ঢাকা , শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ , ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
অন্তর্বর্তী সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরও সংকটে- রিজভী অবিলম্বে সাংবাদিক ছাঁটাই বন্ধসহ ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন চাপ সামাল দিতে পরিবহন সক্ষমতা বাড়াচ্ছে বেবিচক রমনা বটমূলে বোমা হামলা হাইকোর্টের রায় ৮ মে ৩০০ শিক্ষক ও গবেষককে সম্মাননা দিবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিএসইসির ২১ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার পরামর্শ এফবিসিসিআইয়ের দাম কমিয়েও ক্রেতা মিলছে না সিমেন্টের চিন্ময় দাসের জামিন চেম্বারে স্থগিত সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত-মির্জা ফখরুল যুদ্ধের দোরগোড়ায় পাকিস্তান-ভারত প্রস্তুতি থাকতে হবে যুদ্ধের রাজনৈতিক বিতর্ক ও আর্থিক সংশ্লেষ নেই এমন সংস্কার সুপারিশ ইসির রাজধানীতে পর পর তিনদিনে ৪ সমাবেশ আজ মহান মে দিবস রণতরী থেকে সমুদ্রে পড়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ৮১০ কোটির বিমান পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে জল্পনা-কল্পনা দাম আড়াই হাজার কোটির বেশি ইয়েমেনে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলা সামরিক অভিযানের সবুজ সংকেত মোদির

বিপুলসংখ্যক কারখানা বন্ধে দিশেহারা হাজার হাজার শ্রমিক

  • আপলোড সময় : ১৬-০২-২০২৫ ০১:১৮:১৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০২-২০২৫ ০১:১৮:১৫ অপরাহ্ন
বিপুলসংখ্যক কারখানা বন্ধে দিশেহারা হাজার হাজার শ্রমিক
দেশের শিল্পাঞ্চল জেলা হিসেবে খ্যাত গাজীপুরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিপুলসংখ্যক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। তাতে বেকার হয়ে পড়েছে হাজার হাজার শ্রমিক। কাজ হারিয়ে ওই বেকার শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে এখন দিশেহারা। তাদের ঠিকমতো খাবারও জুটছে না। গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত গাজীপুর ও ঢাকার সাভার-আশুলিয়া শিল্প এলাকায় ছোট-বড় ৯৬টি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। তার মধ্যে গাজীপুরে বেক্সিমকোর ১৩টিসহ ৫৬টি এবং সাভার-আশুলিয়ায় ৪০টি। ওসব কারখানার ৬১ হাজারের বেশি শ্রমিক-কর্মচারী এখন বেকার। ভুক্তভোগী শ্রমিক, বিজিএমইএ ও কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গাজীপুর জেলায় বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে বেক্সিমকোর ১৩টিসহ ২০টি বিজিএমইএভুক্ত। বাকিগুলোর বেশির ভাগই সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ পাওয়া ছোট কারখানা। বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে ৩৩টি কাজ না থাকায়, ২১টি আর্থিক সংকট, একটি গ্যাসসংকট এবং অন্যটি স্থানান্তরের কারণে বন্ধ হয়। বেক্সিমকোর কারখানায়গুলোতে ২৮ হাজার ৫১৩ জন শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করতেন। তাছাড়া বন্ধ অন্য কারখানাগুলোতে কাজ করতেন ১৯ হাজার ৭১২ জন শ্রমিক-কর্মচারী। সব মিলিয়ে শুধু গাজীপুরেই বেকার হয়েছে ৪৮ হাজার ২২৫ জন শ্রমিক। সূত্র জানায়, বর্তমানে সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে কাজের সন্ধানে শ্রমিকরা কারখানায় কারখানায় ঘুরছেন। কিন্তু কোথাও চাকরি মিলছে না। খেয়ে না-খেয়ে তাঁরা দিন পার করছেন। আর কারখানা বন্ধ থাকায় স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, বাড়িভাড়া সব ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে আরএমজি, নন-আরএমজি মিলিয়ে এক হাজার ৮৬৩টি শিল্প-কারখানা রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তৈরি পোশাক শিল্পে মজুরি বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে আন্দোলন, অর্থ সংকট ও কাজ না থাকায় গত ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪০টি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়েছে। ওসব কারখানার মধ্যে ছয়টি বিজিএমইএভুক্ত, তিনটি বিকেএমইএ, চারটি বেপজা এবং অন্যগুলো সাব-কন্ট্রাক্টে পরিচালিত কারখানা। কারখানা বন্ধের কারণে ওই অঞ্চলে বেকার হয়েছেন ১২ হাজার ৮৬১ জন শ্রমিক-কর্মচারী। এদিকে এ প্রসঙ্গে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের গাজীপুরের সহকারী মহাপরিদর্শক (সাধারণ) মোতালেব মিয়া জানান, গত ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত গাজীপুরে ৫৬টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। তার মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপেরই ১৩টি। কেয়া গ্রুপের চারটি কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হলেও সেগুলো পুনরায় চালু হয়েছে। গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের আইরিশ নিট ও আইরিশ ফেব্রিক্স বেআইনিভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই প্রতিষ্ঠান দুটিও চালু হয়েছে। ওই দুই কারখানায় পাঁচ-ছয় হাজার শ্রমিক কাজ করেন। কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কারখানা বন্ধের সঠিক কারণ নির্ণয় এবং কারখানা চালু করতে করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স