ঢাকা , বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
টাঙ্গাইলে এনসিপির পদযাত্রা, নিরাপত্তায় ৯ শতাধিক পুলিশ সদস্য সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত মডেল মেঘনার জব্ধকৃত মালামাল ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরির আদেশ সারাদেশে নীরবে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী মেলিওডোসিস ওয়ারড্রব ম্যালফাংশনের শিকার হলেন জেনিফার লোপেজ এবার প্রাক্তন স্বামীর ৩০ হাজার কোটির সম্পত্তিতে ‘চোখ’ কারিশমার অক্ষয় কুমারের ফিটনেস রহস্য ফাঁস! বিপাকে রাজকুমার! জারি হলো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে জয়ার নতুন সিনেমা সবাইকে কেন সতর্ক করলেন অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান? আবারও রায়হান রাফী ও তমা মির্জার প্রেমে ভাঙন বিএনপির ভরসার কেন্দ্রবিন্দুতে আপসহীন খালেদা জিয়া ডেঙ্গু আতঙ্কে নগরবাসী জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র ৫ আগস্টের মধ্যে জারি করতে হবে : নাহিদ ইসলাম বিয়ামে এসি বিস্ফোরণ নয়, নথি পোড়াতে গিয়ে আগুনে পুড়ে ২ জন নিহত ডিএসসিসির পরিবহন ব্যবস্থাপনায় ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রানওয়েতে স্কুলের পারমিশন যারা দিয়েছে তাদের ধরতে হবে-স্বাস্থ্য উপদেষ্টা একই দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ করতে চায় এনসিপি ও ছাত্রদল দেশকে পুনরায় গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন তারেক রহমান-ফখরুল রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির
দাবি শীর্ষ সাংবাদিকদের

দাম বাড়লে কমবে ধূমপান প্রবণতা

  • আপলোড সময় : ২৬-০৩-২০২৫ ১২:৪৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০৩-২০২৫ ১২:৪৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
দাম বাড়লে কমবে ধূমপান প্রবণতা
* ২৪ লাখ ৪০ হাজারের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ধূমপান করে
* সিগারেটের প্রতি শলাকা সর্বনিম্ন ৯ টাকা করার দাবি


জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে প্রতি শলাকা সিগারেটের সর্বনিম্ন খুচরা মূল্য ৯ টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন দেশের মিডিয়ায় কর্মরত দেশের শীর্ষ স্থানীয় সাংবাদিকরা। তাদের দাবি, সিগারেটের দাম বাড়ানো হলে তরুণদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা কমবে এবং প্রায় ১৮ লাখ কিশোর-তরুণ নতুন করে ধূমপানে আসক্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। পাশাপাশি ২৪ লাখ ৪০ হাজারের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ধূমপান ছাড়তে উৎসাহিত হবেন। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে নারী মৈত্রী আয়োজিত ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে তামাকপণ্যের ওপর কার্যকর কর ও মূল্যবৃদ্ধি’ শীর্ষক সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তারা এসব দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, সিগারেটের দাম বাড়ানো হলে দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ১৭ লাখ ১৩ হাজার অকাল মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে সরকার সিগারেট থেকে রাজস্ব আয় বাড়িয়ে ৬৯ হাজার ৩৫২ কোটি টাকায় উন্নীত করতে পারবে, যা বর্তমান আয়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। বর্তমানে সিগারেটের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৬৭ শতাংশ নির্ধারিত রয়েছে, যার মধ্যে ভ্যাট ১৫ শতাংশ এবং স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ১ শতাংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলির সভাপতিত্বে সভায় নারী মৈত্রীর কার্যক্রম উপস্থাপন করেন সংগঠনটির প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর নাসরিন আকতার। সভায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রজ্ঞার হেড অব প্রোগ্রামস মো. হাসান শাহারিয়ার। তিনি বলেন, নিম্ন এবং মধ্যম স্তরের সিগারেটের দাম কাছাকাছি হওয়ায় ভোক্তারা যেকোনো একটি স্তরের সিগারেট বেছে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে দাম বাড়ালে স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠী এবং তরুণ প্রজন্ম ধূমপানে নিরুৎসাহিত হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক সোহরাব হাসান, বাংলাদেশ ফার্স্টের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোরশেদ নোমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের নিউজ এডিটর মো. জাহিদুল ইসলাম, চ্যানেল আইয়ের সিএনই মীর মাসরুর জামা  ও এপি’র ঢাকা ব্যুরো প্রধান জুলহাস আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তামাকবিরোধী শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. খালেদা ইসলাম, তামাকবিরোধী মায়েদের ফোরামের আহ্বায়ক ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব শিবানী ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এসময় দেশের শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিকরা তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারকে আহ্বান জানান। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করে ধূমপানের হার কমানোর লক্ষ্যে। তারা উল্লেখ করেন, বর্তমানে নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেটের দামের পার্থক্য কম থাকায় ভোক্তাদের সহজেই একটি স্তর থেকে অন্য স্তরে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ফলে ধূমপান নিরুৎসাহিত করতে এ দু’টি স্তরকে একীভূত করে মূল্য বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তাই ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সাংবাদিকরা সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য প্রতি ১০ শলাকার জন্য ৯০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে উচ্চ স্তরের সিগারেটের মূল্য ১৪০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরের মূল্য ১৯০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিড়ির প্রতি শলাকার মূল্য কমপক্ষে ১ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে।
গবেষণা অনুযায়ী, তামাক পণ্যের বিদ্যমান কর কাঠামোর সংস্কার করা হলে ধূমপানের হার ১৫.১ শতাংশ থেকে কমে ১৩.৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে। এর ফলে প্রায় ২৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান ছেড়ে দেবে এবং প্রায় ১৮ লাখ কিশোর-তরুণ নতুন করে ধূমপানের অভ্যাস গড়ে তোলা থেকে বিরত থাকবে। পাশাপাশি সরকার প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করতে পারবে, যা জনস্বাস্থ্য ও জাতীয় অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এরআগে ২০ মার্চ সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘কেমন তামাক কর চাই’ প্রাক বাজেট সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে শিশু-কিশোর ও তরুণদের ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সিগারেটের নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে প্রতি শলাকার সিগারেটের সর্বনিম্ন খুচরা মূল্য ৯ টাকা করার দাবি জানান অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা)। বক্তারা বলেন, দাবি অনুযায়ী দাম বাড়ালে তরুণেরা সিগারেট সেবনে নিরুৎসাহিত হবে। দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ৯ লক্ষ তরুণের তামাকজনিত অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে এবং সরকারের বাড়তি রাজস্ব আদায় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বেশি। এসময় আসন্ন বাজেটে তামাক পণ্যের মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে সাত দফা সুপারিশ উপস্থাপন করে তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স