ঢাকা , বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ , ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে-আলী রীয়াজ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বদলিতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন রাস্তায় অভিনেতাকে সিদ্দিককে গণপিটুনি কারিগরি শিক্ষার্থীরা যা শিখছেন, চাকরির বাজারে তার চাহিদা নেই -সিপিডি আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটের প্রস্তুতি চলছে : সিইসি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে গড়িমসি অপকর্ম বন্ধ করুন, নইলে বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে -নেতাকর্মীদের ফখরুল সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান বইপ্রেমী এক ডিসির গল্প গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোন ই-৮ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলেন ২৫ কর্মী পুলিশের জন্য ১৭২ কোটি টাকায় কেনা হবে ২০০ জিপ সামাজিক সুরক্ষায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাখ ২৪ হাজার উপকারভোগী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে লিপ্ত থাকার অভিযোগ গ্যাস খাতে বছরে আর্থিক ক্ষতি বিলিয়ন ডলার নতুন লুকে নজর কাড়লেন ব্লেক লাইভলি

ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা পেলেন নাটোরের গৃহিণী

  • আপলোড সময় : ০৭-০৪-২০২৫ ১১:১২:৫৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-০৪-২০২৫ ১১:১২:৫৪ অপরাহ্ন
ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা পেলেন নাটোরের গৃহিণী
নাটোর প্রতিনিধি
ওয়ালটন প্লাজার কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতির আওতায় বিশেষ আর্থিক সহায়তা পেয়েছে আরও একটি পরিবার। পরিবারটির বাকি কিস্তির টাকাও মওকুফ করেছে ওয়ালটন প্লাজা। পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজার আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেছেন নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বিলযোয়ানী গ্রামের মৃত ক্রেতা জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রহিমা খাতুন ববিতা।
সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ওয়ালটন প্লাজা নাটোরের ক্রেতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ালটন প্লাজার পক্ষ থেকে এই সুবিধা পেলো তার পরিবার। ওয়ালটন প্লাজা নাটোর থেকে ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রহিমা খাতুন ববিতা ।
নাটোর এরিয়ার রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মো:তৌফিকুর রহমান সুমেল বলেছেন, কিস্তিতে পণ্য কেনা গ্রাহকদের জন্য কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হচ্ছে। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ী কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত নাটোর জোনে প্রায় শতাধিক ক্রেতার পরিবার এই সুবিধা পেয়েছেন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ালটন প্লাজা নাটোর রহিমা খাতুন ববিতার হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন ওয়ালটন প্লাজা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাটোর এরিয়ার রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মো:তৌফিকুর রহমান সুমেল, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মোঃ আমিনুর ইসলাম, ওয়ালটন প্লাজা নাটোরের ম্যানেজার শাহ আলম, অ্যাডিশনাল ম্যানেজার আহম্মোদ উল্লাহ,ডেপুটি ম্যানেজার মো: ইব্রাহিম হোসেন, সিনিয়র অফিসার মোস্তফা কামাল ,সেলস অফিসার দেবাশীষ কুমার মন্ডলসহ নাটোর এরিয়া ডিভিশন-১০ এর বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত ওয়ালটনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
মৃত ক্রেতা জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রহিমা খাতুন ববিতা জানান, নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বিলযোয়ানী গ্রামের তাদের স্থায়ী বসবাস। তার অটোরিক্সা চালক স্বামী  ওয়ালটন প্লাজা নাটোর থেকে চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৫ হাজার৭৭৫টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ওয়ালটনের এনটেন আল্টা মডেলের একটি স্মার্ট ফোন কিনিছিলেন। মাত্র ১টি কিস্তি পরিশোধ করেছিলেন তিনি। এরইমধ্যে গত মার্চ মাসের ১৩ তারিখে আকস্মিকভাবে হৃদরোগে তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার কিস্তির টাকা মওকুফসহ ৫০ হাজার টাকার সহায়তা দিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা।
পরিবারের এই অসহায় অবস্থায় ওয়ালটন প্লাজা তাকে সহায়তা করায় কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রহিমা খাতুন ববিতা। কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর ওয়ালটন প্লাজা থেকে নগদ অর্থ সহায়তা হিসেবে মোট ৩৪ হাজার ৩৬৯ টাকা গ্রহণ করেন তিনি। না চাইতেই ওয়ালটন প্লাজার কাছ থেকে এমন সহায়তা পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে মৃত জাহাঙ্গীর আলমের পরিবার।
রহিমা খাতুন ববিতা বলেন, কিস্তিতে পণ্য কেনার পর আমাদের একটি সুরক্ষা কার্ড দিয়েছিল ওয়ালটন প্লাজা। সে সময় ওই কার্ডটির গুরুত্ব বুঝিনি। তবে, আজ সেটির গুরুত্ব বুঝতে পারছি। কিস্তিতে পণ্য ক্রয়ের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকের বিপদের দিনেও পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে ওয়ালটন। এটি ওয়ালটন প্লাজার একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আসলে এভাবেই দেশের এই প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। ওয়ালটন প্লাজা থেকে এই আর্থিক সহায়তা পেয়ে আমরা সবাই অত্যন্ত আনন্দিত। পরিবারের এমন অবস্থায় এই টাকা আমাদের অনেক উপকারে আসবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ