ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫ , ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পোরশায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সম্মানানা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আমতলীতে মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আমতলীতে খোলা বাজারে পেট্রোল ও ডিজেল বিক্রি করার মহোৎসব ইশরাক-কায়কোবাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে আসিফ প্রতীকী মূল্যে সরকারি সম্পত্তি কাউকে দেওয়া হবে না-অর্থ উপদেষ্টা আমরা সংস্কারকে ভয় পাই না স্বাগত জানাই-মির্জা ফখরুল মবতন্ত্র দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে-গণসংহতি প্রেস কাউন্সিলে নতুন কমিটি, ১২ জনকে অন্তর্ভুক্ত বাস-ট্রাক চালকদের ভালো স্বাস্থ্য আমাদের সবার জন্য জরুরি ডানপন্থী রাজনীতিতে বেড়েছে দৃশ্যমানতা জুলাই শুধু স্বৈরাচার মুক্তির মাস নয়, এটা পুনর্জন্মের মাস : প্রধান উপদেষ্টা পুঁজিবাজারে কোটি টাকা হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে জলবায়ু পরিবর্তন-খাদ্য সংকটে হুমকিতে সুন্দরবনের বাঘ জুলাই সনদের খসড়ায় আপত্তি জানিয়েছে এনসিপি-জামায়াত বিচার নিয়ে আমাদের আন্তরিকতায় সন্দেহ রাখবেন না -আইন উপদেষ্টা নৈরাজ্যের শঙ্কা দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ১৬০ দিন পর কুয়েটে ক্লাস শুরু বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু ৯ জন উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ ৬ ‘খোলা জানালা’ সেবা চালু করেছে ‘ডিআরইউ’

ডুমুরিয়ায় সাত ইটভাটায় ১৩ লাখ টাকা জরিমানা

  • আপলোড সময় : ১৮-০১-২০২৫ ০৯:১৪:৩৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০১-২০২৫ ০৯:১৪:৩৮ অপরাহ্ন
ডুমুরিয়ায় সাত ইটভাটায় ১৩ লাখ টাকা জরিমানা
ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি
ডুমুরিয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইট প্রস্তুত ও পোড়ানো এবং ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে আরো ৭টি ইটভাটাকে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতর অভিযান চালিয়ে জরিমানা ধার্য্য এবং পানি ছিটিয়ে ভাটার জ্বলন্ত চুল্লী নিষ্কৃয় করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম এবং ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুর রহমান। অভিযানে দণ্ডপ্রাপ্ত ইটভাটা গুলো হলো- আটলিয়া ইউনিয়নের কুলবাড়িয়া এলাকায় অবস্হিত আব্দুল হাই বাহার’র মেসার্স বাহার ব্রিক্সর চুল্লী ভেঙে দেয়া হয় এবং পানি ছিটিয়ে ভাটার জ্বলন্ত চুল্লী নিভিয়ে নিষ্কৃয় করা হয়। খর্ণিয়া ব্রিজের উত্তর পাশে অবস্থিত শাহাজান জমাদ্দার মালিকানাধীন সান ব্রিকসে ২ লাখ টাকা, রানাই এলাকায় অবস্হিত মেরী ব্রিকসে ২ লাখ টাকা ও আব্দুল লতিফ জমাদ্দারের জে.বি ব্রিকসে ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং আমিনুর রশিদ’র মালিকানাধীন লুইন ব্রিকসে ২ লাখ টাকা,চহেড়া এলাকার গাজী আব্দুল হকের সেতু ব্রিকসে ১ লাখ এবং শোলগাতিয়া এলাকায় ইকবাল জমাদ্দারের স্টোন ব্রিকসে ২ লাখ টাকা, গুটুদিয়ার কুলটী এলাকার জে,সি ব্রিকসে ২ লাখ টাকা জরিমানা সহ মোট ১৩ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য্য করা করা হয়।এ সময় অধিকাংশ ইটভাটার জ্বলন্ত চুল্লীতে পানি ছিটিয়ে নিষ্কৃয় করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার শোলমারী নদী তীরবর্তী এন,কে,বি ব্রিক্সে ৫ লাখ টাকা,এস,বি ব্রিক্সে ২ লাখ টাকা এবং সেতু ব্রিক্সে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য্য করে আদায় করা হয়। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ও শোলগাতিয়া এলাকায় ভদ্রা ও হরি নদীর চর ভরাটিয়া জমির কিছু অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ইট ভাটা। ইট ভাটাগুলোর লাইসেন্স এবং পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্রের মেয়াদ ৩/৪ বছর পূর্বে উত্তীর্ণ হলেও অবৈধভাবে তা পরিচালিত হয়ে আসছে। আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন পরিবেশ দপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টীম, থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। প্রসঙ্গত: ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া, খর্ণিয়া ও রুদাঘরা ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ভদ্রা ও হরি নদীর তীরের চর ভরাটিয়া জমি এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি দীর্ঘ দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে ইট ভাঁটা পরিচালনা করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হরি ও ভদ্রা নদীর জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটা উচ্ছেদের জন্য জনস্বার্থে সংগঠনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়ার আইনজীবী মঞ্জিল মোরশেদ রীট পিটিশন দায়ের করেন। এক পর্যায়ে ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর মহামান্য হাইকোর্ট রীট পিটিশনটি শুনানীয়ান্তে পরবর্তি ৬০ দিনের মধ্যে ১৪টি ইটভাটার মধ্যে সরকারি জায়গায় স্হাপিত সকল অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। বিচারপতি মো. মজিবর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্যার বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়া ইট ভাঁটা গুলো হচ্ছে-ডুমুরিয়া কুলবাড়িয়া, বরাতিয়া ও ভদ্রাদিয়া মৌজার ভদ্রা নদীর তীরবর্তী এসবি ব্রিকস এর প্রতিষ্ঠানের মালিক ফজলুর রহমান। একই মৌজা ও নদীর তীরে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি’র মালিকানাধীন কে.পি.বি ব্রিকস, কুলবাড়িয়া বরাতিয়া ও খর্ণিয়া মৌজার ভদ্রা তীরের এজাজ আহমেদের সেতু-১ ব্রিকস, শাহজাহান জমাদ্দারের নূরজাহান-১ ব্রিকস, হুমায়ুন কবির ভুলুর কে.বি-২ ব্রিকস, কুলবাড়িয়া বরাতিয়া ভদ্রা নদী তীরে শাহজাহান জমাদ্দারের শান ব্রিকস, রানাই মৌজার ভদ্রা নদীর তীরে মো. সোবাহান সানার এফএম ব্রিকস, রানাই মৌজার হরি নদী তীরের জাহিদুল ইসলামের কে.বি ব্রিকস, ইসমাইল হোসেন বিশ্বাসের আল-মদিনা ব্রিকস, মশিউর রহমানের মেরি ব্রিকস, আবদুল লতিফ জমাদ্দারের জে.বি ব্রিকস, আমিনুর রশিদের লুইন ব্রিকস, চহেড়া মৌজার হরি নদী তীরে গাজী আবদুল হকের সেতু-৪ ব্রিকস এবং রুদাঘরা মৌজার হরি নদী তীরের গাজী ইমরানুল করিরের টিএম.বি ব্রিকস।আরো জানা যায়, এর আগে হাইকোর্ট রুল জারি করে হরি ও ভদ্রা নদীর সীমানায় সিএস, আরএস রেকর্ড অনুসারে জরিপ করে দখলদারদের তালিকাসহ ৯০দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ