ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছেন-জামায়াত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক দেশে স্বস্তি এনেছে বললেন দুদু মামলার আগেই আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক, বড় পরিবর্তন আসছে আইনে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস আয়রন ডোম চুরমার ইসরায়েলি সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান ইরানের কাছে ধরাশায়ী ইসরায়েল মেসিদের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ মাঠে ফেরায় তোড়জোড় গগবার অনিশ্চয়তায় ক্যাবরেরার ভবিষ্যৎ ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাবকে আইসিসির ‘না’ বিগব্যাশে ডাক পেলেন বাবর আজম পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন ইউসুফ তারকাবিহীন দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলি হামলায় নিন্দার ঝড় ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার ও পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা সবকিছু শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি করুন ইরানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

আমদানিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম

  • আপলোড সময় : ১১-১২-২০২৪ ০৩:১৭:৩৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-১২-২০২৪ ০৩:১৭:৩৪ অপরাহ্ন
আমদানিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম
পেঁয়াজ আমদানির প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের বাজারে। নতুন পেঁয়াজ আসার ফলেও ভারত থেকে আমদানি হওয়াতে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমেছে বড় অংকে। প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। একই চিত্র আলুর ক্ষেত্রে হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। বাজারে নতুন ভারতীয় আলু এসেছে আরও বেশ কিছুদিন আগেই। এখন দেশি নতুন আলুও চলে এসেছে। তবে বাজারে নতুন আলু আসার পরেও কমেনি পুরনো আলুর দাম। সমানতালে একই দামে বিক্রি হচ্ছে নতুন ও পুরনো আলু। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুর-১ কাঁচাবাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় আলু-পেঁয়াজের বাজারের বর্তমান চিত্র। গত শনিবার একদিনেই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এসেছে ১১৭১ টন পেঁয়াজ। ভারত থেকে এই পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আর এই বড় পরিমাণ আমদানির ফলে এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। কমতে শুরু করেছে সবধরনের পেঁয়াজের দাম। আমদানির পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজও বাজারে আসতে শুরু করেছে। এর ফলাফলও বাজারে দৃশ্যমান। গতকাল মঙ্গলবার বাজারে প্রতি কেজি ক্রস জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। এরমধ্যে ছোট ও বড় সাইজের পেঁয়াজ একই দামে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা করে প্রতি কেজি। তবে দুই-একটি দোকানে ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। গত শুক্রবার প্রতি কেজি ক্রস জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। এক্ষেত্রে দেখা যায় তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। এরমধ্যে প্রতি কেজিতে ক্রস ও দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে ২০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ টাকা। ভারতীয় নতুন আলু বাজারে এসেছে বেশ কিছুদিন আগেই। এখন দেশি নতুন আলুও চলে এসেছে। তবে নতুন এই আলু আসার পরেও পুরনো আলুর দাম এখনও কমেনি। মঙ্গলবার বাজারে প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। আর পুরনো লাল আলু ৮০ টাকা, সাদা আলু ৮০ টাকা, বগুড়ার আলু ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে শুক্রবারের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় নতুন আলু দাম প্রতি কেজিতে কমেছে ২০ টাকা। তবে সবধরনে পুরনো আলুর দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। এসময় আলু-পেঁয়াজের বিক্রেতা মো. লিটনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভারত থেকে অনেক পেঁয়াজ আসছে তাই পেঁয়াজের দাম কমেছে। আবার আমাদের দেশি পেঁয়াজও উঠতে শুরু করেছে। আরও কমে যাবে। নতুন আলুর দাম কমেছে অথচ পুরনো আলুর দাম এখনও কমেনি কেন এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পুরনো আলু এখনও মানুষ কিনছে আবার অনেক চাষি চাষ করার জন্য পুরনো আলু কিনে নিচ্ছে। তাই এই আলুর দাম কমছে না। আরেক বিক্রেতা মো. শরীফ বলেন, পুরনো আলু দিয়ে যেভাবে কাজ (রান্নার ক্ষেত্রে) করা যায় সেটা নতুন আলু দিয়ে করা যায় না। পুরনো আলুর মতো পরিপক্ব হতে নতুন আলুর আরও দুই-তিন মাস সময় লাগবে। তাই হোটেলগুলোতে এখনও পুরনো আলু ব্যবহার করে। তাই পুরনো আলুর চাহিদা বাজারে এখনও আছে। এই কারণেই এটার দাম কমছে না। এদিকে, বাজার করতে আসা ক্রেতা মাহফুজুর রহমান বলেন, পেঁয়াজের দাম কমেছে এটা ভালো। তবে আরও কমা উচিত। কিন্তু আলু যে আমরা ৮০ টাকা করে কিনি এটা মানা যায় না। তবে মানা না গেলেও তো কিনছি। কিছু করার নাই, আমরা বাধ্য হয়েই কিনছি। শারমিন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, নতুন আলু আর পুরনো আলুর দাম একই। এটা কীভাবে হয়? এ রকম তো হয় না। এবার আলু আমাদেরকে বেশি দামেই কিনে খেতে হলো। তবে এখন যেহেতু দুই আলুর দাম একই তাই নতুন আলুই নিচ্ছি। এটাই ভালো। পুরনো আলু এখন দ্রুত নষ্ট হয়, আবার গাছ হয়ে যায়। এদিকে, আজকে আদা-রসুনের দামও কিছুটা কমেছে। আজকে দেশি রসুন ২৫০-২৬০ টাকা, চায়না রসুন ২২০-২৩০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১২০ দরে বিক্রি হচ্ছে। গত শুক্রবারের বাজারের সাথে তুলনা করলে দেখা যায়, মঙ্গলবার প্রতি কেজিতে দেশি রসুনের দাম কমেছে ১০ টাকা, চায়না রসুনের দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। আর ভারতীয় আদার দাম কমেছে ২০ টাকা প্রতি কেজিতে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স