ঢাকা , বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
টাঙ্গাইলে এনসিপির পদযাত্রা, নিরাপত্তায় ৯ শতাধিক পুলিশ সদস্য সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত মডেল মেঘনার জব্ধকৃত মালামাল ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরির আদেশ সারাদেশে নীরবে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী মেলিওডোসিস ওয়ারড্রব ম্যালফাংশনের শিকার হলেন জেনিফার লোপেজ এবার প্রাক্তন স্বামীর ৩০ হাজার কোটির সম্পত্তিতে ‘চোখ’ কারিশমার অক্ষয় কুমারের ফিটনেস রহস্য ফাঁস! বিপাকে রাজকুমার! জারি হলো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে জয়ার নতুন সিনেমা সবাইকে কেন সতর্ক করলেন অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান? আবারও রায়হান রাফী ও তমা মির্জার প্রেমে ভাঙন বিএনপির ভরসার কেন্দ্রবিন্দুতে আপসহীন খালেদা জিয়া ডেঙ্গু আতঙ্কে নগরবাসী জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র ৫ আগস্টের মধ্যে জারি করতে হবে : নাহিদ ইসলাম বিয়ামে এসি বিস্ফোরণ নয়, নথি পোড়াতে গিয়ে আগুনে পুড়ে ২ জন নিহত ডিএসসিসির পরিবহন ব্যবস্থাপনায় ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রানওয়েতে স্কুলের পারমিশন যারা দিয়েছে তাদের ধরতে হবে-স্বাস্থ্য উপদেষ্টা একই দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ করতে চায় এনসিপি ও ছাত্রদল দেশকে পুনরায় গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন তারেক রহমান-ফখরুল রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির
পিলখানা হত্যাকাণ্ড

শেখ হাসিনা আজিজসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  • আপলোড সময় : ১০-০৩-২০২৫ ০১:৪৮:২৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০৩-২০২৫ ০১:৪৮:২৪ অপরাহ্ন
শেখ হাসিনা আজিজসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডে কারা অভ্যন্তরে বিডিআরের সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুর রহিমের মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেনাপ্রধান (হত্যাকাণ্ডের সময় বিজিবিপ্রধান) জেনারেল আজিজ আহমেদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করেছে রাজধানীর চকবাজার থানা পুলিশ। আদালতের নির্দেশে গত ৪ মার্চ চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করেন। গত ৭ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন মুহাম্মদ জুনাইদ মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১০ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। গতকাল রোববার চকবাজার থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপ-পরিদর্শক আশরাফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ২৫ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগী ডিএডি আব্দুর রহিমের ছেলে অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ২০১০ সালে বিডিআর বিদ্রোহে মৃত্যুর ঘটনায় যে অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে তা রিকল করেন। অপমৃত্যুর মামলার সর্বশেষ অবস্থা দেখে আদালত আদেশ দেবেন বলে জানান। গত ২ ডিসেম্বর চকবাজার মডেল থানার এসআই (নিরস্ত্র) আহম্মদ আলী মোল্লা এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়নি বলে আদালতে অবহতিকরণপত্র দাখিল করেন। এরপর গত ২ ফেব্রুয়ারি নথি পর্যালোচনা করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জুনাইদ চকবাজার থানাকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। গত ৪ মার্চ চকবাজার থানার অফিসার্স ইনচার্জ মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করেন। গত ৭ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জুনাইদ মামলাটি তদন্ত করে আগামী ১০ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। অবহিতকরণ পত্রে বলা হয়েছে, মামলার ভিকটিম বীর মুক্তিযোদ্ধা ডিএডি আব্দুর রহিমের মৃত্যুর ঘটনায় কোনো অপমৃত্যু মামলা করা হয়নি। প্রকাশ থাকে যে, চকবাজার মডেল থানায় ২০১০ সালের জুলাই মাসে ২০টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে ভিকটিমের নাম নেই। অর্থাৎ আব্দুর রহিমের মৃত্যুর ঘটনায় চকবাজার থানায় কোনো মামলা করা হয়নি। বর্তমান সরকারের সময় পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রথম মামলা হচ্ছে এটি। এ মামলায় জেনারেল আজিজ আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। দ্বিতীয় আসামি হলেন বিডিআর বিদ্রোহের মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল, আসামির তালিকায় শেখ হাসিনা রয়েছেন চতুর্থ স্থানে। বাকি উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক এমপি নূরে আলম চৌধুরী লিটন, সাবেক এমপি শেখ সেলিম ও শেখ হেলাল, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজম, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মন্ত্রী-এমপিসহ আরও ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, স্বৈরশাসক হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে তাদের বিদেশি এজেন্ট দ্বারা ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ রাইফেলসের মেধাবী অফিসারদের হত্যা করে। ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন লোভনীয় অফার দেয়া হচ্ছিল। তবে তিনি অন্যায় ও মিথ্যা রাজসাক্ষী দিতে চাননি। তাই বাদীর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডিএডি আব্দুর রহিমকে ২০১০ সালের ২৯ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় করাগারে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। পরে কারাগারে ডাক্তাররা স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে সার্টিফিকেট দেয়। আব্দুর রহিমের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে এ মামলা করা হয়।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স