ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছেন-জামায়াত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক দেশে স্বস্তি এনেছে বললেন দুদু মামলার আগেই আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক, বড় পরিবর্তন আসছে আইনে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস আয়রন ডোম চুরমার ইসরায়েলি সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান ইরানের কাছে ধরাশায়ী ইসরায়েল মেসিদের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ মাঠে ফেরায় তোড়জোড় গগবার অনিশ্চয়তায় ক্যাবরেরার ভবিষ্যৎ ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাবকে আইসিসির ‘না’ বিগব্যাশে ডাক পেলেন বাবর আজম পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন ইউসুফ তারকাবিহীন দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলি হামলায় নিন্দার ঝড় ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার ও পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা সবকিছু শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি করুন ইরানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

শিল্পে বিকল্প জ্বালানি এলপিজি আসছে নীতিমালা

  • আপলোড সময় : ২৭-০১-২০২৫ ১২:০৪:২৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০১-২০২৫ ১২:০৪:২৫ অপরাহ্ন
শিল্পে বিকল্প জ্বালানি এলপিজি আসছে নীতিমালা
* বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ব্যবহৃত এলপিজির পরিমাণ ১৮ লাখ টন * ১৫ শতাংশ শিল্পে ব্যবহার হলেও এতদিন কোনও সরকারি নীতিমালা ছিল না শিল্পের বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এলপিজি ব্যবহারের চিন্তা করছে সরকার। গ্যাস সংকটের কারণে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন ভাবনা সামনে রেখে কাজ করা হচ্ছে। ইদানীং শিল্পে গ্যাসের দামের উল্লম্ফনের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কিন্তু দাম বাড়ানো হলেও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিয়ে সংশয়ে রয়েছে সরকার। জ্বালানি বিভাগের নীতি এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান হাইড্রোকার্বন ইউনিট সূত্র জানায়, শিল্পে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এলপিজি ব্যবহার করার বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। অংশীজন বা স্টেক হোল্ডারদের মতামত নিয়ে বিষয়টি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সরকার নীতিমালাটি অনুমোদন করলে শিল্পে এলপিজি ব্যবহার শুরুর বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে। জানা যায়, বর্তমানে দেশের শিল্প কারখানার বড় একটি অংশ গ্যাস দিয়ে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালাচ্ছে। গ্যাসের প্রতি ঘনমিটারের মূল্য দিচ্ছে ৩০ টাকা। সরকার এটি বাড়িয়ে ৭৫ টাকা করার চিন্তা করছে। দাম বাড়ানো হলেও শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে এখন সব মিলিয়ে চার হাজার ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে সরবরাহ করা হচ্ছে দুই হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। অর্থাৎ দৈনিক ঘাটতি রয়েছে এক হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এই বাস্তবতায় সরকার চাইলেও গ্যাসের সরবরাহ বাড়াতে পারবে না। কারণ দেশীয় খনিগুলোর উপাদন দিনের পর দিন কমছে। নতুন কোনও বড় খনিও পাওয়া যাচ্ছে না। দেশে তেল গ্যাস অনুসন্ধান কাজ শুরু হলেও নিকট অতীতে এর সুফল মেলা কঠিন। গত ১০ বছরে কেবল ভোলা ছাড়া দেশের আর কোথাও বড় কোনও গ্যাসের রিজার্ভ পাওয়া যায়নি। ভোলায় গ্যাস পাওয়া গেলেও জাতীয় গ্রিড না থাকায় সেই গ্যাসে খুব বড় উপকার হচ্ছে না। তবে সীমিত পরিসরে ভোলা থেকে সিএনজি করে একটি কোম্পানি দেশের গাজীপুর অঞ্চলের শিল্পে কিছু গ্যাস সরবরাহ করছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শিল্প মালিকরা বাড়তি দামে হলেও গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ চাচ্ছে। সঙ্গত কারণে সরকার যদি গ্যাস দিতে না পারে তাহলে বিকল্প হিসেবে এলপিজির সংস্থান করা গেলে তা দিয়েও শিল্প কারখানা চলতে পারে। হাইড্রোকার্বন ইউনিট সূত্র বলছে, এখন যেমন গ্যাস দিয়ে শিল্প মালিকরা জেনারেটর চালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, ঠিক একইভাবে এলপিজি দিয়ে জেনারেটর চালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। বেসরকারি অনেক কোম্পানি এলপিজি সরবরাহ করে। এসব কোম্পানি সরাসারি শিল্পে এলপিজি সরবরাহ করবে। বর্তমানে সারা দেশে এলপিজি দিয়ে গাড়ি চালানো হচ্ছে। হাইড্রোকার্বন ইউনিটের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা শিল্পে এলপিজি ব্যবহারের নীতিমালার খসড়া শেষে অংশীজনের মতামত নিয়ে সরকারের কাছে জমা দিয়েছি। সরকার এটি চূড়ান্ত করবে। আশা করছি খুব দ্রুত নীতিমালাটি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ব্যবহৃত এলপিজির পরিমাণ ১৮ লাখ টন। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ শিল্পে ব্যবহার হলেও এতদিন কোনও সরকারি নীতিমালা ছিল না। সরকারি নীতিমালা থাকলে এলপিজি আরও বেশি ব্যবহার করা সম্ভব। এতে করে প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর চাপ কমবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য