ঢাকা , সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার পদত্যাগ ঈদের লম্বা ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দরে শিডিউল বিপর্যয় অবৈধভাবে ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগে টিউলিপকে দুদকের তলব আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিহত দুই কর্মীকে নিয়ে জামায়াত-বিএনপি ঠেলাঠেলি মোসাদের দুই গুপ্তচরকে আটক করেছে ইরান ১০ দিনের ছুটি শেষে খুলেছে সরকারি অফিস খেলাপি ঋণ ছাড়াল ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা যারা খেলে খেলুক আমরা শুধু রেফারি হয়ে কাজ করব-সিইসি এনটিআরসিএতে অবস্থান নিয়েছেন ভাইভায় ফেল করা প্রার্থীরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পুলিশের লাঠিচার্জ মানবিক পুলিশ চাচ্ছি আমরা, সবার সঙ্গে যেন ভালো ব্যবহার করে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পাচার অর্থ ফেরাতে সরকার চাইলে এখনই আইনজীবী নিয়োগ সম্ভব-গভর্নর শেষ মুহূর্তে রাজধানীতে মানুষের স্রোত গ্যাস সিলিন্ডারজনিত অগ্নি দুর্ঘটনা বাড়ছে কারাগারে ‘ফাঁস নিলেন’ বিরুলিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান সুজন আজ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার জরুরি বৈঠকের ডাক ইরানের হামলায় তছনছ ইসরায়েল করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা নকলমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশনা ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক-প্রেস সচিব
আমাদের ৫০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে মাত্র ৪০ বিলিয়ন ডলারের রাজস্ব আহরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়, বলেন রহিম খান

বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমার হার উদ্বেগজনক

  • আপলোড সময় : ২৩-০২-২০২৫ ০১:১৫:২৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-০২-২০২৫ ০১:১৫:২৫ পূর্বাহ্ন
বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমার হার উদ্বেগজনক
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি উদ্বেগজনক হারে কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ।
তার ভাষায়, বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি খুবই এলার্মিং সিচুয়েশন দেখেছে। প্রায় ২৫ শতাংশ কমে গিয়ে ৭ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
২০২৪ সালের জুন শেষে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। ডিসেম্বর নাগাদ তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। তাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমেছে ২৫ দশমিক ৫১ শতাংশ।
বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে শিল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন।
স্মুথ অপারেশন নিশ্চিত করার জন্য শিল্পের সেইফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি প্রয়োজন। এছাড়াও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সরবরাহ- উৎপাদন, ব্যবসা পরিচালনা এবং স্মুথ সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা ধরে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
গতকাল শনিবার ডিসিসিআই আয়োজিত বেসরকারিখাতের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিদ্যমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পর্যালোচনা শীর্ষক বক্তব্য রাখছিলেন তাসকীন আহমেদ।
ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহের হার ডাবল ডিজিটে উন্নীতকরণ, মন্দ ঋণ কমাতে নজরদারি বাড়ানো, আর্থিক খাতে সুশাসন ও স্বচ্ছতা আনয়ন এবং ঋণের সুদ হার হ্রাস একান্ত অপরিহার্য।
শেষের দুই মাস মূল্যস্ফীতি কমলেও বাজারে তার ছাপ দেখা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন ডিসিসিআই সভাপতি।
তিনি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, অবৈধ সিন্ডিকেট ভাঙতে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং নিত্যপণ্যের ভ্যাট কমানোর পাশাপাশি বিলাসবহুল পণ্যের উপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) আব্দুর রহিম খান বলেন, আমাদের ৫০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে মাত্র ৪০ বিলিয়ন ডলারের রাজস্ব আহরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এ হিসাব মেলাতে পারছেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আট বছর আগে নেওয়া অটোমেশন ও ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্প এখনও সঠিকভাবে কার্যকর না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রহিম খান বলেন, লজিস্টিক পলিসি ও বাণিজ্য সহায়তা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে সামগ্রিক বাণিজ্য ব্যয় ১০-১৫ শতাংশ কমানো সম্ভব।
রাজস্ব আহরণ বাড়ানো এবং রপ্তানি-নির্ভর বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা না গেলে বিনিয়োগ ব্যবধান কমনে পাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে বিলম্ব ও অতিরিক্ত টাকা ছাপানোর কারণে বিগত দিনগুলোতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি পরিলক্ষিত হয়েছে, যদিও ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় হতে বাংলাদেশ ব্যাংক বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়ার কারণে ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, রিজার্ভ সংকটের কারণে কাঁচামালের আমদানি ও মেশিনারিজ আমদানিতে বিধি-নিষেধের ফলে আমাদের সাপ্লাই চেইনে স্বল্পতা দেখা দেয়, যার প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে এবং চলতি বছরের মধ্যে রিজার্ভ ২৫-২৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হলে শিল্পখাতে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি স্বল্পতা কেটে যাবে।
রিজার্ভ বাড়াতে শিল্পখাতে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন মন্তব্য করে মাসরুর রিয়াজ বলেন, এর সঙ্গে শিল্প-কারখানার অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে ৫-৭ বিলিয়ন ডলার। তাতে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং আগামী অর্থবছরে গতানুগতিক বাজেট প্রণয়ন করা হলে বিদ্যমান সংকট সমাধান করা সম্ভব নয়।
বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ বেশি হলে এবং সরকারের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা বাড়লে বেসরকারিখাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি আশানুরূপ হবে না।
রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধিতে বিদ্যমান ভ্যাট ব্যবস্থার অটোমেশনের কোনো বিকল্প নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (গবেষণা) সায়েরা ইউনুস বলেন, বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতার কারণে আমাদের পণ্য আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে এবং সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি হার সমন্বয়ের মাধ্যমে সেটা মোকাবেলার চেষ্টা করেছে, তবে ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধির কারণে পণ্য আমাদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি কাক্সিক্ষত মাত্রায় হ্রাস পায়নি।
তবে ২০২৬ সালে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নীচে নেমে আসবে এবং আগামী বছর বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ ডাবল ডিজিটে উন্নীত হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স