ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নতুন করে সংকটের মুখে দেশের পোশাক খাত নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছেন-জামায়াত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক দেশে স্বস্তি এনেছে বললেন দুদু মামলার আগেই আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক, বড় পরিবর্তন আসছে আইনে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস আয়রন ডোম চুরমার ইসরায়েলি সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান ইরানের কাছে ধরাশায়ী ইসরায়েল মেসিদের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ মাঠে ফেরায় তোড়জোড় গগবার অনিশ্চয়তায় ক্যাবরেরার ভবিষ্যৎ ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাবকে আইসিসির ‘না’ বিগব্যাশে ডাক পেলেন বাবর আজম পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন ইউসুফ তারকাবিহীন দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলি হামলায় নিন্দার ঝড় ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার ও পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা

নতুন নিয়মে বিপাকে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো

  • আপলোড সময় : ০৪-০৪-২০২৫ ১১:২১:২৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৪-০৪-২০২৫ ১১:২১:২৬ অপরাহ্ন
নতুন নিয়মে বিপাকে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো
ব্যবসা পরিচালনার নতুন নিয়মে বিপাকে দেশের ট্রাভেল এজেন্সিগুলো। সম্প্রতি সরকার গ্রাহক হয়রানি প্রতিরোধের নামে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটি খসড়া পরিপত্র তৈরি করেছে। তাতে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও তাতে দেশের কয়েক হাজার ট্রাভেল এজেন্সি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নতুন নিয়মে এক ট্রাভেল এজেন্সি অন্য ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে টিকিট ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না। ট্রাভেল এজেন্সি এবং বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিশ্বব্যাপী ট্রাভেল ব্যবসায় এজেন্ট টু এজেন্ট (বি-টু-বি) মডেল প্রচলিত রয়েছে। যাতে এক ট্রাভেল এজেন্সি অন্য ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করতে পারে। বাংলাদেশে এই নিয়মের ব্যত্যয় হলে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্সিগুলো। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ওই খাতের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বিপুলসংখ্যক মানুষ। বর্তমানে দেশে বর্তমানে ৫৭৪৬টি লাইসেন্সধারী ট্রাভেল এজেন্সি রয়েছে। তাদের মধ্যে আয়াটার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মাত্র ৯৭০টি ট্রাভেল এজেন্সি। তার মধ্যে কেবলমাত্র ৩৫০টি ট্রাভেল এজেন্সির কাছে এমিরেটস এয়ারলাইনস, কাতার এয়ারওয়েজ, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসসহ বড় বড় এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রির অনুমতি (ক্যাপিং) রয়েছে। এমনকি রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রির অথরিটি পেতে হলেও আয়াটাসহ সবমিলে ৪০ লাখ টাকা অগ্রিম জমা দিতে হয়। তাছাড়া আকাশপথের এয়ার অ্যারাবিয়া, ইন্ডিগো, সালাম এয়ার, জাজিরা এয়ারওয়েজের মতো এয়ারলাইনসের টিকিট আয়াটাতে পাওয়া যায় না।
সূত্র জানায়, আকাশপথের টিকিট সংগ্রহের জন্য আয়াটার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ৩৫০টি ট্রাভেল এজেন্সির নির্ভরশীল দেশের ৫ হাজারেরও বেশি লাইসেন্সধারী ট্রাভেল এজেন্সি। ফলে এক ট্রাভেল এজেন্সি অন্য ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে টিকিট কেনাবেচা করতে না পারলে বন্ধ হয়ে যাবে দেশের ৫ হাজারের বেশি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মাঝারি ও ছোট প্রতিষ্ঠান। কারণ কম টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি থাকার কারণে বড় এয়ারলাইনসগুলোর টিকিট বিক্রির অথরিটি ওসব প্রতিষ্ঠানকে দেবে না। ফলে নতুন নিয়ম কার্যকর হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ বড় ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর হাতে চলে যাবে। আর টিকিট সংগ্রহের সুযোগ হারাবে কম পুঁজির এজেন্সিগুলো। স্বাভাবিকভাবেই বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাঝারি ও ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতা করতে পারবে না। ফলে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ তৈরি হবে এবং এর সুযোগ নেবে বিদেশি ট্রাভেল এজেন্সিগুলো।
সূত্র আরো জানায়, ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা করার জন্য আবশ্যিকভাবে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন  আয়াটার স্বীকৃতি ও সদস্যপদ নিতে হবে। আয়াটা হচ্ছে একটি টিকিট সেলিং প্ল্যাটফর্ম। পৃথিবীতে দুই ধরনের ট্রাভেল এজেন্সি থাকে। আয়াটা এবং নন-আয়াটা ট্রাভেল এজেন্সি। তবে পৃথিবীর কোথাও ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করার জন্য আয়াটার মাধ্যমে টিকিট বিক্রি বাধ্যতামূলক নয়। সাধারণত বড় বড় ট্রাভেল এজেন্সিগুলো আয়াটার সদস্যপদ লাভ করে। কারণ আয়াটায় সব এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রির অথরিটি পেতে হলে কোটি কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টির পাশাপাশি কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হয়। তাছাড়া আয়াটায় কম টাকার ব্যাংক গ্যারান্টিতে সব এয়ারলাইনসের টিকিট কাটার অনুমতি পাওয়া যায় না। একটি এজেন্সিকে আয়াটার সদস্যপদের জন্য আবেদন করতে হলে কমপক্ষে ৬ মাস ব্যবসা করতে হয়। পাশাপাশি সর্বনিম্ন ৩০ লাখ টাকার ব্যাংক গ্যারান্টিসহ আরো নানা কাগজপত্রের আয়াটার বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার বরাবর জমা দিতে হয়। সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে ওই ৩০ লাখ টাকার গ্যারান্টিতে মাত্র ৩-৪টি এয়ারলাইনসের টিকিট কাটার অনুমতি পাওয়া যায়। ট্রাভেল এজেন্সি গ্যারান্টিকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ২১ লাখ টাকার টিকিট কিনতে পারে।
এদিকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত এজেন্সিগুলোর মধ্যে আয়াটার স্বীকৃতিপত্র নেই ৪৪৭৬টি প্রতিষ্ঠানের। ফলে নতুন নিয়ম কার্যকরের সঙ্গে সঙ্গে এই এজেন্সিগুলো আর টিকিট বিক্রি করতে পারবে না। তাতে টিকিটের সংকটের পাশাপাশি যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়বে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স