ঢাকা , বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ , ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে-আলী রীয়াজ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বদলিতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন রাস্তায় অভিনেতাকে সিদ্দিককে গণপিটুনি কারিগরি শিক্ষার্থীরা যা শিখছেন, চাকরির বাজারে তার চাহিদা নেই -সিপিডি আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটের প্রস্তুতি চলছে : সিইসি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে গড়িমসি অপকর্ম বন্ধ করুন, নইলে বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে -নেতাকর্মীদের ফখরুল সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান বইপ্রেমী এক ডিসির গল্প গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোন ই-৮ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলেন ২৫ কর্মী পুলিশের জন্য ১৭২ কোটি টাকায় কেনা হবে ২০০ জিপ সামাজিক সুরক্ষায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাখ ২৪ হাজার উপকারভোগী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে লিপ্ত থাকার অভিযোগ গ্যাস খাতে বছরে আর্থিক ক্ষতি বিলিয়ন ডলার নতুন লুকে নজর কাড়লেন ব্লেক লাইভলি

উত্তরবঙ্গের সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ ঘোষণা

  • আপলোড সময় : ০৬-০২-২০২৫ ১২:১৫:৩১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০২-২০২৫ ১২:১৫:৩১ অপরাহ্ন
উত্তরবঙ্গের সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ ঘোষণা
সড়ক জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সকল পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওর্নাস অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ধর্মঘট শুরু হয়। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করে সকল পেট্রোল পাম্প মালিকদের তেল উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহন বন্ধ রাখার আহবান জানিয়েছেন সংগঠনটি। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত মঙ্গলবার বগুড়া জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো প্রকার পূর্বঘোষণা, নোটিশ বা আনুষ্ঠানিক চিঠি প্রদান না করে আকস্মিক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। এই অযৌক্তিক ও অন্যায় অভিযানের ফলে পেট্রোল পাম্প মালিকগণ চরম হতাশ ও ক্ষুদ্ধ। আমরা এই অভিযানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সকল পেট্রোল পাম্প মালিকগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সকল পেট্রোল পাম্প মালিকগণ এই ধর্মঘট যথাযথ ভাবে পালন করবেন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকার নির্ধারিত সকল নিয়ম-কানুন মেনে ও বৈধ লাইসেন্স অনুসরণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। নিয়মিত রাজস্ব প্রদান করে আমরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছি। অথচ, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসলেও অতীতে কখনো এমন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়নি। এতে আমাদের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাৎ করে এই অভিযান কেন, কার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো? যখন দেশের জ্বালানি খাত স্থিতিশীল, তখন এই ধরনের অভিযান ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করছে এবং সরকারে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে আমাদের আশঙ্কা। তাই সম্মানিত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পেট্রোল পাম্প মালিকগণ, আপনাদের প্রতি অনুরোধ রইল, এই ধর্মঘট সফল করতে সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকুন ও সম্মিলিতভাবে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করুন। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্টস এন্ড পেট্রোল পাম্প ওর্নাস অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক মো. আব্দুল জলিল রাতেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে গতকাল বুধবার সকাল থেকে সকল পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহনে ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে নাটোরে মোটরসাইকেল আরোহী, প্রাইভেট কার, মাইক্রোগাড়ির মালিক-চালকরা গত মঙ্গলবার রাত থেকে পেট্রোল, অকটেন তোলার জন্য নাটোর শহরের স্টেশন বাজার, হাফরাস্তা, মাদ্রাসা মোড়, চকরাম এলাকাসহ রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক, নাটোর-বগুড়া মহাড়ক, নাটোর-পাবনা মহাসড়কের ধারেসহ আশে পাশের পেট্রল পাম্পগুলোতে ভিড় করতে দেখা গেছে। অনেকে ৫ লিটার, ১০ লিটার আবার অনেকে টাঙ্কি ভরে তেল সংগ্রহ করেছেন। সরজমিনে রাত সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পগুলোতে লাইন ধরে তেল নিতে দেখা গেছে। কোনো কোনো পাম্পে তেল নেই, ফুরিয়ে গেছে বলে অনেককে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। শহরের হাফরাস্তা এলাকার পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে আসা অনিক মাহমুদ, লিমন হোসেন, ইস্রাফিল হোসেন সহ অনেকে জানান, সারা দিন কর্মের প্রয়োজনে মোটরসাইকেল নিয়ে দৌড়ঝাপ করতে হয়। ধর্মঘট শুরু হলে তেল পাওয়া যাবে না। তাই খবর পেয়ে তারা তেল নিতে এসেছেন। তারা অন্যান্য পেট্রোল পাম্পেও তেল নেয়ার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তেল ফুরিয়ে গেছে বলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। কোনো কোনো পাম্প মালিক ধর্মঘটের কথা শুনে নির্ধাারত সময়ের আগেই বন্ধ করে রেখেছেন। প্রাইভেট কার চালক সোহ হোসেন জানান, সারাদিন ভাড়া খাটেন, তার গাড়িতে গ্যাস ফুরিয়ে গেছে, তাই জ্বালানি হিসেবে বেশি করে পেট্রোল তুলে রাখলেন। তাদের মত অনেকে তেল নিতে পারেননি। ফলে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ