ঢাকা , সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
খালিয়াজুরীতে স্পিডবোট ডুবি নিখোঁজ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার প্রতিবছর টাইফয়েডে আক্রান্ত লাখো মানুষ, অধিকাংশই শিশু আমতলীতে সাবেক স্বামীকে শায়েস্তা করতে কিশোর গ্যাং ভাড়া আমতলীতে অবৈধভাবে মজুদ করা সার আটক শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা জনদুর্ভোগ চরমে হিমাগারে পড়ে আছে ৭৮ হাজার মেট্রিক টন আলু পাচারকৃত অর্থ অনুসন্ধানের চেষ্টা করছে সরকার-অ্যাটর্নি জেনারেল দুর্নীতি মামলায় স্ত্রীসহ মতিউরের একদিনের রিমান্ড ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার তারেক রহমানের রাজধানীসহ কয়েক স্থানে ভারী বৃষ্টি নির্বাচনের মহোৎসব ফেব্রুয়ারিতেই ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক-রেলপথ অবরোধ: ২১ জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, ইউপি চেয়ারম্যান আটক ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক-রেলপথ অবরোধ: ২১ জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, ইউপি চেয়ারম্যান আটক সালথা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজেপির ডেমরা থানার কমিটিতে সেলিম মিয়া আহবায়ক ও মাহবুবুর রহমানকে সদস্য সচিব কমিটি ঘোষণা এস এইচ কে এস সি শিক্ষার্থীদের ‘হ্যাপি ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠিত করদাতার ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টির শঙ্কা নারায়ণগঞ্জে গুলি করে কুপিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নেই- দুদু কানাডা প্রবাসীদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু

বিপুল আমদানিতেও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল

  • আপলোড সময় : ০৫-০২-২০২৫ ০৫:৪২:৪৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৫-০২-২০২৫ ০৫:৪২:৪৬ অপরাহ্ন
বিপুল আমদানিতেও ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল
ডবপুল আমদানিতেও ভোজ্য তেলের বাজার অস্থিতিশীল। বাজারে সয়াবিন তেলের জন্য হাহাকার চলছে। বর্তমানে চাহিদার অর্ধেকও সরবরাহ মিলছে না। অভিযোগ রয়েছে, বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজারের একাধিক সিন্ডিকেট ভোজ্যতেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। খুচরা থেকে পাইকারি বাজার, কোথাও বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলছে না। বরং হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে পাইকারি বাজার থেকে ভোজ্যতেল। বিশেষ করে এক ও দুই লিটারের বোতলের সরবরাহ নেই বললেই চলে। মূলত শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পাইকারি বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ভোজ্যতেলের লিটারপ্রতি দাম ৮ টাকা বাড়ানো হলেও বাজারে তার চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। মূলত এখন পুরোপুরি সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে ভোজ্যতেলের বাজার। বাজার চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ হচ্ছে না। বরং কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। আবার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হলেও অনেক কোম্পানি তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা সরবরাহ পাচ্ছে না। সূত্র জানায়, মিল মালিকরা বাজারে ভোজ্যতেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাজারে তেলের সংকট চলছে। এভাবে চলতে থাকলে আসন্ন রমজানে ভোজ্যতেলের সংকট সমগ্র বাজারকে অস্থির করে তুলতে পারে। ভোজ্যতেল নিয়ে একটি চক্র সিন্ডিকেট করে বাজারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তারাও বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাজারে ভোজ্যতেলের তীব্র সংকটের সৃষ্টি হওয়ায় দামও হু হু করে বাড়ছে। অথচ সরকার দুই দফায় শুল্ক-কর কমালেও সুফল মিলছে না। বরং দাম আরো বেড়েছে। বর্তমানে দেশে ডলার সংকট এখনো চলমান রয়েছে। আমদানিকারকরা আগের মতো ভোজ্যতেল আমদানি করছে না। বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দামও আগের চেয়ে বেড়েছে। ওসব কারণে ভোজ্যতেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তাছাড়া ইন্দোনেশিয়ায় উৎপাদন সংকট, বায়োডিজেলে পাম অয়েল ব্যবহারের পরিমাণ ৫ শতাংশ বৃদ্ধিজনিত কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির বুকিং রেকর্ড ছুঁয়েছে। এসব কারণে ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। আবার কিছু কিছু কোম্পানি শর্তসাপেক্ষে তেল বিক্রি করছে। এদিকে গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ভোজ্যতেলের দাম প্রতি লিটারে ৮ টাকা বাড়ানো হয়। এখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়, যা এতোদিন ছিল ১৬৭ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে বেড়ে ১৫৭ টাকা। খোলা পাম তেলের লিটারও ১৪৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫৭ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৮৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৮১৮ টাকা। অন্যদিকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসাবে রোজায় বাজারে ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকে প্রায় তিন লাখ টন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্যানুযায়ী, জানুয়ারি মাসে প্রায় চার লাখ টন সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি হয়েছে। আর তিন লাখ টন সয়াবিন তেল তৈরির কাঁচামাল সয়াবিনবীজ আমদানি হয়েছে। ওই বীজ মাড়াই করে পাওয়া যাবে প্রায় অর্ধলাখ টন সয়াবিন তেল। সব মিলিয়ে রোজার চাহিদার চেয়ে বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বেশি থাকবে। এ প্রসঙ্গে পাইকারি বাজারের ভোজ্যতেলের আড়তদাররা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে দেশের বাজারে ফের পণ্যটির দাম বৃদ্ধির জন্য গত ৬ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ীরা চিঠি দিয়েছে। অবশ্য নানামুখী চাপের মুখে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব ফিরিয়ে নিলেও মিল মালিকরা সরবরাহ স্বাভাবিক করেনি। এখনো সরবরাহ বন্ধ রেখে কৃত্রিম সংকট জিইয়ে রাখা হয়েছে। যে কারণে বাজারে ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স