ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫ , ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পোরশায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সম্মানানা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আমতলীতে মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আমতলীতে খোলা বাজারে পেট্রোল ও ডিজেল বিক্রি করার মহোৎসব ইশরাক-কায়কোবাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে আসিফ প্রতীকী মূল্যে সরকারি সম্পত্তি কাউকে দেওয়া হবে না-অর্থ উপদেষ্টা আমরা সংস্কারকে ভয় পাই না স্বাগত জানাই-মির্জা ফখরুল মবতন্ত্র দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে-গণসংহতি প্রেস কাউন্সিলে নতুন কমিটি, ১২ জনকে অন্তর্ভুক্ত বাস-ট্রাক চালকদের ভালো স্বাস্থ্য আমাদের সবার জন্য জরুরি ডানপন্থী রাজনীতিতে বেড়েছে দৃশ্যমানতা জুলাই শুধু স্বৈরাচার মুক্তির মাস নয়, এটা পুনর্জন্মের মাস : প্রধান উপদেষ্টা পুঁজিবাজারে কোটি টাকা হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে জলবায়ু পরিবর্তন-খাদ্য সংকটে হুমকিতে সুন্দরবনের বাঘ জুলাই সনদের খসড়ায় আপত্তি জানিয়েছে এনসিপি-জামায়াত বিচার নিয়ে আমাদের আন্তরিকতায় সন্দেহ রাখবেন না -আইন উপদেষ্টা নৈরাজ্যের শঙ্কা দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ১৬০ দিন পর কুয়েটে ক্লাস শুরু বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু ৯ জন উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ ৬ ‘খোলা জানালা’ সেবা চালু করেছে ‘ডিআরইউ’

পাবনায় স্বাভাবিক হারে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল

  • আপলোড সময় : ২৩-১২-২০২৪ ১১:০৯:৫২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-১২-২০২৪ ১১:০৯:৫২ পূর্বাহ্ন
পাবনায় স্বাভাবিক হারে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল
পাবনা প্রতিনিধি পাবনায় গত দেড় মাস ধরে স্বাভাবিক হারে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো থেকে সঠিক সরবরাহ না থাকায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। গত এক সপ্তাহ ধরে চাহিদার চার ভাগের বিপরীতে মিলছে একভাগের কম। সেগুলো কিনতেও গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি জেনেও বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত দামে ভোক্তারা কিনছেন খোলা তেল। সম্প্রতি পাবনার বাজারগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। পাবনায় সয়াবিন তেলের অধিকাংশ ডিলার পয়েন্ট বড় বাজার ও আশেপাশের এলাকাগুলোতে। এসব এলাকা ও বাজার ঘুরে দেখা যায়, কোথাও বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলছে না। তবে পুষ্টি কোম্পানির সয়াবিন তেল মিলছে কিছু কিছু। এ তেল নেওয়ার ক্ষেত্রেও কোম্পানির অন্যান্য পণ্য নেওয়ায় বাধ্যবাধকতাসহ ডিলারদের মানতে হচ্ছে নানাবিধ শর্ত। তারপরও মিলছে চাহিদার একভাগ তেল। এছাড়া ২/১ কার্টন করে তীর সয়াবিন পেয়েছেন ডিলাররা। এ দিয়ে চাহিদার কোনো অংশ মেটানোও সম্ভব নয় বলে দাবি তেল বিক্রেতাদের। দু’একটি কোম্পানির তেল খুচরা পর্যায়ে ১৫-২০ টাকা অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। পুষ্টি সয়াবিনের ডিলার মেসার্স পুষ্টি ট্রেডার্সের ম্যানেজার ওয়াদুদ হোসেন জানান, এ পয়েন্ট থেকে প্রতিমাসে কমপক্ষে ৩১ টন বোতলের সয়াবিন যায় বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। সেখানে কোম্পানি থেকে পাচ্ছি ৭-৮ টনের মতো। এরমধ্যে ৫ ও ৩ লিটারের কিছু বোতল পাচ্ছি। কিন্তু ১ ও হাফ লিটার পাওয়াই যাচ্ছে না। এগুলো পেতেও মানতে হয় নানা শর্ত। কখনো ১ কার্টন তেলের সঙ্গে ১ বস্তা বা তার বেশি আটা নিতে হয়, আবার কখনো অন্যকিছু। এভাবে ব্যবসা চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। দ্রুতই সরবরাহ স্বাভাবিক না করলে লোকসানে ব্যবসা বন্ধের দিকে যাচ্ছে। তীর সয়াবিনের ডিলার উত্তম কুন্ডু জানান, এ মাসে ৬ টন সয়াবিন তেল পেয়েছি। ৮ টাকা বর্ধিত মূল্য অনুযায়ী ১ লিটারের খুচরা মূল্য ১৭৫, ৩ লিটার ৫২৫ ও ৫ লিটার ৮৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্ধিত মূল্যনীতি অনুযায়ী ডিলার থেকে খুচরা সকল ব্যবসায়ী প্রতি লিটারে ৩ টাকা হারে লাভে বিক্রি করবেন। কোম্পানির রেট থেকে সে অনুযায়ীই আমরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছি। তবে এত স্বল্প তেলে বাজার ধরে রাখা যায় না জানিয়ে এ ডিলার বলেন, এভাবে মার্কেট নষ্ট হচ্ছে। আমাদের কাস্টমার নষ্ট হচ্ছে। সবাই খোলা তেলে ঝুঁকে যাচ্ছে। এ স্থবিরতা দ্রুত কাটানো উচিত বলে মনে করেন তিনি। খুচরা দোকানি হেলাল ও সাইদুর রহমান জানান, দাম না বাড়ানোয় লোকসানের বাহানায় তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিলো। এখন দাম বাড়ালেও তেল দিচ্ছে না। মাস দেড়েক পর তীরের ২ লিটার তেল পেলাম এক কার্টন (৬ বোতল)। গায়ের মূল্যেই বিক্রি করছি আমরা। এদিকে বোতলের সয়াবিন না পেয়ে খোলা তেলের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। খোলা সয়াবিন হওয়ায় বাসা থেকে বোতল সহ প্রয়োজনীয় পাত্র এনে নিচ্ছেন তেল। এতে বেচা-বিক্রি বেড়েছে খোলা সয়াবিন বিক্রেতাদের। আবার খোলা সয়াবিনে স্বাস্থ্য ঝুঁকি মাথায় রেখে অল্প অল্প করে তেল কিনছেন ক্রেতারা। তবে সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে তেল বিক্রি নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে তাদের মধ্যে। বড় বাজারে আসা ক্রেতা জামিলুর রহমান বলেন, দেড়/দুই মাস ধরে তেল নিয়ে ঝক্কি-ঝামেলায় আছি। এমনিতেই সবকিছুতে ভেজাল। বোতলের তেল খেয়েও নানা রোগ বালাইয়ের ভুগতে হয়। এরমধ্যে খোলা তেল খেতে হচ্ছে। এসব বিবেচনায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিচ্ছি না। আরেক ক্রেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দাম ৮ টাকা করে বাড়ানো হলো। তাতেও তেল নেই। এদিকে অতিরিক্ত চাপের সুযোগ নিচ্ছেন খোলা তেল ব্যবসায়ীরা। প্রতি লিটার সয়াবিনে সরকার নির্ধারিত দামের ১০-১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রির অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি খোলা তেল ব্যবসায়ীদের। তারা জানান, সরকার লিটার প্রতি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। তারা বিক্রি করেন কেজি হিসেবে। লিটার এবং কেজির পার্থক্য প্রায় এক থেকে দেড়শো গ্রামের। লিটারের তুলনায় বেশি ওজনের ওইটুকু দাম তারা ধরে নিচ্ছেন। এর বাইরে বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে না বলেও দাবি তাদের।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ