ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা নকলমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশনা ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক-প্রেস সচিব ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা প্রাণ গেল ৫ জনের পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে চার ভারতীয়সহ ১৬ জনকে পুশইন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ বাস কম যাত্রী বেশি, বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না টিকিট বেনাপোলে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেয়া হবে না পরিবেশ উপদেষ্টা যৌথ বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধÑ খেলাফত মজলিস ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা গ্রেফতার মৌসুমি ফলে ভরপুর বাজার দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতাদের সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু রোগী ও স্বজনদের মারধর করলেন ওয়ার্ড বয় উত্তরায় র‌্যাবের পোশাক পরে ‘নগদ’ এজেন্টের কোটি টাকা ছিনতাই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ মানা হচ্ছে না নির্দেশনা নতুন করে সংকটের মুখে দেশের পোশাক খাত নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ

বিমানে বোমা হুমকিতে ৬ ঘণ্টা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা

  • আপলোড সময় : ২৩-০১-২০২৫ ০৪:৪২:৩১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-০১-২০২৫ ০৪:৪২:৩১ অপরাহ্ন
বিমানে বোমা হুমকিতে ৬ ঘণ্টা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা
* বিমান থেকে নিরাপদে বের করে আনা হয় যাত্রীদের * আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশির পরে মেলেনি কোন কিছু * পাকিস্তানি নম্বর থেকে পাঠানো বোমা হামলার বার্তা ভুয়া * শাহজালাল বিমানবন্দরে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার ইতালির রোম থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে বোমা থাকার হুমকি পাওয়ার পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের রোম থেকে আসা একটি ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ কারা হয়। আড়াইশো যাত্রী এবং ১৩ ক্রু নিয়ে ফ্লাইটটি গতকাল বুধবার সকালে ঢাকায় নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়। তবে ফ্লাইটটিতে আদৌ কোনও বোমা আছে কিনা, সে বিষয়ে তল্লাশি শুরু করে বিমান বাহিনীর কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরএফ)। ফ্লাইটটিতে তল্লাশি চালিয়ে বোমা বা বোমা জাতীয় কোনও বস্তুর উপস্থিতি পায়নি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এই হুমকিতে দীর্ঘ প্রায় ৬ ঘণ্টা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে কেটেছে সংশ্লিষ্টদের। জানা গেছে, গতকাল বুধবার ভোরের দিকে অপরিচিত একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে বিমানবন্দরের কন্ট্রোল রুমে একটি বার্তা আসে। ওই বার্তায় বলা হয়, রোম থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩৫৬ ফ্লাইটটিতে বোমা রাখা আছে। তা যে কোনও সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এমন অবস্থায় কন্ট্রোল রুম থেকে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়। বোমা হামলার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে রোম থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩৫৬ নম্বর ফ্লাইটটিকে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বোমা হামলার হুমকির খবর পাওয়ার পরপরই বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া, বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে বিমানবন্দরে ছুটে আসেন। শুরু হয় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন। বিমান বাহিনীর একটি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল, কুইক রেসপন্স ফোর্স, ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেন। এর আগে প্রায়শই মহড়া হলেও বাস্তবে এমন ঘটনায় সবার মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজেরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে থাকেন সংশ্লিষ্টরা। এরপর অপেক্ষা, কখন ফ্লাইটটি অবতরণ করবে। অবশেষে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণের পরপরই গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে শুরু হয় তৎপরতা। প্রথমে ফ্লাইটের ভেতর থেকে দুই শতাধিক যাত্রী, ক্রুসহ সবাইকে নিরাপদে বের করে সরিয়ে নেয়া হয়। এরপর শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। জানা যায়, হোয়াটসঅ্যাপ বার্তাটি ছিল কালো ব্যাকগ্রাউন্ডের একটি ইমেজ এবং তাতে সাদা অক্ষরে লেখা ছিল, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি ৩৫৬ (রোম থেকে ঢাকা), যার আনুমানিক অবতরণের সময় রাত ৮টা ৪০ মিনিট। উড়োজাহাজটিতে এই মুহূর্তে ৩৪ কেজি ওজনের বিস্ফোরক রয়েছে বলেও ওই ক্ষুদে বার্তায় দাবি করা হয়। একইসঙ্গে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেয়া হয় বার্তাটিতে। তল্লাশি দলটি বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পুরো উড়োজাহাজটিতে তল্লাশি চালায়। দুটি ব্যাগ সন্দেহজনক মনে হলেও তাতেও কোনও কিছু পাওয়া যায়নি। সবশেষ ১২টার দিকে ফ্লাইটটিকে নিরাপদ ঘোষণা করলে অভিযানে অংশ নেয়া সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম দৈনিক জনতাকে বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হুমকি পাওয়া ফ্লাইটটিতে তল্লাশি চালিয়ে বোমা বা বোমা জাতীয় কোনও বস্তুর উপস্থিতি পায়নি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। গতকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া, নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম থেকে শুরু করে অন্তত দুই শতাধিক কর্মকর্তা-নিরাপত্তা কর্মী দুপুর ১২টার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। এ বিষয়ে এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক) এর পরিচালক উইং কমান্ডার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শুরু থেকেই পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়। আমরা বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বাড়িয়েছি। আমাদের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে কোন বস্তু পায়নি। বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুইঁয়া বলেন, আমাদের নিরাপত্তা যে কত সুসংহত, সেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। আমাদের প্রতিটি সদস্য আন্তরিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের সংবাদ পাওয়ার পরপরই আমি নিজেসহ সব কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কোনও কিছু না পাওয়া গেলেও আমরা প্রতিটি তথ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করি। নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সবসময়ই জিরো টলারেন্স।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স