ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছেন-জামায়াত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক দেশে স্বস্তি এনেছে বললেন দুদু মামলার আগেই আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক, বড় পরিবর্তন আসছে আইনে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস আয়রন ডোম চুরমার ইসরায়েলি সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান ইরানের কাছে ধরাশায়ী ইসরায়েল মেসিদের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ মাঠে ফেরায় তোড়জোড় গগবার অনিশ্চয়তায় ক্যাবরেরার ভবিষ্যৎ ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাবকে আইসিসির ‘না’ বিগব্যাশে ডাক পেলেন বাবর আজম পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন ইউসুফ তারকাবিহীন দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলি হামলায় নিন্দার ঝড় ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার ও পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা সবকিছু শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি করুন ইরানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

তদন্তের মুখে ভুয়া সনদে ১৪ বছর চাকরি করা শিক্ষকের পদত্যাগ

  • আপলোড সময় : ১৬-০৫-২০২৪ ১০:২২:৪২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০৫-২০২৪ ১০:২২:৪২ পূর্বাহ্ন
তদন্তের মুখে ভুয়া সনদে ১৪ বছর চাকরি করা শিক্ষকের পদত্যাগ তদন্তের মুখে ভুয়া সনদে ১৪ বছর চাকরি করা শিক্ষকের পদত্যাগ
যশোর প্রতিনিধি
যশোরে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছেএই শিক্ষকের নাম আবদুল মালেক, গত ১৪ বছর ধরে তিনি মণিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া গাংগুলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কৃষি) হিসেবে চাকরিরত ছিলেন এবং যথারীতি সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেনঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায় আবদুল মালেক চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ নিয়ে একটি পক্ষ অভিযোগ তোলেন এবং সনদ যাচাইয়ের দাবি তোলেনএ লক্ষ্যে আদালতে মামলা দায়ের করেন জুলফিক্কার আলী নামে এক ব্যক্তিমামলার অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর আবদুল মালেক উপজেলার খেদাপাড়া গাংগুলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কৃষি) হিসেবে যোগদান করেন২০০৯ সালে পাস দেখানো শিক্ষক নিবন্ধন সনদে রোল নম্বর ৩১৯১২৫৭১যোগদানের পর থেকে দাখিলকৃত নিবন্ধন সনদটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়এ নিয়ে খেদাপাড়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলী সরদারের ছেলে জুলফিক্কার আলী আদালতে একটি মামলা করেনমামলার পর মনিরামপুর থানাকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়তৎকালীন থানার এএসআই সৈয়দ আজাদ আলী ২০২০ সালে ৫ জুলাই আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেনদাখিলকৃত প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়, সহকারী শিক্ষক আবদুল মালেক এনটিআরসির যে সনদটি নিজের দাবি করছেন সেটি তার নয়৩১৯১২৫৭১ এ রোল নম্বরের সনদের প্রকৃত মালিক বগুড়ার সাইদুর রহমানের ছেলে আইয়ুব আলীআবদুল মালেক ওই রোল নম্বর ব্যবহার করে ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদ তৈরি করে চাকরি করে আসছেনকিন্তু এই তদন্ত প্রতিবেদন পরও মামলা চলমান থাকায় চাকরি চালিয়ে যান আবদুল মালেকতিনি গত ঈদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত খেদাপাড়া গাগুলিয়া ফাজিল মাদ্রাসা হতে সরকারি বেতন বোনাস উত্তোলন করেছেনতবে বিতর্কের মুখে চলতি মাসের ১ তারিখ তিনি ওই মাদ্রাসা থেকে পদত্যাগ করেছেনখেদাপাড়া গাগুলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছায়াদাত হোসেন বলেন, আবদুল মালেক চলতি মাসের ১ তারিখে পদত্যাগ করে অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়েছেনএক প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, সনদ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা শুনেছিতবে, কখনো যাচাই করে দেখিনিঅভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে, শিক্ষক নিবন্ধনটি সঠিক বলে মোবাইল ফোনে দাবি করেছেন অভিযুক্ত আবদুল মালেকজানা গেছে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আবদুল মালেককে বোয়ালিয়াঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান দেখানো হয়েছেএ নিয়েও একটি পক্ষ অভিযোগ তুলছেনবোয়ালিয়াঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মতিয়ার রহমান বলেন, আবদুল মালেক নামের একজনকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে চলতি মাসের ৫ তারিখে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করছেনমাঝে-মধ্যে তিনি ক্লাসও নিচ্ছেনবোয়ালিয়াঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুদ্দুস আলমের কাছে যোগদানের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়েটি এড়িয়ে যান এবং সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেনমণিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, আবদুল মালেকের নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নিএক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, কীভাবে স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন সেটা প্রধান শিক্ষকই ভালো বলতে পারবেন
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য