ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এস এইচ কে এস সি শিক্ষার্থীদের ‘হ্যাপি ওরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠিত করদাতার ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টির শঙ্কা নারায়ণগঞ্জে গুলি করে কুপিয়ে ছিনতাই ভিডিও ভাইরাল গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নেই- দুদু কানাডা প্রবাসীদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালু অর্থনীতিতে অশনি সংকেত শত শত কারখানা বন্ধ এপিবিএন অধিনায়কের প্রত্যাহারচাওয়া নিয়ে তোলপাড় নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কার্কি শাহজাহানপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২ গণপরিবহনে সংরক্ষিত হচ্ছে না যাত্রীদের অধিকার জাবি শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের দাফন সম্পন্ন জাকসুর ফল প্রকাশে বিলম্ব ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন হবে-প্রেস সচিব বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি তিনজন কারাগারে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের প্রবেশ পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি রোড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ এক্সিবিশনে যৌথ সক্ষমতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে-বাণিজ্য উপদেষ্টা স্বস্তি নেই সবজির দামে নিত্যপণ্যের দাম চড়া রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ বিশ্বকাপের টিকেট না পাওয়ায় বরখাস্ত হলো ভেনেজুয়েলা ও পেরুর কোচ

নির্বাচনের জন্য চাপ অভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারী-ইসলামী আন্দোলন

  • আপলোড সময় : ১৮-০৪-২০২৫ ০৭:৩৪:০৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০৪-২০২৫ ০৭:৩৪:০৬ অপরাহ্ন
নির্বাচনের জন্য চাপ অভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারী-ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনূস আহমাদ বলেছেন, মুক্তি, সাম্য, সুশাসন ও সমৃদ্ধির জন্য এই অঞ্চলের মানুষ ৪৭ ও ৭১ এ দুই দফা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে। ৯০ তে স্বৈরাচার উৎখাত করেছে। তারপরেও দেশে হাসিনার মতো স্বৈরাচার তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক সংস্কৃতি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলতা ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভঙ্গুরতার কারণে। ফলে আগামীর বাংলাদেশে নতুন স্বৈরাচারের পথ রুদ্ধ করতে সংস্কার অপরিহার্য। সংস্কারকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোন কিছুই দেশবাসীর পক্ষে সহ্য করা সম্ভব না। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, হাসিনার মতো স্বৈরাচারের সূচনাও হয়েছিল একটি নির্বাচনের মাধ্যমে। পতিত ফ্যাসিবাদও তিনটা নির্বাচন করেছে। তারপরেও জাতিকে ২৪ এ রক্ত উৎসর্গ করতে হয়েছে। এর অর্থ হলো, নির্বাচনই সমাধান না। বরং সংস্কারহীন নির্বাচন আরেকটি স্বৈরচার প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দেবে। সেকারণে ইসলামী আন্দোলন পরিষ্কার করে বারংবার দাবি জানাচ্ছে যে, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
অধ্যক্ষ ইউনূস আহমাদ বলেন, সাম্প্রতিক নির্বাচন নিয়ে যেভাবে রাজনৈতিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে তাতে সংস্কার বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। রাজনৈতিক চাপে সংস্কারকে অসম্পন্ন রেখে নির্বাচন আয়োজন করলে শতশত শহীদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করা হবে। অভ্যুত্থানে আহতরা এখনও হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। মাওলানা ইউনূস আহমাদ বলেন, এই সরকার একটি অভ্যুত্থানের উত্তরাধিকার বহন করছে। ফলে সেই অভ্যুত্থানের দাবি ও চেতনা বাস্তবায়ন করা তাদের দায়িত্ব। আজকে যারা সংস্কারকে গৌণ করে নির্বাচনের জিকির তুলেছে; ২৪ এর অভ্যুত্থানে তাদের অবদান স্বীকার করার পরেও বলতে হবে, ২৪ এ সাধারণ ছাত্র-জনতা এবং ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক শক্তির অবদানই ছিল প্রধান ও মুখ্য। ফলে এখন ক্ষমতাকেন্দ্রীক দলগুলোর চাপে অভ্যুত্থানের প্রধান ধারার চিন্তা ও চেতনাকে জলাঞ্জলি দিলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। তাই নির্বাচন নয় বরং সংস্কারকে মুখ্য করেই সরকারকে তাদের রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।
নির্বাচন নিয়ে চাপ তৈরি করা দলসমূহের প্রতি আহ্বান রেখে তিনি বলেন, আপনার দলের নেতৃত্ব বাছাই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন আয়োজন করে দেখুন। তাতেই দেখা যাবে রাজনৈতিক হানাহানি ও সহিংসতা কি তীব্র ও হিংস্র আকারে এখনও বিরাজমান। এই বাস্তবতায় জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করে দেশকে আবারও সহিংস ও হিংস্র রাজনীতির মধ্যে ঠেলে দেয়ার জন্য ২৪ এ ছাত্র জনতা রক্ত দেয় নাই।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স