ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছেন-জামায়াত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক দেশে স্বস্তি এনেছে বললেন দুদু মামলার আগেই আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক, বড় পরিবর্তন আসছে আইনে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস আয়রন ডোম চুরমার ইসরায়েলি সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান ইরানের কাছে ধরাশায়ী ইসরায়েল মেসিদের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ মাঠে ফেরায় তোড়জোড় গগবার অনিশ্চয়তায় ক্যাবরেরার ভবিষ্যৎ ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাবকে আইসিসির ‘না’ বিগব্যাশে ডাক পেলেন বাবর আজম পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন ইউসুফ তারকাবিহীন দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলি হামলায় নিন্দার ঝড় ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার ও পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা সবকিছু শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি করুন ইরানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

রোহিঙ্গাদের সহায়তা বন্ধ করতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র

  • আপলোড সময় : ১৬-০৩-২০২৫ ০৫:০৭:০৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০৩-২০২৫ ০৫:০৭:০৪ অপরাহ্ন
রোহিঙ্গাদের সহায়তা বন্ধ করতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ও লেবাননের সাধারণ মানুষের খাদ্য সহায়তা বন্ধ করতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা গত ফেব্রুয়ারিতে এক ইমেইলে বলেছিলেন, রাষ্ট্রবিহীন রোহিঙ্গা ও লেবাননের জন্য সহায়তা যেন বন্ধ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক নয় এমন সহায়তা বন্ধ করার যে উদ্যোগ ট্রাম্প প্রশাসন নিয়েছে, এটি তারই অংশ ছিল।
সহায়তা সংস্থা ইউএসএইডের ভারপ্রাপ্ত সহ-প্রশাসক পিটার মারোক্কো নামে এই কর্মকর্তা গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ইমেইলটি লেখেন। এতে তিনি এমন বার্তা দিয়েছিলেন, রোহিঙ্গা ও লেবাননে তারা যে খাদ্য সহায়তা দেন সেটির জন্য যেন তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
ইমেইলটি পাঠানো হয়েছিল ইউএসএইডের মানবিক সহায়তা বিষয়ক ব্যুরো প্রধান টিম মিসবার্গারকে। এতে তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল একটি মেমো তৈরি করার জন্য। যেটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর নজর আকর্ষণ করে তাকে অভিহিত করতে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ওপর মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও লেবানন কতটা নির্ভরশীল। এছাড়া মারোক্কো বলেছিলেন, যদিও তাদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সহানুভূতি রয়েছে। কিন্তু তারা যে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছেন সেটি যেন উল্লেখ করা হয়। বিশেষ করে ধীরে ধীরে সহায়তা বন্ধ করার ব্যাপারে জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। একটি সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন এ কর্মকর্তা রোহিঙ্গা ও লেবাননকে আরও সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স গত ১৪ মার্চ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ ইমেইলের ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি। এছাড়া এ দুই মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা উত্তর দেননি। এছাড়া মিইসবার্গ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা ও লেবাননের সহায়তা নিয়ে কোনো মেমো পাঠিয়েছিলেন কি না সে ব্যাপারেও রয়টার্স নিশ্চিত হতে পারেনি। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রই ঘোষণা দিয়েছিল রোহিঙ্গারা হলো গণহত্যার শিকার মানুষ।
এদিকে ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়েই ৯০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সহায়তা বন্ধ করে দেন। তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, রোহিঙ্গা ও লেবাননের মানুষদের জন্য খাদ্য সহায়তা বন্ধ হওয়া রক্ষা পায় ২৪ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিরও জরুরি খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখার নির্দেশনার কারণে। তিনি ট্রাম্পের সব ধরনের সহায়তা বন্ধ থেকে ‘খাদ্য সহায়তাকে’ ছাড় দিতে বলেছিলেন। এর চারদিন পর জীবনরক্ষাকারী সব ওষুধ, চিকিৎসা সহায়তা, খাদ্য, আশ্রয়, জীবিকা সহায়ক, সরবরাহ এবং এসব সহায়তা পৌঁছে দিতে যুক্তিসঙ্গত প্রশাসনিক খরচকে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় দিতে নির্দেশনা দেন তিনি। রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে বেশি খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ২দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে তারা।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারের ১০ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক কক্সবাজারের দারিদ্রপীড়িত ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে। রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর ৯৫ শতাংশই বেঁচে থাকার জন্য মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। মিয়ানমারের রাখাইনে গণহত্যা থেকে বাঁচতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে আসে। কেউ কেউ মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।
এ মাসের শুরুতে জাতিসংঘ সতর্কবার্তায় জানায়, অর্থভাবে রোহিঙ্গাদের ভাতা ১২ দশমিক ৫০ ডলার থেকে ৬ ডলারে নামিয়ে আনতে হতে পারে। গতকাল শুক্রবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সেখানে তিনি প্রতিশ্রতি দেন, এই সহায়তার পরিমাণ যেন কোনোভাবেই না কমে সেজন্য তিনি চেষ্টা করবেন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স