ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ইশরাক-কায়কোবাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে আসিফ প্রতীকী মূল্যে সরকারি সম্পত্তি কাউকে দেওয়া হবে না-অর্থ উপদেষ্টা আমরা সংস্কারকে ভয় পাই না স্বাগত জানাই-মির্জা ফখরুল মবতন্ত্র দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে-গণসংহতি প্রেস কাউন্সিলে নতুন কমিটি, ১২ জনকে অন্তর্ভুক্ত বাস-ট্রাক চালকদের ভালো স্বাস্থ্য আমাদের সবার জন্য জরুরি ডানপন্থী রাজনীতিতে বেড়েছে দৃশ্যমানতা জুলাই শুধু স্বৈরাচার মুক্তির মাস নয়, এটা পুনর্জন্মের মাস : প্রধান উপদেষ্টা পুঁজিবাজারে কোটি টাকা হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে জলবায়ু পরিবর্তন-খাদ্য সংকটে হুমকিতে সুন্দরবনের বাঘ জুলাই সনদের খসড়ায় আপত্তি জানিয়েছে এনসিপি-জামায়াত বিচার নিয়ে আমাদের আন্তরিকতায় সন্দেহ রাখবেন না -আইন উপদেষ্টা নৈরাজ্যের শঙ্কা দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ১৬০ দিন পর কুয়েটে ক্লাস শুরু বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু ৯ জন উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ ৬ ‘খোলা জানালা’ সেবা চালু করেছে ‘ডিআরইউ’ বগুড়ায় কার্গো সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের অফিসে ডাকাতি সাড়ে ১৭ লাখ টাকা লুট ৩৯৩ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি মৃত্যু একজনের ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ নারীর লাশ ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার
দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা

কাস্টমস্ কর্মকর্তার অঢেল সম্পদ!

  • আপলোড সময় : ১০-০৪-২০২৫ ১২:৩৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-০৪-২০২৫ ১২:৩৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
কাস্টমস্ কর্মকর্তার অঢেল সম্পদ!
যশোর থেকে শেখ দিনু আহমেদ
কাস্টমস্ এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ কুমিল্লায় পরিদর্শক পদে কর্মরত বেলায়েত হোসেন বিলুর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে যশোর শহরের বকচর এলাকায় ১০ শতক জমি ক্রয় করে সেখানে বিশাল দুটি আলীশান বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমান বাজারে ওই জমির প্রতি শতকের মূল্য সর্বনিম্ন ১৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ ১০ শতক জমির মোট মূল্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দুটি জমির ১টিতে ৪ তলা ভবন এবং অপর জমিতে ১টি ১ তলা ভবন তিনি নির্মাণ করেছেন। বর্তমান বাজার অনুযায়ী এ ভবন দুটি নির্মাণ করতে অনুমান ৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। যা তার বৈধ আয়ের সাথে ব্যয়ের কোনো সামঞ্জস্যতা নেই। অর্থাৎ আয়বহির্ভূত অবৈধ অর্থে তিনি এসব সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এছাড়া ঢাকা উত্তরায় ১টি ফ্ল্যাট এবং নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাড়িতে তিনি নামে-বেনামে আরও অনেক সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এছাড়া তার স্ত্রী মালা বেগমের নামে ব্যাংকে রয়েছে অনেক টাকা। দুদক তদন্ত করলে এ তথ্যের সত্যতা মিলবে। কাস্টমস্ পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বিলুর একজন ঘনিষ্ঠ সহকর্মী সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বেলায়েত হোসেন বিলু যশোরে এক সময় সিপাহী পদে চাকরি করতেন। বছর খানেক আগে তিনি পদোন্নতি পেয়ে পরিদর্শক হিসেবে কুমিল্লা কাস্টমস্ এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগে যোগদান করেন।
এদিকে দুদকের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি সুকৌশলে এসব সম্পদ স্ত্রীর নামে খরিদ করেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। কাস্টমস্ পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বিলু দীর্ঘদিন সিপাহী পদে চাকরি করলেও কাস্টমস্ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে তিনি বদলি হয়ে দু’হাতে অবৈধভাবে উপার্জন করেছেন বড় অংকের টাকা। এই অবৈধ অর্থে তিনি আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন বলে কাস্টমস্ বিভাগের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এব্যাপারে কাস্টমস্ পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বিলুর বক্তব্য গ্রহণের জন্য তার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে তার স্ত্রী মালা বেগম জানান, এসব সম্পদ আমার নামে। আর স্বামীর সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। কাজেই কোনো কথা থাকলে আমার সাথে বলেন। এক পর্যায়ে তিনি এ প্রতিবেদককে একজন ব্যক্তির মাধ্যমে ঘুষ দেয়ারও চেষ্টা করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুর্নীতিবাজ কাস্টমস্ পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বিলুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়বে বলে তারা মন্তব্য করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য