ঢাকা , বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ইশরাক-কায়কোবাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে আসিফ প্রতীকী মূল্যে সরকারি সম্পত্তি কাউকে দেওয়া হবে না-অর্থ উপদেষ্টা আমরা সংস্কারকে ভয় পাই না স্বাগত জানাই-মির্জা ফখরুল মবতন্ত্র দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে-গণসংহতি প্রেস কাউন্সিলে নতুন কমিটি, ১২ জনকে অন্তর্ভুক্ত বাস-ট্রাক চালকদের ভালো স্বাস্থ্য আমাদের সবার জন্য জরুরি ডানপন্থী রাজনীতিতে বেড়েছে দৃশ্যমানতা জুলাই শুধু স্বৈরাচার মুক্তির মাস নয়, এটা পুনর্জন্মের মাস : প্রধান উপদেষ্টা পুঁজিবাজারে কোটি টাকা হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে জলবায়ু পরিবর্তন-খাদ্য সংকটে হুমকিতে সুন্দরবনের বাঘ জুলাই সনদের খসড়ায় আপত্তি জানিয়েছে এনসিপি-জামায়াত বিচার নিয়ে আমাদের আন্তরিকতায় সন্দেহ রাখবেন না -আইন উপদেষ্টা নৈরাজ্যের শঙ্কা দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ১৬০ দিন পর কুয়েটে ক্লাস শুরু বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু ৯ জন উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ ৬ ‘খোলা জানালা’ সেবা চালু করেছে ‘ডিআরইউ’ বগুড়ায় কার্গো সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের অফিসে ডাকাতি সাড়ে ১৭ লাখ টাকা লুট ৩৯৩ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি মৃত্যু একজনের ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ নারীর লাশ ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন

গাজায় হামলা ইসরায়েলকে প্রযুক্তিগত সহায়তা গুগলের

  • আপলোড সময় : ২৪-০১-২০২৫ ০২:২২:২১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-০১-২০২৫ ০২:২২:২১ অপরাহ্ন
গাজায় হামলা ইসরায়েলকে প্রযুক্তিগত সহায়তা গুগলের
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে সরাসরি প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সরাসরি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করেছে। গত বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের শুরু হওয়ার প্রথম কয়েক সপ্তাহ থেকেই গুগলের কর্মীরা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে তাদের সর্বাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সুবিধা দিতে শুরু করে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গুগল এমন এক সময়ে এই কাজটি করেছে যখন গুগল নিজেকে ইসরায়েলের সামরিক ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছিল। এর আগে, ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে ক্লাউড কম্পিউটিং চুক্তি নিয়ে নিজ কর্মীদের প্রতিবাদের মুখোমুখি হয়েছিল গুগল।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, তাদের কাছে আসা নথিপত্র থেকে তারা জানতে পেরেছে যে, গুগল ক্লাউডের একজন কর্মী ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে গুগলের এআই প্রযুক্তির অ্যাকসেস দ্রুত দেয়ার অনুরোধে তৎপর হন। ইসরায়েল গুগলের মেশিন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ভার্টেক্সের সেবার ব্যবহার দ্রুত বাড়াতে চেয়েছিল। এই সেবাটি ব্যবহারকারীদের মেশিন লার্নি মডেলের ওপর প্রশিক্ষণ দেয় ও এআই ব্যবহারের সুযোগ দেয়।
গুগলের পক্ষ থেকে দ্রুত সেবা না দেয়া হলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাউড পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আমাজনের দিকে ঝুঁকতে পারে বলে উদ্বেগ ছিল। আমাজনও গুগলের মতোই ৪ বিলিয়ন ডলারের নিমবাস প্রকল্প চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করছে।
এর আগে, ২০২৪ সালে গুগল ৫০ জন কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। এই কর্মীদের দাবি ছিল, নিমবাস চুক্তির মাধ্যমে সরবরাহ করা প্রযুক্তি ফিলিস্তিনিদের ক্ষতি করার জন্য ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ব্যবহার করবে। এর আগে ২০২১ সালে, গুগল ও আমাজনের কর্মীরা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক খোলা চিঠিতে নিমবাস প্রকল্প চুক্তির নিন্দা জানান।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের বিভিন্ন নথি অনুসারে, গুগলের কর্মীরা আইডিএফের জন্য অতিরিক্ত এআই অ্যাকসেস চেয়ে আবেদন করেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে গুগলের এক কর্মী আইডিএফের জন্য জেমিনি এআই প্রযুক্তির অ্যাকসেস ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করেন। জেমিনি এআই ব্যবহারকারীদের ডকুমেন্ট ও অডিও প্রক্রিয়াজাত করার জন্য একটি এআই সহকারী তৈরির সুযোগ দেয়।
ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, গুগলের প্রযুক্তি ইসরায়েল কীভাবে ব্যবহার করছে তা নথিতে উল্লেখ করা হয়নি। তবে গুগল আগে বলেছিল, নিমবাস চুক্তির আওতায় ইসরায়েলকে প্রদত্ত ক্লাউড সেবা সেনা বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অস্ত্র বা সংবেদনশীল কাজে ব্যবহার উপযোগী নয়। তবে ইসরায়েলের ন্যাশনাল সাইবার ডিরেক্টরের পরিচালক গ্যাবি পোর্টনয় ২০২৪ সালের এক সম্মেলনে বলেন, ‘নিমবাস ক্লাউডের কারণে যুদ্ধের সময় অসাধারণ কিছু অগ্রগতি অর্জিত হচ্ছে, যা বিজয়ে বড় ভূমিকা রাখছে। তবে আমি এর বিস্তারিত বলতে পারব না।’
ইসরায়েল বেশ কয়েক বছর ধরেই সামরিক ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। বিশেষ করে, সার্ভেল্যান্স বা নজরদারি ফুটেজ বিশ্লেষণের কাজে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ওয়াশিংটন পোস্টের আলাদা এক তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, আইডিএফ ‘হাবসোরা’ নামের একটি এআই টুল ব্যবহার করে মানুষ ও বিভিন্ন স্থাপনাগত অবকাঠামোসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাবসোরা বিভিন্ন তথ্য যেমন, টেলিফোনে কথোপকথন ও স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুর স্থানাঙ্ক তৈরি করে। এই তথ্য প্রকাশের পর এআই ব্যবহারে মানুষের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তবে আইডিএফ তাদের বিবৃতিতে দাবি করেছিল, এই প্রযুক্তি ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এবং মানুষ পরিচালিত প্রক্রিয়ার নির্ভুলতা বাড়াতে সহায়ক।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স