ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পোরশায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সম্মানানা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আমতলীতে মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আমতলীতে খোলা বাজারে পেট্রোল ও ডিজেল বিক্রি করার মহোৎসব ইশরাক-কায়কোবাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে আসিফ প্রতীকী মূল্যে সরকারি সম্পত্তি কাউকে দেওয়া হবে না-অর্থ উপদেষ্টা আমরা সংস্কারকে ভয় পাই না স্বাগত জানাই-মির্জা ফখরুল মবতন্ত্র দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে-গণসংহতি প্রেস কাউন্সিলে নতুন কমিটি, ১২ জনকে অন্তর্ভুক্ত বাস-ট্রাক চালকদের ভালো স্বাস্থ্য আমাদের সবার জন্য জরুরি ডানপন্থী রাজনীতিতে বেড়েছে দৃশ্যমানতা জুলাই শুধু স্বৈরাচার মুক্তির মাস নয়, এটা পুনর্জন্মের মাস : প্রধান উপদেষ্টা পুঁজিবাজারে কোটি টাকা হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে জলবায়ু পরিবর্তন-খাদ্য সংকটে হুমকিতে সুন্দরবনের বাঘ জুলাই সনদের খসড়ায় আপত্তি জানিয়েছে এনসিপি-জামায়াত বিচার নিয়ে আমাদের আন্তরিকতায় সন্দেহ রাখবেন না -আইন উপদেষ্টা নৈরাজ্যের শঙ্কা দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ১৬০ দিন পর কুয়েটে ক্লাস শুরু বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু ৯ জন উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ ৬ ‘খোলা জানালা’ সেবা চালু করেছে ‘ডিআরইউ’
দীর্ঘ ৯ মাস মহাকাশে আটকা

কঠিন অভিজ্ঞতা জানালেন সুনিতা

  • আপলোড সময় : ২১-০৩-২০২৫ ১২:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৩-২০২৫ ১২:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন
কঠিন অভিজ্ঞতা জানালেন সুনিতা
দীর্ঘ ৯ মাস ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) আটকে ছিলেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। অবশেষে পৃথিবীতে ফিরেছেন তারা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ২৮৬ দিন কাটানোর পর অবশেষে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন সুনীতা উইলিয়ামস, বাচ উইলমোরসহ ৪ নভোচারী। গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫ টা ৫৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় গত বুধবার ভোর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের উপকূলে অবতরণ করেছে তাদের বহনকারী ক্যাপসুলটি। সুনীতা, বাচের সঙ্গে আরও যে ২ জন নভোচারী এসেছেন, তারা হলেন নাসার নিক হগ এবং রুশ নভোচারী আলেকজান্ডার গর্বুনভ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ইলন মাস্কের মালিকানাধীন কোম্পানি স্পেসএক্সের ‘ক্রু ড্রাগন’ ক্যাপসুলে ফিরে এসেছেন তারা। চারটি বিশেষ প্যারাসুটের সাহায্যে ফ্লোরিডার উপকূলে নামে ক্রু ড্রাগন। ইলন মাস্ক তার এক্স অ্যাকাউন্টে ক্যাপসুলটির অবতরণের দৃশ্য শেয়ার করেছেন। গত বছর জুনে বিমান প্রস্তুতকারী মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের তৈরি নভোযান স্টারলাইনারে চেপে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন সুনীতা ও বাচ। সেখানে গিয়ে আটকা পড়েন তারা। কারণ যে মহাকাশযানে তারা গিয়েছিলেন, সেটি বিগড়ে গিয়েছিল। এমন অবস্থায় আটকে পড়া দুই নভোচারীকে ফিরিয়ে আনতে গত বছর থেকেই নানা পরিকল্পনা করতে শুরু করে নাসা। গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি দুই নভোচারীকে ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দেন। তাদের ফিরিয়ে আনতে নাসার তৎপরতার অংশ হিসেবে ক্রু-১০ মিশনের ফ্লাইটে তাঁদের ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফ্লোরিডার উপকূলে নেমে আসার পর কিছুক্ষণ সমুদ্রে ভাসছিল তাদের বহনকারী ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে, ক্যাপসুলটিকে ঘিরে সাঁতার কাটছে কিছু কৌতুহলি ডলফিন। প্রায় এক ঘণ্টা পর মার্কিন নৌবাহিনীর একটি উদ্ধারকারী জাহাজ এই নভোচারীদের ক্যাপসুল থেকে বের করে নিয়ে আসে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে যেন তারা খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, মূলত সেজন্য এক ঘণ্টা সময় নিয়েছে নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ। ফ্লোরিডার উপকূল থেকে এই নভোচারীদের সঙ্গে নিয়ে টেক্সাসের হিউস্টন শহরে জনসন স্পেস সেন্টারের উদ্দেশে রওনা দেন উদ্ধারকারীরা। তবে পৃথিবীতে ফিরে এলেও এখনই নিজের পরিবার-বন্ধু-স্বজনদের দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারবেন না মহাকাশচারীরা। কয়েক সপ্তাহ তাদের থাকতে হবে ক্রু কোয়ার্টারে। সেখানে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলবে তাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন মহাকাশে শূণ্য মাধ্যাকর্ষণে থাকার কারণে শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় নানা হেরফের ঘটে। মহাকাশচারীদের অবতরণের পর তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে নাসার উপ সহযোগী প্রশাসক জোয়েল মনটালবানো এবং কার্যক্রম সমন্বয় ব্যবস্থাপক বিল স্পিচ বলেন, এই মহাকাশচারীরা আমাদের গর্ব। ৯ মাসে ৯০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রায় ১৫০টি গবেষণা করেছেন তারা। তাদের ফিরে আসায় আমরা খুবই খুশি।
নাসার তথ্যানুযায়ী, গত বছরের জুন মাস থেকে আইএসএসে আটকে পড়েন সুনিতা ও বুচ। আট দিনের মহাকাশ মিশনে সেখানে যান তারা। কিন্তু বোয়িংয়ের স্টারলাইনার মহাকাশযানে ত্রুটির কারণে তারা সেখানে আটকা পড়েন। দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফেরা নিয়ে বেশ আগ্রহী সুনিতা ও বুচ। এ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন তারা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকেই তারা ওই সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে সুনিতাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, মহাকাশের কোন বিষয়টি তার সবচেয়ে বেশি মনে পড়বে? সঙ্গে সঙ্গে তার জবাব ছিল- ‘সবকিছু’। সুনিতা বলেন, এটা আমার ও বুচের তৃতীয়বারের মতো আইএসএস সফর ছিল। (আইএসএসের) বিভিন্ন অংশ একত্র করতে আমরা সহায়তা করেছি। এখান থেকে আমরা এটিকে বদলে যেতে দেখেছি। এখানে বসবাস করাটা আমাদের এক অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছে- শুধু জানালার বাইরের দৃশ্যই নয়, সমস্যার সমাধান কীভাবে করতে হবে, সেটাও শিখিয়েছে। চলে যাওয়ার সময় আমি এই অনুপ্রেরণা ও দৃষ্টিভঙ্গিগুলো হারাতে চাই না। তাই যেভাবে হোক, আমি এগুলো স্মৃতিতে রেখে দেব। মহাকাশ থেকে কবে নিজ ঠিকানায় ফিরতে পারবেন- সে বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ সম্পর্কে জানতেন না সুনিতা। এটাই তার জন্য সবচেয়ে কঠিন বিষয় ছিল বলে জানান তিনি। সুনিতা বলেন, আমরা এখানে রয়েছি। আমাদের একটি মিশন রয়েছে। প্রতিদিন যা যা করতে হয়, তা আমরা করি। সবচেয়ে কঠিন বিষয়টি হলো আমরা কখন ফিরব, তা জানতে না পারাটা। ওই অনিশ্চয়তাগুলো হলো সবচেয়ে কঠিন বিষয়।
‘ক্রু–১০’ মিশন:
‘ক্রু–১০’ মিশনে চারজন নভোচারীকে আইএসএসে পাঠানো হয়েছিলো। গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩ মিনিটে একটি মহাকাশযান কেনেডি স্পেস সেন্টার ছেড়ে যায়। এই মিশনে ছিলেন নাসার নভোচারী অ্যান ম্যাকক্লেইন, নিকোল আয়েরস, জাপান মহাকাশ অনুসন্ধান সংস্থা জেএএক্সএর নভোচারী তাকুইয়া ওনিশি ও রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের নভোচারী কিরিল পেসকভ। শুক্রবার পৃথিবী ছাড়ার একদিন পর শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪ মিনিটে স্পেসএক্সের ‘ড্রাগন’ মহাকাশযানটি আন্তর্জাতিক স্টেশনে পৌঁছায়। তারপর যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও রাশিয়ার নভোচারীরা আইএসএসে প্রবেশ করেন। কয়েক দিন তারা সুনিতা ও বুচের কাছ থেকে আইএসএসের বিভিন্ন বিষয় শিখতে সেখানে অবস্থান করেন। এরপর সুনিতা ও বুচ স্পেসএক্সের মহাকাশযানের ক্যাপসুলে প্রবেশ করবন। তাদের সঙ্গে ছিরেন আইএসএসে অবস্থান করা আরও দুই নভোচারী।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ