ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছেন-জামায়াত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক দেশে স্বস্তি এনেছে বললেন দুদু মামলার আগেই আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক, বড় পরিবর্তন আসছে আইনে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস আয়রন ডোম চুরমার ইসরায়েলি সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান ইরানের কাছে ধরাশায়ী ইসরায়েল মেসিদের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ মাঠে ফেরায় তোড়জোড় গগবার অনিশ্চয়তায় ক্যাবরেরার ভবিষ্যৎ ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাবকে আইসিসির ‘না’ বিগব্যাশে ডাক পেলেন বাবর আজম পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন ইউসুফ তারকাবিহীন দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলি হামলায় নিন্দার ঝড় ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার ও পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা সবকিছু শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি করুন ইরানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ঢাকার বাইরে হাইকোর্ট বিভাগের অধিবেশন আয়োজনের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি

বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিশেষ আদালত হচ্ছে-প্রধান বিচারপতি

  • আপলোড সময় : ২৬-০১-২০২৫ ০৭:২৭:১৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০১-২০২৫ ০৭:২৭:১৬ অপরাহ্ন
বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিশেষ আদালত হচ্ছে-প্রধান বিচারপতি
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
বিচার বিভাগের চলমান সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিশেষায়িত আদালত প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
গতকাল শনিবার মৌলভীবাজারে এক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান বলে সুপ্রিম কোর্টের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
‘জুডিশিয়াল ইন্ডিপেন্ডেন্স অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনার যৌথভাবে আয়োজন করে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, চলমান বিচারিক সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে যে সকল কার্যক্রম চলমান রয়েছে, তারই অংশ হিসেবে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাণিজ্য বিরোধের দ্রুত নিষ্পত্তিতে এই আদালত সহায়ক হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর ফলে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ সময়োপযোগী ও কার্যকর আইনগত প্রতিকার লাভ করতে সক্ষম হবেন, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং অধিক পরিমাণে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে।
এই উদ্যোগ বিচার ব্যবস্থাকে পরিবর্তনশীল অর্থনীতির চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে এবং বাংলাদেশকে একটি প্রতিযোগিতামূলক ও বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্যের উপযোগী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে প্রধান বিচারপতি মনে করেন।
তরুণ প্রজন্মের জন্য শিক্ষাক্রমে সাংবিধানিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে সৈয়দ রেফাত বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টে ছাত্র-জনতার স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সংঘটিত বিপ্লব সংবিধানিকতা ও আইনের শাসনের প্রতি এদেশের তরুণ প্রজন্মের ক্রমবর্ধমান প্রতিশ্রুতি ও সচেতনতার বিষয়টি আমাদের সামনে নতুন করে তুলে ধরেছে।
প্রধান বিচারপতি মনে করেন, প্রাথমিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংবিধানে উল্লিখিত নাগরিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সম্পর্কে তরুণদের জ্ঞান অর্জনের সুযোগ করে দেওয়া হলে সেই অর্জিত শিক্ষা একটি ন্যায়সঙ্গত ও গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে এদেশের তরুণদের অবদান রাখার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে।
বিচার বিভাগীয় সংস্কারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন নতুন পদ্ধতি চালু করার পাশাপাশি সংবিধানের বিদ্যমান বিধানের কার্যকর প্রয়োগের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, সংবিধানের ষষ্ঠ অংশের প্রথম অধ্যায়ের বেশ কিছু বিধান, যা কখনও সেভাবে প্রয়োগ করা হয়নি- তা বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে নতুন করে পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে তিনি সুপ্রিম কোর্টের ‘স্পেশাল কমিটি ফর জুডিসিয়াল রিফর্ম’র সভাপতি বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদের আওতায় অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ এবং ১০০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ঢাকার বাইরে হাই কোর্ট বিভাগের অধিবেশন আয়োজনের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।
এছাড়া প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম। এছাড়া সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিশেষ আদালত হচ্ছে
-প্রধান বিচারপতি
ঢাকার বাইরে হাইকোর্ট বিভাগের অধিবেশন আয়োজনের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
বিচার বিভাগের চলমান সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিশেষায়িত আদালত প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
গতকাল শনিবার মৌলভীবাজারে এক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান বলে সুপ্রিম কোর্টের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
‘জুডিশিয়াল ইন্ডিপেন্ডেন্স অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনার যৌথভাবে আয়োজন করে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, চলমান বিচারিক সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে যে সকল কার্যক্রম চলমান রয়েছে, তারই অংশ হিসেবে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাণিজ্য বিরোধের দ্রুত নিষ্পত্তিতে এই আদালত সহায়ক হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর ফলে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ সময়োপযোগী ও কার্যকর আইনগত প্রতিকার লাভ করতে সক্ষম হবেন, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং অধিক পরিমাণে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে।
এই উদ্যোগ বিচার ব্যবস্থাকে পরিবর্তনশীল অর্থনীতির চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে এবং বাংলাদেশকে একটি প্রতিযোগিতামূলক ও বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্যের উপযোগী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে প্রধান বিচারপতি মনে করেন।
তরুণ প্রজন্মের জন্য শিক্ষাক্রমে সাংবিধানিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে সৈয়দ রেফাত বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টে ছাত্র-জনতার স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সংঘটিত বিপ্লব সংবিধানিকতা ও আইনের শাসনের প্রতি এদেশের তরুণ প্রজন্মের ক্রমবর্ধমান প্রতিশ্রুতি ও সচেতনতার বিষয়টি আমাদের সামনে নতুন করে তুলে ধরেছে।
প্রধান বিচারপতি মনে করেন, প্রাথমিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংবিধানে উল্লিখিত নাগরিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সম্পর্কে তরুণদের জ্ঞান অর্জনের সুযোগ করে দেওয়া হলে সেই অর্জিত শিক্ষা একটি ন্যায়সঙ্গত ও গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে এদেশের তরুণদের অবদান রাখার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে।
বিচার বিভাগীয় সংস্কারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন নতুন পদ্ধতি চালু করার পাশাপাশি সংবিধানের বিদ্যমান বিধানের কার্যকর প্রয়োগের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, সংবিধানের ষষ্ঠ অংশের প্রথম অধ্যায়ের বেশ কিছু বিধান, যা কখনও সেভাবে প্রয়োগ করা হয়নি- তা বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে নতুন করে পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে তিনি সুপ্রিম কোর্টের ‘স্পেশাল কমিটি ফর জুডিসিয়াল রিফর্ম’র সভাপতি বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদের আওতায় অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ এবং ১০০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ঢাকার বাইরে হাই কোর্ট বিভাগের অধিবেশন আয়োজনের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।
এছাড়া প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম। এছাড়া সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য