ঢাকা , বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
টাঙ্গাইলে এনসিপির পদযাত্রা, নিরাপত্তায় ৯ শতাধিক পুলিশ সদস্য সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত মডেল মেঘনার জব্ধকৃত মালামাল ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরির আদেশ সারাদেশে নীরবে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী মেলিওডোসিস ওয়ারড্রব ম্যালফাংশনের শিকার হলেন জেনিফার লোপেজ এবার প্রাক্তন স্বামীর ৩০ হাজার কোটির সম্পত্তিতে ‘চোখ’ কারিশমার অক্ষয় কুমারের ফিটনেস রহস্য ফাঁস! বিপাকে রাজকুমার! জারি হলো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে জয়ার নতুন সিনেমা সবাইকে কেন সতর্ক করলেন অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান? আবারও রায়হান রাফী ও তমা মির্জার প্রেমে ভাঙন বিএনপির ভরসার কেন্দ্রবিন্দুতে আপসহীন খালেদা জিয়া ডেঙ্গু আতঙ্কে নগরবাসী জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র ৫ আগস্টের মধ্যে জারি করতে হবে : নাহিদ ইসলাম বিয়ামে এসি বিস্ফোরণ নয়, নথি পোড়াতে গিয়ে আগুনে পুড়ে ২ জন নিহত ডিএসসিসির পরিবহন ব্যবস্থাপনায় ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রানওয়েতে স্কুলের পারমিশন যারা দিয়েছে তাদের ধরতে হবে-স্বাস্থ্য উপদেষ্টা একই দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ করতে চায় এনসিপি ও ছাত্রদল দেশকে পুনরায় গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন তারেক রহমান-ফখরুল রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির

স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না ট্রেন চলাচল

  • আপলোড সময় : ১০-০৩-২০২৫ ১২:১৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০৩-২০২৫ ১২:১৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না ট্রেন চলাচল
মিটারগেট ইঞ্জিনের তীব্র সঙ্কটে কঠিন হয়ে পড়ছে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা। ইঞ্জিন সংকটের কারণে ট্রেন চলাচলে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ে সবচেয়ে বেশি হিমশিম খাচ্ছে। ওই অঞ্চলে প্রতিদিন অন্তত ১১৬টি ইঞ্জিনের প্রয়োজন হলেও বিপরীতে মাত্র ৭০ থেকে ৭২টি ইঞ্জিনের বরাদ্দ মিলছে। যাত্রী পরিবহন ট্রেনের ইঞ্জিনে সবচেয়ে বেশি সংকট। প্রয়োজনীয় ৭২টির বিপরীতে মিলছে ৫৩টি। তাছাড়া জ্বালানি তেল, কনটেইনার এবং সার পরিবহনের জন্য ১৪টি ইঞ্জিন দরকার হলেও পাঁচ থেকে ছয়টি ইঞ্জিনের বরাদ্দ মিলছে। স্টেশন ও ডিপোতে ট্রেন শান্টিংয়ের জন্য ১২ থেকে ১৩ ইঞ্জিন সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখতে হয়। কিন্তু সেখানেও ইঞ্জিন সংকট রয়েছে। ইঞ্জিন সংকটে আটকে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনও। বাংলাদেশ রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, নতুন করে ৩০টি ইঞ্জিন কক্সবাজার রুটের জন্য  কেনার কথা থাকলেও তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অথচ ইতিমধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়েনি। যাত্রীবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনের জোগান দিতে পণ্যবাহী ও তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে টান পড়েছে। অথচ সমপ্রতি নতুন কিছু যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করা হয়েছে। আর নিয়মিত ট্রেনের ইঞ্জিনের পাশাপাশি শান্টিং (বগি ডিপো থেকে আনা-নেয়ার জন্য ব্যবহৃত হওয়া ইঞ্জিন) কাজে এবং কোনো ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দিলে সাপোর্ট ইঞ্জিন রাখতে হয়। তাতে বাড়তি ইঞ্জিন লাগছে।
সূত্র জানায়, রেলওয়ের ইঞ্জিন মেরামতের সবচেয়ে বড় কারখানা পার্বতীপুরে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা। তাছাড়া চট্টগ্রামের পাহাড়তলী, ঢাকা ও পার্বতীপুরে তিনটি ডিজেলশপ রয়েছে। সেখানেও ইঞ্জিন মেরামত হয়ে থাকে। তবে পার্বতীপুরে সবচেয়ে বড় আকারে মেরামত হয়ে থাকে। কিন্তু ওসব কারখানাগুলোয় দক্ষ কর্মী কমে গেছে। ফলে সঠিকভাবে মেরামত হচ্ছে না। আর এর প্রভাব ট্রেন পরিবহনে পড়ছে। পার্বতীপুরে থাকা দেশের সবচেয়ে বড় কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় বর্তমানে ৭২৪ জন জনবলের মধ্যে মাত্র ২১০ জন রয়েছে। আবার তাদের মধ্যে অভিজ্ঞরা অবসরে চলে গেছেন। ইঞ্জিন মেরামতের জন্য অভিজ্ঞ ও দক্ষ জনবলের ঘাটতি ভোগাচ্ছে। আবার জনবল নিয়োগ বন্ধ থাকা এবং পদোন্নতি নীতিমালার সমস্যার কারণে ওপরের পদগুলোয় পদোন্নতিও দেয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে জোড়াতালি দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। বর্তমানে মেরামতের জন্য থাকা ১১টি ইঞ্জিনের মধ্যে ১০টি মিটারগেজের এবং একটি ব্রডগেজের। আর ইঞ্জিন মেরামতে ৮০ শতাংশ বিদেশি উপকরণ সরবরাহ করার কথা থাকলে সরবরাহ করা হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। যথারীতি কম গুণগতসম্পন্ন উপকরণ দিয়ে মেরামতের কারণে সেগুলো আবার দ্রুত অকেজো হয়ে পড়ছে।
সূত্র আরো জানায়, ল ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের বহরে ১৯৫৩, ১৯৫৪ ও ১৯৫৬ সাে যুক্ত হয়েছিল ২০০০ সিরিজের মিটারগেজ ডিজেল-বৈদ্যুতিক ৪০টি ইঞ্জিন। ৭১ বছরের পুরনো ওসব ইঞ্জিনের মধ্যে ছয়টি এখনো রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগে ব্যবহার হয়। তবে সেগুলোর মধ্যে দুটি শুধু ট্রেন শান্টিংয়ের কাজে ব্যবহার হয়। বাকি চারটি পাহাড়তলী রেলওয়ে লোকোমোটিভ ওয়ার্কশপে পড়ে আছে। পরে ৬১ থেকে ৬৪ সালে আমেরিকা থেকে আসে ৫১টি ইঞ্জিন, ২৩০০ সিরিয়ালের ২৪টি ইঞ্জিন কানাডা থেকে আসে ১৯৬৯ ও ৭০ সালে। একই দেশ থেকে ১৯৭৮ সালে ২৪০০ সিরিয়ালের ১২টি ইঞ্জিন আসে। ১৯৮১ সালে জাপান থেকে ২৫০০ সিরিয়ালের ১৮টি, ১৯৮৮ সালে কানাডা থেকে ২৬০০ সিরিয়ালের ১৬টি, ১৯৯৪ ও ৯৫ সালে জার্মানি থেকে ২৭০০ সিরিয়ালের ২১টি, ১৯৯৬ সালে ভারত থেকে ২৮০০ সিরিয়ালের ১০টি, ১৯৯৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যনÑ দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ২৯০০ সিরিয়ালের ৩৯টি এবং ২০২০ সালে একই দেশ থেকে ৩০০০ সিরিয়ালের ৩০টি ইঞ্জিন কেনা হয়েছে। সব মিলিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়েতে এ পর্যন্ত ৩৫৮ ইঞ্জিন কেনা হলেও অনেক ইঞ্জিন আয়ুষ্কাল পার হয়ে গেছে। এখন ভঙ্গুর অবস্থায় বিভিন্ন শেডে পড়ে রয়েছে। তাতে ইঞ্জিনের সংকট দেখা দিয়েছে।
এদিকে এ বিষয়ে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মো. সবুক্তগীন জানান, লোকোমোটিভ কারখানাগুলোকে দ্রুত ইঞ্জিন মেরামত করে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। কারখানাগুলো শিগগিরই কিছু ইঞ্জিন সরবরাহ করবে। তখন হয়তো এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে।
অন্যদিকে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (রোলিং স্টক) আহমেদ মাহবুব চৌধুরী জানান, এখনই সমাধান নেই। আপাতত ইঞ্জিন মেরামত করেই চালানো হবে। কক্সবাজার রুটের জন্য ৩০টি ইঞ্জিন কেনার প্রস্তাবনা রয়েছে। ওসব ইঞ্জিন কেনা হলে হয়তো সমাধান হতে পারে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স