ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা নকলমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশনা ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক-প্রেস সচিব ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা প্রাণ গেল ৫ জনের পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে চার ভারতীয়সহ ১৬ জনকে পুশইন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ বাস কম যাত্রী বেশি, বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না টিকিট বেনাপোলে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেয়া হবে না পরিবেশ উপদেষ্টা যৌথ বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধÑ খেলাফত মজলিস ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা গ্রেফতার মৌসুমি ফলে ভরপুর বাজার দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতাদের সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু রোগী ও স্বজনদের মারধর করলেন ওয়ার্ড বয় উত্তরায় র‌্যাবের পোশাক পরে ‘নগদ’ এজেন্টের কোটি টাকা ছিনতাই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ মানা হচ্ছে না নির্দেশনা নতুন করে সংকটের মুখে দেশের পোশাক খাত নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ
ছয় শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়

শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে শঙ্কা

  • আপলোড সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ১২:২৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ১২:২৬:১০ পূর্বাহ্ন
শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে শঙ্কা
বরিশাল প্রতিনিধি
বিভাগের ছয় জেলার ৬৪৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জীবন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব স্কুলের ছাদ, পিলার ও দেয়াল খসে পরছে যখন তখন। এমনকি কিছু স্কুলের ভবনও রয়েছে ধ্বসে কিংবা হেলে পরার শঙ্কায়।
ফলে চরম উৎকন্ঠায় চলছে এসব স্কুলের কার্যক্রম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর বর্ধিত এলাকায় দিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৪৩ সালে। বর্তমানে এখানে ভবন নামের একটি খোলস হয়ে পরে আছে। ক্লাশ চলাকালীন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চোখ বই-খাতার চেয়ে বেশি থাকে জরাজীর্ণ ছাদের দিকে। ১১ শতক জমির ওপর স্থাপিত স্কুলটি যেকোন সময় ধ্বসে পরতে পারে পুকুরের মধ্যে। এর তিনটি কক্ষ ২০১২ সালে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হলেও এখনো ক্লাশ চলে সেখানে। বৃষ্টির আগে বাতাস শুরু হলেই শিক্ষার্থীদের নামিয়ে আনা হয় স্কুলের বাহিরে। স্কুলের প্রধানশিক্ষক আফসানা মুন্নি বলেন, আমি যে ক্লাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছি এটিসহ আরো তিনটি ক্লাশরুম ১২ বছর আগে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়েঠে। এটি আইসিটি ক্লাশরুম ছিলো। ক্লাশ চলাকালীন এখানে পিলার ও ছাদের পলেস্তারা এবং সিলিং ফ্যান খসে পরে।
বর্তমানে যেকোন মুহুর্তে পুরো ভবনটি ধ্বসে পরার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা এখানে শিক্ষার উন্নয়ন করলেও একাধিকবার সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তকর্তাদের দ্বারস্থ হয়েও অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন করাতে পারিনি। ফলে দুর্যোগতো দূরের কথা আকাশে মেঘ দেখলেই আমরা বাচ্চাদের নিয়ে কোথায় যাবো তা ভাবতে থাকি। অপরদিকে নগরীর প্রানকেন্দ্র সাগরদি বাজার এলাকায় ১৯৭৩ সাল থেকে সাগরদী রূপাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ফাউন্ডেশনহীন একটি দোতলা ভবনে।
এখানে এ পর্যন্ত শিক্ষকসহ কমপক্ষে ১০ জন শিক্ষার্থী পলেস্তারা খসে পরে আহত হয়েছেন। একের পর এক কক্ষ ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পরায় বর্তমানে এখানে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রায় শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হয়েছে। স্কুলের প্রধানশিক্ষক শাহানারা বেগম বলেন, ভবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে সর্বদা চিন্তা করতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ভীম ও দেয়াল খসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আহত হচ্ছে। বিষয়টি দীর্ঘদিন থেকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েও কোন সুফল মেলেনি।একাধিক অভিভাবকরা বলেন, স্কুলে পড়াশোনা ভালো হলেও চরম ঝুকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবন। এ অবস্থায় আমরা বাচ্চাদের স্কুলে রেখে বাসায় নিশ্চিন্তে থাকতে পারছি না।
সূত্রমতে, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ৬ হাজার ২৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শতকরা ১০ ভাগ স্কুলের অবকাঠামোগত অবস্থা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। ওইসব ঝুঁকিপূর্ন এসব স্কুলে প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে প্রাথমিক শিক্ষা বরিশাল বিভাগের উপ-পরিচালক নিলুফার ইয়াসমিন বলেন, বিভাগের ৬৪৬টি প্রাইমারি স্কুলকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীগণ এসব বিদ্যালয় পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিয়েছেন। সেমতে, ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলের তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত এসব স্কুলের ভবন পুন.নির্মান করা হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য