ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছেন-জামায়াত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক দেশে স্বস্তি এনেছে বললেন দুদু মামলার আগেই আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক, বড় পরিবর্তন আসছে আইনে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস আয়রন ডোম চুরমার ইসরায়েলি সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান ইরানের কাছে ধরাশায়ী ইসরায়েল মেসিদের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ মাঠে ফেরায় তোড়জোড় গগবার অনিশ্চয়তায় ক্যাবরেরার ভবিষ্যৎ ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাবকে আইসিসির ‘না’ বিগব্যাশে ডাক পেলেন বাবর আজম পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন ইউসুফ তারকাবিহীন দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলি হামলায় নিন্দার ঝড় ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার ও পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা সবকিছু শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি করুন ইরানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

মৃত্যুর আগে যেমন দেশ দেখতে চেয়েছিলেন কবি হেলাল হাফিজ

  • আপলোড সময় : ১৩-১২-২০২৪ ১০:৪০:১২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-১২-২০২৪ ১০:৪০:১২ অপরাহ্ন
মৃত্যুর আগে যেমন দেশ দেখতে চেয়েছিলেন কবি হেলাল হাফিজ
কবি তখন শয্যাশায়ী। চোখে ঠিকঠাক দেখতে পান না। কথা জড়িয়ে যায়। শাহবাগের একটি হোস্টেলে নিঃসঙ্গতায় শেষ দিনগুলো কাটছে তার। ঠিক সে সময়টাতেই ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল ঢাকার রাজপথ। সেই আন্দোলনের তীর্থও শাহবাগ।
তরুণ বয়সে থাকলে হয়ত কবি নিজেই রাজপথে নেমে যেতেন। কবি-ই তো লিখেছিলেন, ‘এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’-র মতো অমর পঙক্তি। যুগে যুগে দেশের তরুণ সমাজকে যে লাইন অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার পথ দেখিয়েছে।
কবি সশরীরে হয়ত আন্দোলনে যোগ দিতে পারেননি। তবে মনে পড়েছিল যৌবনের দাবি মেনে অধিকার আদায়ের আন্দোলনে পথে নামা তরুণদের মিছিলে। ছাত্রদের সে আন্দোলন সফল হয়েছে। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। কবিও নিভৃত থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বুনেছেন।
গত ৭ অক্টোবর ছিল কবির ৭৭তম জন্মদিন। একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ‘যৌবনের কবি’ হেলাল হাফিজ বলেছিলেন, অকল্পনীয় বিজয় এনেছে আমাদের ছাত্র-জনতা। এখনো এটা অবিশ্বাস্য আমার কাছে।
বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে অনুরোধ জানিয়ে কবি যোগ করেন, একটা অনুরোধ, বারবার রক্ত না, এবারের রক্তের ত্যাগে যেন দেশ সুন্দর হয়। সবাই যেন মিলেমিশে থাকে। মানুষের অধিকার যেন রক্ষা হয়। যে ক্ষমতায় আসে সে যেন এই খেয়াল রাখে।
১৯৮১ সালে প্রকাশিত কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ দিয়ে কোটি ভক্তের হৃদয় জয় করেছেন হেলাল হাফিজ। সে বইয়ের কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’তে কবি লিখেছিলেন, এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’। কবির এই পঙক্তি জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানেও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার অসংখ্য গুণগ্রাহীকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে গেছেন কবি। শাহবাগের সেই হোস্টেলেই নিভেছে দ্রোহের আগুন।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণায় জন্মগ্রহণ করেন হেলাল হাফিজ। কবিতার জন্য ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স