ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পোরশায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সম্মানানা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আমতলীতে মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আমতলীতে খোলা বাজারে পেট্রোল ও ডিজেল বিক্রি করার মহোৎসব ইশরাক-কায়কোবাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে আসিফ প্রতীকী মূল্যে সরকারি সম্পত্তি কাউকে দেওয়া হবে না-অর্থ উপদেষ্টা আমরা সংস্কারকে ভয় পাই না স্বাগত জানাই-মির্জা ফখরুল মবতন্ত্র দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে-গণসংহতি প্রেস কাউন্সিলে নতুন কমিটি, ১২ জনকে অন্তর্ভুক্ত বাস-ট্রাক চালকদের ভালো স্বাস্থ্য আমাদের সবার জন্য জরুরি ডানপন্থী রাজনীতিতে বেড়েছে দৃশ্যমানতা জুলাই শুধু স্বৈরাচার মুক্তির মাস নয়, এটা পুনর্জন্মের মাস : প্রধান উপদেষ্টা পুঁজিবাজারে কোটি টাকা হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে জলবায়ু পরিবর্তন-খাদ্য সংকটে হুমকিতে সুন্দরবনের বাঘ জুলাই সনদের খসড়ায় আপত্তি জানিয়েছে এনসিপি-জামায়াত বিচার নিয়ে আমাদের আন্তরিকতায় সন্দেহ রাখবেন না -আইন উপদেষ্টা নৈরাজ্যের শঙ্কা দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ১৬০ দিন পর কুয়েটে ক্লাস শুরু বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু ৯ জন উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ ৬ ‘খোলা জানালা’ সেবা চালু করেছে ‘ডিআরইউ’

বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড় কমেছে বেড়েছে পরিশোধ

  • আপলোড সময় : ২৮-০২-২০২৫ ০৭:৩২:৫৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০২-২০২৫ ০৭:৩২:৫৮ অপরাহ্ন
বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড় কমেছে বেড়েছে পরিশোধ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে অর্থছাড়ও। তবে ঝুঁকির বিষয়- এই সময়ে সরকারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বেড়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-জানুয়ারি সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৬৭ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থছাড় কমেছে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ। ঋণ পরিশোধে বেড়েছে ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ বা প্রায় আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ- ইআরডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি এসেছে ২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে উন্নয়ন সহযোগীরা ছাড় করেছে ৩ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে অর্থছাড়ের পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৩৯৮ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে গত অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের পরিশোধ করেছিল ১ দশমিক ৮৫৬ বিলিয়ন ডলার, যা চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বেড়ে ২ দশমিক ৪১৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। একই সময়ে আসল পরিশোধ ১ দশমিক ০৯ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ১ দশমিক ৫৪৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। আর সুদ পরিশোধ ১৬০.৭ মিলিয়ন থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৭৪ মিলিয়ন ডলার। ইআরডি জানায়, অন্তবর্তীকালীন সরকারের মধ্যমেয়াদি ঋণ কৌশলে বৈদেশিক ঋণ কম নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ কারণে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি কমেছে। উন্নয়ন সহযোগীরা গত অর্থবছরের চেয়ে বেশি ঋণ দিতে আগ্রহ দেখালেও- এক্ষেত্রে ঋণ নেওয়ার আগ্রহ কম সরকারের। শুধুমাত্র জরুরি বাজেট সহায়তা ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে সরকার ঋণ নেবে। এর ফলে ঋণ চুক্তিও হচ্ছে ধীরগতিতে। এর প্রভাবে ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে। উল্লেখ্য সরকার গত অর্থবছরে সরকার উন্নয়ন সহযোগীদের আসল পরিশোধ করেছিল ৪ দশমিক ১৬৬ বিলিয়ন ডলার। আর সুদ পরিশোধ করেছিল ১ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ১০ দশমিক ৭৩৯ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতি আদায় করেছিল। সরকারি অর্থায়নের প্রকল্পের মতো বিদেশি ঋণের প্রকল্প বাস্তবায়নেও গতি কমেছে নতুন সরকারের সময়ে। অনেক বৈদেশিক অর্থায়নের প্রকল্পেরও ঠিকাদার চলে গেছে। অনেক প্রকল্পে পরিচালক পরিবর্তন হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাস্তবায়নে। আবার বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন স্থবির হয়ে গেছে বলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমেছে। এসব কারণে বাস্তবায়ন কাজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে উন্নয়ন প্রকল্পে বৈদেশিক অর্থছাড় কমেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
অর্থ ছাড়ের শীর্ষে বিশ্বব্যাংক
অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক। এই সংস্থার কাছ থেকে এসেছে ৯৪৪.৫ মিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা ছিল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭০০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি এসেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কাছ থেকে। সংস্থাটি ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা ছাড় করে মোট ৭০০ মিলিয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বা ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। এছাড়া জাপানের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি এসেছে ২৫২.১২ মিলিয়ন ডলার, এশিয়ান ইনফ্রাস্টাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) এর কাছ থেকে এসেছে ১৬০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি। জুলাই-জানুয়ারি সময়ে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করে এডিবি, যা পরিমাণ ১.০৯ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৬৭.৬৪ মিলিয়ন ডলার অর্থছাড় করে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া জাপান ৬৯৬.৩২, রাশিয়া ৫৩৬.৮৭, চীন ২৬৭.৮১ মিলিয়ন, এবং ভারত ৮০.১৪ মিলিয়ন ডলার ছাড় করে এই সময়ে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ