ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছেন-জামায়াত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক দেশে স্বস্তি এনেছে বললেন দুদু মামলার আগেই আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক, বড় পরিবর্তন আসছে আইনে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস আয়রন ডোম চুরমার ইসরায়েলি সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান ইরানের কাছে ধরাশায়ী ইসরায়েল মেসিদের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ মাঠে ফেরায় তোড়জোড় গগবার অনিশ্চয়তায় ক্যাবরেরার ভবিষ্যৎ ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাবকে আইসিসির ‘না’ বিগব্যাশে ডাক পেলেন বাবর আজম পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন ইউসুফ তারকাবিহীন দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলি হামলায় নিন্দার ঝড় ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার ও পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা সবকিছু শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি করুন ইরানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

আহতদের সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

  • আপলোড সময় : ০৪-০২-২০২৫ ০৪:৩০:৪০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০২-২০২৫ ০৪:৩০:৪০ অপরাহ্ন
আহতদের সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
জুলাই-আগস্ট বিপ্লব সুচিকিৎসার দাবি নিয়ে রাস্তায় নামতে হচ্ছে, অর্থাভাবে মানবেতর জীবন অভ্যুত্থানের ছয় মাস পরও নিশ্চিত হয়নি আহতদের সুচিকিৎসা। স্বৈরাচার হটাতে গুলির সামনে বুক পেতে দেয়া ছাত্রদের সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যত। অর্থাভাবে সেবা না পেয়ে কাটছে মানবেতর জীবন। অন্যদিকে শহীদ পরিবারগুলোর অসহায়ত্ব কম নয়। পুনর্বাসনসহ সহায়তার আশায় ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ধাপে ধাপে যাচাই প্রক্রিয়া থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। জুলাই-আগস্টে উত্তাল দিনগুলোতে যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে যারা দাবি আদায়ের লড়াই করেছেন, সেই সাহসী বিপ্লবীদের সামনে আজ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের হাতছানি। গণ-অভ্যুত্থানের ৬ মাস হতে চললেও এখনও সুচিকিৎসার দাবি নিয়ে রাস্তায় নামতে হচ্ছে আন্দোলনে আহতদের। সারা দেশ যখন স্বৈরাচারী বিদায়ের খবরে উচ্ছ্বসিত, তখন মর্গে মর্গে সন্তানের লাশ খুঁজে বেড়াতে হয়েছে ১৬ বছরের অন্তরের মা হামিদা বানুতাকে। ছেলেকে খুঁজতে খুঁজতে পাগলপ্রায় এই মা তিন দিন পর ঢাকা মেডিকেলের মর্গে সন্তানের নিথর দেহ খুঁজে পান। কান্নজড়িত কণ্ঠে অন্তরের মা বলেন, আমার ছেলের বয়স যখন ১৫ মাস, তখন তার বাবা আমাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যান। আমার ছেলেটাকে দূরে রেখে কাজ করে পড়ালেখা করিয়েছি। গত ৫ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সে ঘর থেকে বের হয়। রাতে আর ফেরেনি। পরে ঢাকা মেডিকেল থেকে গুলি খাওয়া ছবি পাঠিয়েছে। আমার ছেলের বুকে ঠেকিয়ে গুলি করা হয়েছে। সব হারিয়ে নিঃস্ব অন্তরের পরিবার এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছে একটু সহায়তার আশায়। অন্তরের মা বলেন, আমি কোনো অনুদানই পাইনি। কিশোরগঞ্জ থেকে আসা মামুন অভ্যুত্থানে নিজের চোখ হারিয়েও পাননি কোনো সহায়তা। মাথায় বুলেট নিয়ে তিন সন্তানের ভবিষ্যতের শঙ্কা আষ্টেপৃষ্টে ঘিরে রেখেছে তাকে। মামুন বলেন, মাথায় বুলেট লেগেছে। এটার চিকিৎসা হচ্ছে ৬ মাস পর। তো এখন আমার পরিবারটা কে চালাবে! শুধু আশাই দেয়া হচ্ছে। বাস্তবে আমি একটা টাকাও পাইনি। বয়সের ভারে ন্যুব্জ রফিকুল ইসলাম উপার্জনক্ষম বড় সন্তানকে হারিয়ে সংসারের হাল ধরতে পথে নেমেছেন অটোরিকশা নিয়ে। নানা নথি সংগ্রহ আর জমা দিতে ছুটে বেড়াতে হচ্ছে তাকেও। এদিকে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন বলছে, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, ভুয়া প্রার্থীসহ বিভিন্ন জটিলতায় বিঘ্ন হচ্ছে সহায়তা কার্যক্রম। সেইসঙ্গে এখন পর্যন্ত অভ্যুত্থানে আহতদের গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, আন্দোলনে আহত নয়, এমন ১০ থেকে ১৫ জনকে খুঁজে বের করতে পেয়েছি। কোনো না কোনোভাবে তারা তাদের নামটা খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছে। যতদিন পর্যন্ত গেজেট না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াটি আমাদের মতো করে চালাতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ৮৩৪ জনের গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এরইমধ্যে প্রায় ৭০০ শহীদ পরিবার এবং আড়াই হাজার আহত পরিবারকে সহায়তা দিয়েছে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এত শহীদের রক্তের ঋণ শোধের দায় যাতে আটকে না যায় লাল ফিতার দৌরাত্ম্যে। তারা চান, স্বৈরাচারমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখে এত মানুষ জীবন দিলেন অকাতরে জাতীয় সেই বীরদের যথাযথ সম্মান দেবে রাষ্ট্র।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স