ঢাকা , বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ , ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে-আলী রীয়াজ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বদলিতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন রাস্তায় অভিনেতাকে সিদ্দিককে গণপিটুনি কারিগরি শিক্ষার্থীরা যা শিখছেন, চাকরির বাজারে তার চাহিদা নেই -সিপিডি আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটের প্রস্তুতি চলছে : সিইসি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে গড়িমসি অপকর্ম বন্ধ করুন, নইলে বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে -নেতাকর্মীদের ফখরুল সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান বইপ্রেমী এক ডিসির গল্প গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোন ই-৮ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলেন ২৫ কর্মী পুলিশের জন্য ১৭২ কোটি টাকায় কেনা হবে ২০০ জিপ সামাজিক সুরক্ষায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাখ ২৪ হাজার উপকারভোগী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে লিপ্ত থাকার অভিযোগ গ্যাস খাতে বছরে আর্থিক ক্ষতি বিলিয়ন ডলার নতুন লুকে নজর কাড়লেন ব্লেক লাইভলি

বরিশালে কল্যাণ কেন্দ্রের কল্যাণে জন্ম নিয়েছে ১১৩ নবজাতক

  • আপলোড সময় : ০৬-০৪-২০২৫ ০৯:৫৮:০৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০৪-২০২৫ ০৯:৫৮:০৯ অপরাহ্ন
বরিশালে কল্যাণ কেন্দ্রের কল্যাণে জন্ম নিয়েছে ১১৩ নবজাতক
বরিশাল প্রতিনিধি
চিকিৎসক ও স্টাফ সংকটের মাঝেও ঈদের সরকারি ছুটির নয়দিনে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ৩০৯টি মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের কল্যানে জন্মগ্রহণ করেছে ১১৩ জন নবজাতক। একই সময়ে ৭৭৯ জন গর্ভবতী নারী নিয়েছেন চিকিৎসা সেবা। এর বাহিরে ৩ হাজার ৩০৫ জন সাধারণ মা ও শিশু চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছেন।
শনিবার দুপুরে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ঈদের বন্ধের নয়দিনে ঈদের দিন দুপুরে বরিশাল মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে একটি। সদর উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের খোন্তাখালী গ্রামের সিরাজ হাওলাদারের স্ত্রী আনিকা আক্তার চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
সূত্রমতে, ঈদের ছুটিতে জেলা শহরের মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রগুলোতে ১৫৪ গর্ভবতী নারী, ১ এহার ২৩১ জন সাধারণ মা ও শিশু চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। এছাড়া জেলার বাহিরে এই নয়দিনে কল্যান কেন্দ্রের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ২৬টি ডেলিভারি হয়েছে। এছাড়া পটুয়াখালী জেলায় ২০২ জন গর্ভবতী নারী, ৫৮৮জন সাধারণ মা ও শিশু চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। ওই জেলায় ঈদের দিনসহ ছুটির নয়দিনে ১৪টি ডেলিভারি হয়েছে। এরমধ্যে মাত্র তিনটি সিজার অপারেশন হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ঈদের ছুটি থাকা সত্বেও নয়দিন জরুরি স্বাস্থ্যসেবা চালু রাখা হয়েছে। প্রতিটি প্রসব বিনামূল্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।  ভোলা জেলায় ১৩৭ জন গর্ভবতী নারী, ১১৭ জন সাধারণ মা ও শিশু চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। ওই জেলায় ঈদের দিনসহ ছুটির নয়দিনে ৪৯টি ডেলিভারি হয়েছে। বরগুনা জেলায় ৮৪ জন গর্ভবতী নারী, তিনশ’ জন সাধারণ মা ও শিশু চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। ওই জেলায় ঈদের দিনসহ ছুটির নয়দিনে সাতটি ডেলিভারি হয়েছে। ঝালকাঠি জেলায় ১২৬ জন গর্ভবতী নারী, ৬৪৩ জন সাধারণ মা ও শিশু চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। ওই জেলায় ঈদের দিনসহ ছুটির নয়দিনে ১২টি ডেলিভারি হয়েছে। পিরোজপুরে ৭৬ জন গর্ভবতী নারী, ৪১৮ জন সাধারণ মা ও শিশু চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। ঈদের দিনসহ ছুটির নয়দিনে ওই জেলায় পাঁচটি ডেলিভারি হয়েছে। বরিশাল পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ৪১টি পদের অনুকূলে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ২১ জন। মেডিক্যাল অফিসারের ৮১টি পদের অনুকূলে কর্মরত রয়েছে ২৭ জন। সহকারি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ৪০টি পদের অনুকূলে কর্মরত আছেন মাত্র ১২ জন। সহকারি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ৩৮ পদের অনুকূলে একজনও কর্মরত নেই। আর মেডিক্যাল অফিসারের ২৭টি পদই শুন্য রয়েছে। সরবরাহ কর্মকর্তার তিনটি পদের অনুকূলে কর্মরত রয়েছেন মাত্র একজন। সহকারি সার্জন পদের তিনটি পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র একজন। অফিস তত্ত্বাবধায়কের পাঁচজনই কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া সার্ট মুদ্রাক্ষরিকের ১২টি পদের অনুকূলে কর্মরত রয়েছেন সাতজন। এসব সংকটের মাঝেও চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধির কথা বলছেন এখানকার কর্মকর্তারা। তারমধ্যে এবারের ঈদ-উল ফিতরের ছুটিতে বরিশাল বিভাগের ৩০৯টি মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে সন্তোষজনক চিকিৎসা সেবা অব্যাহত ছিল।
বরিশাল মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রুনা লায়লা বলেন, বর্তমানে গর্ভবতী নারীদের মৃত্যু হার পূর্বের চেয়ে অনেকাংশে কমে গেছে। এর কারন হচ্ছে ফ্যামিলি প্লানিং সেবা। হাসপাতাল মুখী হওয়া। আগে অন্তঃস্বত্তা নারীদের হাসপাতালে না এনে বাড়িতে বসে ডেলিভারী করানো হতো। আর সেখানে এখন গর্ভবতী হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা এবং হাসপাতালে নিয়ে আসার কারণেই মাতৃমৃত্যুর হার কমে এসেছে। তিনি আরও বলেন, এবারই আমরা ঈদের ছুটিতে বরিশালে সর্বোচ্চ মা ও শিশুদের সেবা দিয়েছি।
পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের বরিশাল বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম বলেন, বরিশালে আমাদের অধীনে থাকা মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রগুলোতে ঈদের ছুটির মধ্যেও সব ধরনের সেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে। আমাদের কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসক ও স্টাফ সংকটের মধ্যেও কোথাও সেবা ব্যহত হয়নি। ভবিষ্যতেও সেবার এধারা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ