ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এস এইচ কে এস সি শিক্ষার্থীদের ‘হ্যাপি ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠিত করদাতার ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টির শঙ্কা নারায়ণগঞ্জে গুলি করে কুপিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নেই- দুদু কানাডা প্রবাসীদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু অর্থনীতিতে অশনি সংকেত শত শত কারখানা বন্ধ এপিবিএন অধিনায়কের প্রত্যাহারচাওয়া নিয়ে তোলপাড় নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি শাহজাহানপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২ গণপরিবহনে সংরক্ষিত হচ্ছে না যাত্রীদের অধিকার জাবি শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের দাফন সম্পন্ন জাকসুর ফল প্রকাশে বিলম্ব ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন হবে-প্রেস সচিব বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি তিনজন কারাগারে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রবেশ পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি রোড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ এক্সিবিশনে যৌথ সক্ষমতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে-বাণিজ্য উপদেষ্টা স্বস্তি নেই সবজির দামে নিত্যপণ্যের দাম চড়া রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ বিশ্বকাপের টিকেট না পাওয়ায় বরখাস্ত হলো ভেনেজুয়েলা ও পেরুর কোচ

ডুমুরিয়ায় সাত ইটভাটায় ১৩ লাখ টাকা জরিমানা

  • আপলোড সময় : ১৮-০১-২০২৫ ০৯:১৪:৩৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০১-২০২৫ ০৯:১৪:৩৮ অপরাহ্ন
ডুমুরিয়ায় সাত ইটভাটায় ১৩ লাখ টাকা জরিমানা
ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি
ডুমুরিয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইট প্রস্তুত ও পোড়ানো এবং ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে আরো ৭টি ইটভাটাকে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতর অভিযান চালিয়ে জরিমানা ধার্য্য এবং পানি ছিটিয়ে ভাটার জ্বলন্ত চুল্লী নিষ্কৃয় করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম এবং ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুর রহমান। অভিযানে দণ্ডপ্রাপ্ত ইটভাটা গুলো হলো- আটলিয়া ইউনিয়নের কুলবাড়িয়া এলাকায় অবস্হিত আব্দুল হাই বাহার’র মেসার্স বাহার ব্রিক্সর চুল্লী ভেঙে দেয়া হয় এবং পানি ছিটিয়ে ভাটার জ্বলন্ত চুল্লী নিভিয়ে নিষ্কৃয় করা হয়। খর্ণিয়া ব্রিজের উত্তর পাশে অবস্থিত শাহাজান জমাদ্দার মালিকানাধীন সান ব্রিকসে ২ লাখ টাকা, রানাই এলাকায় অবস্হিত মেরী ব্রিকসে ২ লাখ টাকা ও আব্দুল লতিফ জমাদ্দারের জে.বি ব্রিকসে ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং আমিনুর রশিদ’র মালিকানাধীন লুইন ব্রিকসে ২ লাখ টাকা,চহেড়া এলাকার গাজী আব্দুল হকের সেতু ব্রিকসে ১ লাখ এবং শোলগাতিয়া এলাকায় ইকবাল জমাদ্দারের স্টোন ব্রিকসে ২ লাখ টাকা, গুটুদিয়ার কুলটী এলাকার জে,সি ব্রিকসে ২ লাখ টাকা জরিমানা সহ মোট ১৩ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য্য করা করা হয়।এ সময় অধিকাংশ ইটভাটার জ্বলন্ত চুল্লীতে পানি ছিটিয়ে নিষ্কৃয় করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার শোলমারী নদী তীরবর্তী এন,কে,বি ব্রিক্সে ৫ লাখ টাকা,এস,বি ব্রিক্সে ২ লাখ টাকা এবং সেতু ব্রিক্সে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য্য করে আদায় করা হয়। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ও শোলগাতিয়া এলাকায় ভদ্রা ও হরি নদীর চর ভরাটিয়া জমির কিছু অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ইট ভাটা। ইট ভাটাগুলোর লাইসেন্স এবং পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্রের মেয়াদ ৩/৪ বছর পূর্বে উত্তীর্ণ হলেও অবৈধভাবে তা পরিচালিত হয়ে আসছে। আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন পরিবেশ দপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টীম, থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। প্রসঙ্গত: ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া, খর্ণিয়া ও রুদাঘরা ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ভদ্রা ও হরি নদীর তীরের চর ভরাটিয়া জমি এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি দীর্ঘ দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে ইট ভাঁটা পরিচালনা করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হরি ও ভদ্রা নদীর জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটা উচ্ছেদের জন্য জনস্বার্থে সংগঠনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়ার আইনজীবী মঞ্জিল মোরশেদ রীট পিটিশন দায়ের করেন। এক পর্যায়ে ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর মহামান্য হাইকোর্ট রীট পিটিশনটি শুনানীয়ান্তে পরবর্তি ৬০ দিনের মধ্যে ১৪টি ইটভাটার মধ্যে সরকারি জায়গায় স্হাপিত সকল অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। বিচারপতি মো. মজিবর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্যার বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়া ইট ভাঁটা গুলো হচ্ছে-ডুমুরিয়া কুলবাড়িয়া, বরাতিয়া ও ভদ্রাদিয়া মৌজার ভদ্রা নদীর তীরবর্তী এসবি ব্রিকস এর প্রতিষ্ঠানের মালিক ফজলুর রহমান। একই মৌজা ও নদীর তীরে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি’র মালিকানাধীন কে.পি.বি ব্রিকস, কুলবাড়িয়া বরাতিয়া ও খর্ণিয়া মৌজার ভদ্রা তীরের এজাজ আহমেদের সেতু-১ ব্রিকস, শাহজাহান জমাদ্দারের নূরজাহান-১ ব্রিকস, হুমায়ুন কবির ভুলুর কে.বি-২ ব্রিকস, কুলবাড়িয়া বরাতিয়া ভদ্রা নদী তীরে শাহজাহান জমাদ্দারের শান ব্রিকস, রানাই মৌজার ভদ্রা নদীর তীরে মো. সোবাহান সানার এফএম ব্রিকস, রানাই মৌজার হরি নদী তীরের জাহিদুল ইসলামের কে.বি ব্রিকস, ইসমাইল হোসেন বিশ্বাসের আল-মদিনা ব্রিকস, মশিউর রহমানের মেরি ব্রিকস, আবদুল লতিফ জমাদ্দারের জে.বি ব্রিকস, আমিনুর রশিদের লুইন ব্রিকস, চহেড়া মৌজার হরি নদী তীরে গাজী আবদুল হকের সেতু-৪ ব্রিকস এবং রুদাঘরা মৌজার হরি নদী তীরের গাজী ইমরানুল করিরের টিএম.বি ব্রিকস।আরো জানা যায়, এর আগে হাইকোর্ট রুল জারি করে হরি ও ভদ্রা নদীর সীমানায় সিএস, আরএস রেকর্ড অনুসারে জরিপ করে দখলদারদের তালিকাসহ ৯০দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য