ঢাকা , বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ইশরাক-কায়কোবাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে আসিফ প্রতীকী মূল্যে সরকারি সম্পত্তি কাউকে দেওয়া হবে না-অর্থ উপদেষ্টা আমরা সংস্কারকে ভয় পাই না স্বাগত জানাই-মির্জা ফখরুল মবতন্ত্র দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে-গণসংহতি প্রেস কাউন্সিলে নতুন কমিটি, ১২ জনকে অন্তর্ভুক্ত বাস-ট্রাক চালকদের ভালো স্বাস্থ্য আমাদের সবার জন্য জরুরি ডানপন্থী রাজনীতিতে বেড়েছে দৃশ্যমানতা জুলাই শুধু স্বৈরাচার মুক্তির মাস নয়, এটা পুনর্জন্মের মাস : প্রধান উপদেষ্টা পুঁজিবাজারে কোটি টাকা হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে জলবায়ু পরিবর্তন-খাদ্য সংকটে হুমকিতে সুন্দরবনের বাঘ জুলাই সনদের খসড়ায় আপত্তি জানিয়েছে এনসিপি-জামায়াত বিচার নিয়ে আমাদের আন্তরিকতায় সন্দেহ রাখবেন না -আইন উপদেষ্টা নৈরাজ্যের শঙ্কা দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ১৬০ দিন পর কুয়েটে ক্লাস শুরু বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু ৯ জন উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ ৬ ‘খোলা জানালা’ সেবা চালু করেছে ‘ডিআরইউ’ বগুড়ায় কার্গো সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের অফিসে ডাকাতি সাড়ে ১৭ লাখ টাকা লুট ৩৯৩ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি মৃত্যু একজনের ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ নারীর লাশ ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার

আলু আবাদে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের

  • আপলোড সময় : ৩০-০১-২০২৫ ১১:২৪:১৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-০১-২০২৫ ১১:২৪:১৬ অপরাহ্ন
আলু আবাদে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের
চাঁদপুর প্রতিনিধি
গত বছর আলুর বাজার দর বাড়তি থাকায় এ বছর চাঁদপুর জেলায় আলু আবাদে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। একই  সঙ্গে আবহাওয়া  অনুকূলে থাকায় এখন পর্যন্ত জমির অবস্থাও ভালো। জমিতে এখন চলছে পরিচর্যা। কৃষি বিভাগ বলছে আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত ভালো থাকলে আলুর বাম্পার ফলন হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় থেকে জানা গেছে, জেলার ৮ উপজেলায় গত বছর আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৫৯০ হেক্টর। এবছর আবাদ বেড়ে হয়েছে ৮ হাজার ২ হেক্টর। সবচেয়ে  বেশি আবাদ হয়েছে জেলার দুই সেচ প্রকল্পের বাহির এলাকায়। এর মধ্যে মতলব দক্ষিণ ২ হাজার ৪৫০ হেক্টর, কচুয়া ২ হাজার ২৫ হেক্টর ও সদর উপজেলায় ১হাজার ৭২ হেক্টর। সরেজমিন সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর, চান্দ্রা, বালিয়া, বাগাদি, আশিকাটি, শাহমাহমুদপুর, হাইমচর উপজেলার আলগী উত্তর ইউনিয়ন, মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদি দক্ষিণ ও পৌর এলাকায় দেখাগেছে অধিকাংশ জমিতে কৃষকরা আলুর জমিতে পরিচর্যার কাজ করছেন। আবার অনেকে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দনপর্দি গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রতিবছর শীত মৌসুমে আলু আবাদের পর নাবী দশা নামক রোগ দেখা দেয়। তবে এ বছর আবহাওয়া অনকূলে থাকলেও আমরা আগ থেকেই সতর্ক। প্রতিটি আবাদি জমিতে কীটনাশক দেয়া হচ্ছে। একই এলাকার কৃষক আলু চাষী সুরুজ মিয়া বলেন, তিনি এ বছর ৬০ শতাংশ জমিতে এবং তার ভাতিজা শরীফ মিজি দনপর্দি মাঠে ৩ একর জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। তবে তাদের জমিতে এ বছর নিজস্ব বীজ লাগিয়েছেন। কারণ মৌসুমের ওই সময়টাতে বীজের বক্স আলুর দাম কয়েকগুন বেশি ছিলো। এখন পর্যন্ত তাদের জমির অবস্থা ভালো। আশিকাটি এলাকার কৃষক ছাত্তার মিয়া ও আফজাল হোসেন বলেন, এবছর আবহাওয়া ভালো থাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে এবং ফলনও ভালো রয়েছে। আলুর বাজার দর ভালো থাকলে তারা লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। সদরের বালিয়া এলাকার কৃষক ইব্রাহিম খান বলেন, জানুয়ারি মাসে বাজারে আলু চলেছে এসেছে। তবে এসব আলু চাঁদপুরের নয়, মুন্সীগঞ্জের  আলু আমাদের বাজার দখল করেছে। প্রতিকেজি আলু ২৫ থেকে ৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের জমিগুলোর আলু উঠা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দাম ভালো পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫শ’ হেকর জমিতে আলুর বেশি আবাদ হয়েছে। নাবী দশা নামক রোগের কারণে কৃষকরা উদ্বিগ্ন থাকলেও কৃষি বিভাগ তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ অব্যাহত রেখেছে। এখন পর্যন্ত জমির অবস্থা ভালো। আশা করছি আলুর বাম্পার ফলন হবে এবং কৃষক ভালো দাম পাবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য