ঢাকা , বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ , ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে-আলী রীয়াজ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বদলিতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন রাস্তায় অভিনেতাকে সিদ্দিককে গণপিটুনি কারিগরি শিক্ষার্থীরা যা শিখছেন, চাকরির বাজারে তার চাহিদা নেই -সিপিডি আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটের প্রস্তুতি চলছে : সিইসি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে গড়িমসি অপকর্ম বন্ধ করুন, নইলে বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে -নেতাকর্মীদের ফখরুল সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান বইপ্রেমী এক ডিসির গল্প গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোন ই-৮ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলেন ২৫ কর্মী পুলিশের জন্য ১৭২ কোটি টাকায় কেনা হবে ২০০ জিপ সামাজিক সুরক্ষায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাখ ২৪ হাজার উপকারভোগী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে লিপ্ত থাকার অভিযোগ গ্যাস খাতে বছরে আর্থিক ক্ষতি বিলিয়ন ডলার নতুন লুকে নজর কাড়লেন ব্লেক লাইভলি

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রস্তাব দেবে সিপিবি

  • আপলোড সময় : ০৮-১২-২০২৪ ১২:৩৯:৪৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-১২-২০২৪ ১২:৩৯:৪৯ অপরাহ্ন
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রস্তাব দেবে সিপিবি
দেশে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালুর দাবিকে সামনে নিয়ে আসছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। সংবিধান সংস্কার কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এ প্রস্তাব তুলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। পাশাপাশি নিজেদের জোটের অন্য দলগুলোকেও এ প্রস্তাবের পক্ষে রাখার চেষ্টা করবে বাম দলটি। সিপিবির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনী ব্যবস্থা ও জাতীয় সংসদকে শক্তিশালী এবং কার্যকর করতে দলটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থাকে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদকে হতে হবে প্রধানত জাতীয় নীতি-নির্ধারণ ও আইন প্রণয়ন এবং রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের কাজ-কর্ম তদারকি সংস্থা। সংসদ সদস্যরা স্থানীয় উন্নয়ন কাজ, প্রশাসনিক অথবা এ ধরনের স্থানীয় অন্য কোনো কাজের সঙ্গে থাকতে পারবেন না, তারা শুধু জাতীয় নীতি-নির্ধারণ, আইন প্রণয়ন, রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের কাজকর্ম তদারকি নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। স্থানীয় সব উন্নয়নমূলক ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক কাজ কর্ম সেই এলাকার নির্বাচিত স্বশাসিত স্থানীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে। এ ব্যবস্থার ফলে রাষ্ট্রব্যবস্থার ও প্রশাসনের গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ, স্থানীয় সরকারের প্রকৃত ক্ষমতায়ন এবং রাষ্ট্রব্যবস্থার ক্ষেত্রে তৃণমূলে জনগণের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ গভীরতর করা সহজতর হবে। এ লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে এলাকাভিত্তিক একক প্রতিনিধিত্বের বদলে জাতীয়ভিত্তিক সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। এজন্য সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে। এরূপ ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব’ ব্যবস্থা অনুযায়ী নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদের নিজস্ব এখতিয়ারভুক্ত কাজ-কর্ম সম্পর্কে নীতি-কর্মসূচি-প্রস্তাবনা পরিকল্পনা বর্ণনা করে রাজনৈতিক দলগুলো দেশবাসীর সামনে নিজ নিজ ইশতেহার উপস্থিত করবে। দেশবাসী এসব ইশতেহারের-মধ্যে থেকে যে দলের ইশতেহারে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন দেখতে পাবে, সেই দলের মার্কায় ভোট দেবে এবং যে দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সেই দল জাতীয় সংসদে তত শতাংশ সংখ্যক প্রতিনিধি পাঠাবে। ঐকমত্যের প্রয়োজনে নতুন সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনের পাশাপাশি বর্তমান ‘এলাকাভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব’ ব্যবস্থাও আংশিকভাবে (অর্ধেক আসনে) অব্যাহত রাখা যেতে পারে। সকলের মতামতের ভিত্তিতে এই অনুপাত কম-বেশি করা যেতে পারে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ইশতেহার ঘোষণার পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দল সংসদে আসন নেয়ার জন্য নির্বাচনের আগেই তাদের দলের অগ্রাধিকারক্রম অনুসারে প্রতিনিধিদের তালিকা দেশবাসীকে জানিয়ে দেবে। নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট অনুসারে যে কয়টি আসন সেই দলের প্রাপ্য হবে, তালিকার ক্রমানুসারে সেই কয়জন ব্যক্তি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত বলে গণ্য হবেন। এ ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীদের পৃথক দু’টি তালিকা করতে হবে। সংসদে নারী ও পুরুষ সদস্যদের সংখ্যার একটি নির্দিষ্ট অনুপাতের বিধান করা হবে এবং নির্ধারিত সেই অনুপাত মোতাবেক দু’টি তালিকা থেকে নাম নিয়ে তাদেরকে নির্বাচিত বলে গণ্য করা হবে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে যে সাম্য, ন্যায় বিচার ও মানবিক মর্যাদার কথা বলা ছিল সে বিষয়গুলোসহ ৭২ এর সংবিধানের চার মূলনীতি অর্থাৎ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠা, রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ নিশ্চিত করার প্রস্তাব থাকছে সিপিবির প্রস্তাবে। বিষয়গুলো নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্য দলগুলোর সঙ্গেও সিপিবি আলোচনা করবে। এই প্রস্তাবের পক্ষে যাতে জোরালো জনমত তৈরি হয় সে চেষ্টাও করা হবে বলে সিপিবির নেতারা জানান। এ বিষয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সিপিবি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রস্তাব দেবে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা পত্রে যে সাম্য, ন্যায় বিচার ও মানবিক মর্যাদার কথা বলা ছিল সে বিষয়গুলোসহ ৭২ এর সংবিধানের চার মূলনীতি ফিরিয়ে আনা, রাজনীতিতে ধর্মের কথা বন্ধ নিশ্চিত করার, আদিবাসী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তার স্বীকৃতির প্রস্তাব থাকবে। আমরা এ প্রস্তাবটি সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে পাঠাবো। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও প্রস্তাবটি দেয়া হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ