতলের র‌্যাকে লিখে রাখা হয়েছে একজন গ্রাহককে সর্বোচ্চ একটির বেশি তেল ক্রয় না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। সুপারশপে এক লিটার সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, দুই লিটার ৩৩৪ টাকা এবং তিন লিটারের বোতল ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। একেকটি সুপারশপে নির্দিষ্ট একটি ব্র্যান্ডের ভোজ্যতেল বিক্রির প্রাধান্য দেখা গেছে। মিরপুর-১৩ নম্বরে প্রিন্স বাজারে তেল বাড়তি না কেনার অনুরোধ সম্বলিত লেখা দেখে ক্ষুব্ধ হন ক্রেতা আবু ইউসুফ। তিনি বলেন, যার যা ইচ্ছা তাই করছে। এই তেলের র‌্যাকে একটির বেশি কেনা যাবে না লিখেই তো প্যানিক তৈরি করেছে। তেলের গাড়ি বাজারে না আসার কারণে কোনো কোনো দোকান বাড়তি তেল সংগ্রহ করে রেখে গোপনে বিক্রি করছে বলে জানা গেছে। সেসব দোকানে বাড়তি দামে তেল বিক্রি হচ্ছে। মিরপুরের ১৪ নম্বরের একটি দোকানে তেল কিনতে চাইলে বিক্রেতা বলেন, ‘আপনি নিলে দেওয়া যাবে, বলেন কয়টা লাগবে’। একাধিক প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও বাজারে তেল না পাওয়া বা কোম্পানি থেকে সরবরাহ নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ভোজ্যতেলের সংকটের বিষয়ে ভোক্তার নির্বাহী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সজল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মূল্য সংযোজন কর কমানোসহ নানা সুবিধা দেওয়ার পরও ভোজ্যতেল সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো তেলের দাম না কমিয়ে উল্টো সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এখনই যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে এবারের রমজানে পরিস্থিতি আরও অস্বস্তিকর হতে পারে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স