ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এস এইচ কে এস সি শিক্ষার্থীদের ‘হ্যাপি ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠিত করদাতার ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টির শঙ্কা নারায়ণগঞ্জে গুলি করে কুপিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নেই- দুদু কানাডা প্রবাসীদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু অর্থনীতিতে অশনি সংকেত শত শত কারখানা বন্ধ এপিবিএন অধিনায়কের প্রত্যাহারচাওয়া নিয়ে তোলপাড় নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি শাহজাহানপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২ গণপরিবহনে সংরক্ষিত হচ্ছে না যাত্রীদের অধিকার জাবি শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের দাফন সম্পন্ন জাকসুর ফল প্রকাশে বিলম্ব ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন হবে-প্রেস সচিব বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি তিনজন কারাগারে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রবেশ পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি রোড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ এক্সিবিশনে যৌথ সক্ষমতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে-বাণিজ্য উপদেষ্টা স্বস্তি নেই সবজির দামে নিত্যপণ্যের দাম চড়া রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ বিশ্বকাপের টিকেট না পাওয়ায় বরখাস্ত হলো ভেনেজুয়েলা ও পেরুর কোচ

শিক্ষকদের নিয়ে কৃষিতে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব-ঐক্য পার্টি

  • আপলোড সময় : ২৩-০২-২০২৫ ১০:৪৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-০২-২০২৫ ১০:৪৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিক্ষকদের নিয়ে কৃষিতে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব-ঐক্য পার্টি
অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে খাতভিত্তিক সংস্কারে কাজ করছে। দেশের বৃহৎ একটি অংশ কৃষিখাত ভিত্তিক অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত। অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষিতে আধুনিকায়ন প্রয়োজন। আর তাই শিক্ষকদের সহযোগিতা নিয়ে এ খাতে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে মনে করে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি। পাশাপাশি কৃষকদের বিনা সুদে ঋণ এবং বিএডিসি, স্থানীয় শিক্ষক ও কৃষকদের সমন্বয়ে গ্রামভিত্তিক কমিটি গঠন করে কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়ে কৃষি বিপ্লব ঘটানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ঐক্য পার্টি। গতকাল শনিবার রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে ‘প্রিয় মাতৃভূমিকে উন্নত দেশে রূপান্তরে সবার মধ্যে ঐক্য সৃষ্টির অপরিহার্যতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নেতারা এসব কথা বলেন তারা। দলটির পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে সব সেক্টরের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি প্রবাসীদের দেশে-বিদেশে হয়রানি বন্ধ, বিমানের টিকিটের দাম কমানোসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে। দলটির নেতারা মনে করেন, কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের চাহিদা মতো কৃষিজ পণ্য চাষ করা হলে খাদ্য আমদানি করতে হবে না। এতে ব্যাপকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। জাতীয় অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। ঐক্য পার্টির পক্ষ থেকে মতপার্থক্য অক্ষুন্ন রেখে সর্বজনীন বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে। ঐক্য পার্টির পক্ষ থেকে ১১টি দাবি হলো: ১। দেশে কৃষি বিপ্লব ঘটাতে প্রকৃতির অবারিত সুযোগ থাকার পরও ধানসহ বিভিন্ন শস্য আমদানি করা লজ্জাজনক। এজন্য ধানসহ বিভিন্ন শস্যের উৎপাদন বাড়াতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। পতিত জমির আবাদ বৃদ্ধি ও বিভিন্ন শস্য উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো গেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করাও সম্ভব। এক্ষেত্রে বিএডিসির সঙ্গে শিক্ষকদেরও সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। একই সঙ্গে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কিনতে হবে। এতে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাবে অন্যদিকে সিন্ডিকেট প্রথা ভেঙে যাবে। ২। প্রবাসীদের বিদেশে বসে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। তাদের ভিসা ফি ও বিমান ভাড়া কমাতে হবে। একই সঙ্গে প্রবাসীদের সরকারি খরচে প্রশিক্ষিত কর্মী হিসেবে তৈরি করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩। সরকারি দফতরে কাজ করতে গিয়ে সময় অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধে সবক্ষেত্রে ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করতে হবে। এই সার্ভিস যথাযথভাবে পালন হচ্ছে কি না তা কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে। ৪। দেশকে ঋণমুক্ত করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। কারণ ঋণগ্রস্ত জাতি আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে পারে না। ঋণের হাত থেকে বাঁচতে সবখাতে কৃচ্ছতা সাধন করতে হবে। পাশাপাশি সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সব মন্ত্রণালয়, সংস্থা সরকারি দফতরের তৃণমূল পর্যন্ত প্রতি বছরের কাজের অগ্রগতি ও অবনতির তথ্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। ৫। বেপরোয়া যান চলাচল, চাঁদাবাজি, শিশু-কিশোরদের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকার হাত থেকে বাঁচাতে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের একটি আন্তরিক ঘোষণাই যথেষ্ট। এতে সরকারের বাড়তি কোনো খরচও হবে না। ৬। উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে সব নাগরিকদের রাজনীতি করার সুযোগ দিতে হবে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যেমন অক্সিজেন দরকার, তেমনি দেশের স্বার্থে জনগণকে রাজনৈতিক সচেতন হতে হবে। ৭। বাংলাদেশ ঐক্য পার্টিতে দলের শীর্ষ নেতাদের নীতি ও আদর্শে শতভাগ আদর্শায়িত হওয়ার কথা বলা আছে। যা রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। সর্বস্তরে গণতন্ত্র নিশ্চিত করা, সৎ ও যোগ্যদের যোগ্যতার মূল্যায়ন করতে হবে। অহংকারী, পরশ্রীকাতর, নেতৃত্বলোভীদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদে রাখা যাবে না। আর সংস্কারের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্র সংস্কার না হলে শত সংস্কারেও তেমন কোনো কাজ হবে না। ৮। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে হবে। কেউ সাম্প্রদায়িক মন্তব্যও যাতে করতে না পারে সে ব্যাপারে রাষ্ট্রকে কঠোর হতে হবে। ৯। অবারিত সুযোগ থাকার পরও সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে মানুষ কাজ পাচ্ছে না। অবারিত সুযোগ কাজে লাগিয়ে কর্মক্ষম নাগরিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকার এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে বেকার ভাতা দিতে হবে। ১০। কেউ দাবি করুক বা না করুক, প্রাপ্যতা ও সামর্থ্য বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে। জনস্বার্থকে এড়িয়ে কম গুরুত্বপূর্ণদের চাপে নতি স্বীকার করা যাবে না। ১১। দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে ন্যাশনাল ইন্টিগ্রিটি কমিশন গঠন করতে হবে। বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র মুহাম্মদ আবদুর রহীম চৌধুরীর সঞ্চালনায় এবং পার্টির চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) আবু ইউসুফ যোবায়ের উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গণফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মো. আকমল হোসেন, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ঢাকা উত্তরের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক রেজাউর রহমান তপন। এছাড়া জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা প্রতিভা বাকচী, ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই চিং মং শাক, সাবেক সচিব কাশেম মাসুদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আবদুর রহিম, মেজর আবু রাইহান মো. মাহবুবুল ইসলাম প্রমুখ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স