ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পুলিশের লাঠিচার্জ মানবিক পুলিশ চাচ্ছি আমরা, সবার সঙ্গে যেন ভালো ব্যবহার করে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পাচার অর্থ ফেরাতে সরকার চাইলে এখনই আইনজীবী নিয়োগ সম্ভব-গভর্নর শেষ মুহূর্তে রাজধানীতে মানুষের স্রোত গ্যাস সিলিন্ডারজনিত অগ্নি দুর্ঘটনা বাড়ছে কারাগারে ‘ফাঁস নিলেন’ বিরুলিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান সুজন আজ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার জরুরি বৈঠকের ডাক ইরানের হামলায় তছনছ ইসরায়েল করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা নকলমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশনা ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক-প্রেস সচিব ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা প্রাণ গেল ৫ জনের পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে চার ভারতীয়সহ ১৬ জনকে পুশইন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ বাস কম যাত্রী বেশি, বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না টিকিট বেনাপোলে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেয়া হবে না পরিবেশ উপদেষ্টা যৌথ বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধÑ খেলাফত মজলিস ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা গ্রেফতার মৌসুমি ফলে ভরপুর বাজার দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতাদের

বাফুফের ওপর থেকে ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

  • আপলোড সময় : ০৮-০৩-২০২৫ ১০:২৯:৪৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৩-২০২৫ ১০:২৯:৪৯ অপরাহ্ন
বাফুফের ওপর থেকে ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
সাত বছর পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) অবশেষে মুক্ত হলো ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা থেকে। ২০১৮ সাল থেকে ফিফার কড়া নজরদারিতে থাকা বাফুফে এখন স্বাভাবিক নিয়মে অনুদান পাবে এবং উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবে।
বাফুফের প্রধান আয়ের উৎস ফিফার অনুদান। তবে ২০১৮ সালে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ফিফা বিশেষ নজরদারি আরোপ করে। অনুদানের অর্থ পেলেও তা ধাপে ধাপে ছাড় করা হতো, যা বাফুফের জন্য ছিল এক ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি।
২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাফুফের ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিভিন্ন অসঙ্গতি ধরা পড়ে ফিফার তদন্তে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের এপ্রিলে বাফুফের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করা হয়। পরে ২০২৪ সালের মে মাসে তাঁর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়ে তিন বছর করা হয়। এ ছাড়া বাফুফের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার আবু হোসেন ও ম্যানেজার (অপারেশন্স) মিজানুর রহমানকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
বাফুফের বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বে আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বিশেষ করে ফিফার নির্ধারিত আর্থিক ব্যবস্থাপনার মানদণ্ড অনুসরণ করা হয়। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফিফার একটি অডিট প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে এবং তাদের পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফিফার এই সিদ্ধান্ত বাফুফের জন্য বড় স্বস্তি। এখন তারা শুধুমাত্র নিয়মিত অনুদানই পাবে না, বরং উন্নয়ন প্রকল্পের জন্যও আবেদন করতে পারবে। অর্থের প্রবাহ স্বাভাবিক হওয়ায় দেশের ফুটবলের উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নের পথে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এখন বাফুফের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং ফিফার দেওয়া সুযোগগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স