ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা নকলমুক্ত রাখতে একগুচ্ছ নির্দেশনা ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক-প্রেস সচিব ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা প্রাণ গেল ৫ জনের পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে চার ভারতীয়সহ ১৬ জনকে পুশইন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ বাস কম যাত্রী বেশি, বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না টিকিট বেনাপোলে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেয়া হবে না পরিবেশ উপদেষ্টা যৌথ বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধÑ খেলাফত মজলিস ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ অ্যাডমিন বর্ষা গ্রেফতার মৌসুমি ফলে ভরপুর বাজার দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতাদের সিলেটে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু রোগী ও স্বজনদের মারধর করলেন ওয়ার্ড বয় উত্তরায় র‌্যাবের পোশাক পরে ‘নগদ’ এজেন্টের কোটি টাকা ছিনতাই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ মানা হচ্ছে না নির্দেশনা নতুন করে সংকটের মুখে দেশের পোশাক খাত নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ

ঠাকুরগাঁওয়ে ১৫৩ কোটি টাকার ‘কালো সোনা’ উৎপাদনের সম্ভাবনা

  • আপলোড সময় : ২৫-০৩-২০২৫ ১০:৪২:০৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৫-০৩-২০২৫ ১০:৪২:০৫ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ে  ১৫৩ কোটি টাকার ‘কালো সোনা’ উৎপাদনের সম্ভাবনা
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ে ‘কালো সোনা’ নামে পরিচিত পেঁয়াজ বীজ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। গত কয়েক বছরে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবারও পেঁয়াজের বীজ চাষে ব্যাপক সাড়া পড়েছে চাষিদের মাঝে। এসব বীজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এদিকে ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি বিভাগ বলছে এবারে ঠাকুরগাঁও জেলায় ১৫৩ কোটি টাকার পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের পতিলা ভাষা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল বারেক। ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে প্রথম শুরু করেন  পেঁয়াজের বীজ চাষের কাজ। অল্প খরচে লাভবান হওয়ায় এবারে ৫ একর জমিতে করেছেন এই পেঁয়াজের বীজ চাষ। বাজারে ভালো দাম পেলে যা বিক্রি করবেন ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা। তার উৎপাদিত পেঁয়াজের বীজ বিভিন্ন ঠাকুরগাঁও জেলায় দিচ্ছেন তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুল বারেক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুধু আব্দুল বারেক নয় তার মতো ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন কৃষক পেঁয়াজ চাষে পেয়েছেন সফলতা। এবারে বাজারে ভালো দাম পেলে আগামীতে আরও বেশি পেঁয়াজের চাষ বাড়বে বলে ধারণা স্থানীয় চাষিদের। বর্তমানে সকাল হলেই এসব বীজ খেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন সকলে। কেউ সেচ দিতে,কেউ হাতের আলতো ছোঁয়ায় পরাগায়ন করতে ব্যস্ত। এতে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ও কিশোর-কিশোরীরাও এসব কাজ করছেন। পেঁয়াজ খেতে দৈনিক ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা মজুরিতে কাজ করেন অনেকেই। যাতে করে সংসারে ফিরেছে সচ্ছলতাও। তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুল বারেক বলেন,শুরুটা ছিলো ৩৩ শত জমি দিয়ে। তাতে ভালো লাভবান হওয়ায় পরবর্তীতে আবারো করি পেঁয়াজ বীজের চাষ।
এবারে ৫ এক জমিতে করেছি। যে পরিবার খরচ হয়েছে আশা করি তার থেকে বেশি লাভবান হবো। এই পেঁয়াজ বীজ নিজের খেতে উৎপাদন করে বিভিন্ন জেলায় পাঠাই।
আমি আশা করি এবারে আমার এই খেত থেকে প্রায় ৩৫-৪০ লাখ টাকার লাভ করতে পাড়বো। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে চলতি বছরে ঠাকুরগাঁও জেলায় ৫৪৭ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ চাষ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৬১২ মেট্রিক টন পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের আশায় রয়েছে। যার বাজার মূল্য ১৫৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) আলমগীর কবির বলেন, পেঁয়াজ বীজ চাষ করে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছে। এর মধ্যে আমাদের ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সব থেকে বেশি চাষ হয় পেঁয়াজ বীজের। আমাদের কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সব সময় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি এই পেঁয়াজ বীজের মধ্য দিয়ে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য