ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছেন-জামায়াত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক দেশে স্বস্তি এনেছে বললেন দুদু মামলার আগেই আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক, বড় পরিবর্তন আসছে আইনে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস আয়রন ডোম চুরমার ইসরায়েলি সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান ইরানের কাছে ধরাশায়ী ইসরায়েল মেসিদের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ মাঠে ফেরায় তোড়জোড় গগবার অনিশ্চয়তায় ক্যাবরেরার ভবিষ্যৎ ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাবকে আইসিসির ‘না’ বিগব্যাশে ডাক পেলেন বাবর আজম পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন ইউসুফ তারকাবিহীন দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলি হামলায় নিন্দার ঝড় ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার ও পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা সবকিছু শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি করুন ইরানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

তিস্তা পাড়ের মানুষের কান্না

  • আপলোড সময় : ১৯-০২-২০২৫ ০২:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০২-২০২৫ ০২:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন
তিস্তা পাড়ের মানুষের কান্না
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় তিস্তা পাড়ের মানুষের কান্নার শেষ নেই। কেউ শোনে না তাদের কান্না। হাজারো মানুষের কান্নায় আজ জর্জরিত তিস্তা পাড়ের দুকূল। ভোট আসে দিন বদলায়, কিন্তু তিস্তা পাড়ের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। উপজেলা থেতরাই ইউনিয়নের নগরপাড়ার বাসিন্দা বিধবা মালেকা (৬০) ও মনোয়ারা বেওয়া (৬৫) বলেন, কয়েক বছর আগেও ছিল বসত বাড়িসহ জমিজমা। কিন্তু তিস্তার আগ্রাসী ভাঙনে আজ নিঃস্ব। নেই মাথা গোজার ঠাঁই। কোনো রকমে নদীর কিনারে আশ্রিত আছি। যে কোনো মুহূর্তে বিলীন হয়ে যাবে থাকার ঘরটি। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটলেও শেষ আশ্রয়টুকু হারিয়ে গেলে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে পরিবার নিয়ে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুরে তিস্তার ভাঙনে নদী তীরবর্তী হাজারো মানুষ। ইতোমধ্যে নদী ভাঙনে মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রামসহ বসতবাড়ি, আবাদি জমি ও স্থাপনা। গাছপালাসহ আধাপাকা বোরো ধানখেত। গত কয়েক বছরে হাজার হাজার বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে শত শত বিঘা আবাদি জমি, গাছপালা, পুকুর ও মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী ভাঙনে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দিশেহারা হয়ে পরেছে তিস্তা পাড়ের মানুষ। তিস্তা ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে তিস্তা মহাপরিকল্পনার দাবি জানিয়েছে তিস্তা পারের মানুষ। একই এলাকার লালমিয়া (৬০) বলেন, কয়েক বছর আগে তিস্তা নদীর ভাঙনে আমার ঘরবাড়ি ২০ বার ভেঙেছে। অন্যখানে জায়গা নিয়ে কোনো রকম জীবনযাবন করছি। তাই এই সমাবেশে অবস্থান নিয়েছি। আমি সরকারের কাছে আকুল আবেদন করছি নদীতে যেন বাঁধ দেয়। আমেনা বেওয়া (৫৫) বলেন, তিস্তা নদী আমার সব কিছু নিয়া গেছে। আবাদি জমি গেছে। ৫ লাখ টাকার গাছ নদী ভাঙনের কারণে ৮০-৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। এখন বাড়িটা ভাঙলে আমরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাবো। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, চলতি বছর অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধে ছয় কিলোমিটার পয়েন্টে ৪০ কোটি টাকার প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য