ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এস এইচ কে এস সি শিক্ষার্থীদের ‘হ্যাপি ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠিত করদাতার ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টির শঙ্কা নারায়ণগঞ্জে গুলি করে কুপিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নেই- দুদু কানাডা প্রবাসীদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু অর্থনীতিতে অশনি সংকেত শত শত কারখানা বন্ধ এপিবিএন অধিনায়কের প্রত্যাহারচাওয়া নিয়ে তোলপাড় নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি শাহজাহানপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২ গণপরিবহনে সংরক্ষিত হচ্ছে না যাত্রীদের অধিকার জাবি শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের দাফন সম্পন্ন জাকসুর ফল প্রকাশে বিলম্ব ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন হবে-প্রেস সচিব বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি তিনজন কারাগারে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রবেশ পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি রোড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ এক্সিবিশনে যৌথ সক্ষমতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে-বাণিজ্য উপদেষ্টা স্বস্তি নেই সবজির দামে নিত্যপণ্যের দাম চড়া রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ বিশ্বকাপের টিকেট না পাওয়ায় বরখাস্ত হলো ভেনেজুয়েলা ও পেরুর কোচ

ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের ক’জন ছাত্র -মঈন খান

  • আপলোড সময় : ১৯-০২-২০২৫ ১১:০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০২-২০২৫ ১১:০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের ক’জন ছাত্র -মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরে আজকে যারা প্রতিনিধিত্ব করছেন, সরকারে ৩ জন আছেন, এছাড়া বিভিন্ন কমিটিতে সমন্বয়ক রয়েছেন, নাগরিক কমিটি রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী কমিটি রয়েছে। তাদের সরাসরি প্রশ্ন করতে চাই- এই যে চারটি গ্রুপ যে রয়েছে, তাদের মধ্যে ক’জন সত্যিকারের ছাত্র রয়েছে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ঢাকাস্থ মীরসরাই জাতীয়তাবাদী ফোরাম কর্তৃক ‘গণঅভ্যুত্থান, গণপ্রত্যাশা এবং রাষ্ট্র সংস্কার’ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, রাজপথে যারা ছিল, যারা নিজেদের সাধারণ ছাত্র বলে পরিচয় দিয়েছিল, তাদের মধ্যে কি কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না অবশ্যই ছিল। যারা সত্যিকারের ছাত্র রাজপথে ছিল, তারা কি কেউ বিএনপির সদস্য ছিল না এটা বুঝতে হবে। সত্যটা হলো, তারা সেদিনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি বলে নিজেদের পরিচয় দেয়নি, তারা পরিচয় দিয়েছিল সাধারণ ছাত্র বলে। এই সত্যগুলো বুঝতে না পারলে আমরা যে সংকটে আছি, সে সংকট থেকে কিন্তু বের হতে পারবো না। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কোনও পক্ষপাতিত্ব করতে পারবে না। যে মুহূর্তে তারা পক্ষপাতিত্বে চলে যাবেন, তখনই তাদের কার্যপদ্ধতি ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমরা শুনেছি, ছাত্ররা নাকি এই সরকারকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছে, আমরা জানি না সারা দেশের মানুষ কি তাদের দায়িত্ব দেয়নি ১৮ কোটি মানুষ কি দায়িত্ব দেয়নি তারা কি একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে সেই আন্দোলনে তো বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ গিয়েছিল। আমরা আবু সাঈদকে দেখেছি, তোমরা গুলি করো কিন্তু আমি প্রত্যয় থেকে সরবো না। যে ছেলেটি আন্দোলনকারীদের পানি খাইয়েছে, তার কথা ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না। সব কিছু ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করার জন্য কিন্তু এই সরকার আসেনি উল্লেখ করে বিএনপির এই জ্যৈষ্ঠ নেতা বলেন, এই সরকার একটি বিশাল দায়িত্ব নিয়ে এসেছে, সেই দায়িত্বটি কী স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রে বাংলাদেশকে রূপান্তর করতে হবে। এটা ছোটখাটো জিনিস নয়, আমি আনন্দিত তারা চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করেছে। শুধু গ্রহণ করলে হবে না দায়িত্বটি তাদের সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এটা শুধু তাদের জন্য না, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ জন্য। সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, সংস্কার এমন একটি জিনিস, যেটা একবার করে ফেললাম আর সবকিছু সুন্দর হয়ে গেলো সেটাকে বুঝায় না। কারণ সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমি আজকে যেটি সংস্কার করলাম, সেটি আগামীকাল আবার সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, মুক্ত চিন্তা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম হায়দার প্রমুখ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স