ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নগরে ফিরছে মানুষ পথে পথে ভোগান্তি এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো-আনু মুহাম্মদ প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছেন-জামায়াত ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক দেশে স্বস্তি এনেছে বললেন দুদু মামলার আগেই আপস-মধ্যস্থতা বাধ্যতামূলক, বড় পরিবর্তন আসছে আইনে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিটেন্সে ধস আয়রন ডোম চুরমার ইসরায়েলি সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান ইরানের কাছে ধরাশায়ী ইসরায়েল মেসিদের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ মাঠে ফেরায় তোড়জোড় গগবার অনিশ্চয়তায় ক্যাবরেরার ভবিষ্যৎ ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আয়োজক হওয়ার প্রস্তাবকে আইসিসির ‘না’ বিগব্যাশে ডাক পেলেন বাবর আজম পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন ইউসুফ তারকাবিহীন দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলি হামলায় নিন্দার ঝড় ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় খাবার ও পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা সবকিছু শেষ হওয়ার আগেই চুক্তি করুন ইরানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রে বছরে ১ বিলিয়ন ডলারের শুল্ক দেয় বাংলাদেশ-সিপিডি

  • আপলোড সময় : ১৮-০৪-২০২৫ ০৭:৩৬:২৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০৪-২০২৫ ০৭:৩৬:২৯ অপরাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রে বছরে ১ বিলিয়ন ডলারের শুল্ক দেয় বাংলাদেশ-সিপিডি
বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রতি বছর এক বিলিয়ন ডলারের বেশি শুল্ক আদায় করে থাকে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যে বাংলাদেশ সরকারের শুল্ক আদায় মাত্র ১৮০ মিলিয়ন ডলার। এমন তথ্য উঠে এসেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক বিশ্লেষণে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আয়োজিত ‘ট্রাম্প রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ অ্যান্ড বাংলাদেশ: ইমপ্লিকেশনস অ্যান্ড রেসপন্স’ শীর্ষক সংলাপে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য থেকে বছরে এক বিলিয়নের বেশি শুল্ক আদায় করে থাকে। অথচ বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে যে শুল্ক আরোপ করে, তার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম। সিপিডির উপস্থাপনায় জানানো হয়, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর গড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেও বিভিন্ন বাণিজ্যিক সুবিধা বিবেচনায় সেটি কার্যত নেমে আসে ২ দশমিক ২ শতাংশে। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যে গড়ে ১৫ দশমিক ১ শতাংশ শুল্ক নেয়। এ প্রেক্ষাপটে সিপিডি বাংলাদেশের জন্য কিছু কৌশলগত পরামর্শ তুলে ধরে। এর মধ্যে রয়েছে— রপ্তানি প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির প্রভাব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ, বিশেষ করে ভিয়েতনামসহ অন্যান্য প্রতিযোগী দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান মূল্যায়ন। সংলাপে আরও উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম অ্যাগ্রিমেন্টের (টিকফা) আওতায় কৌশলগত আলোচনা জোরদার করা প্রয়োজন। পাশাপাশি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। সিপিডি মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রকে নির্দিষ্ট কিছু পণ্যে শুল্ক ছাড় দেওয়া হলে সেটি মোস্ট ফেভারড নেশন নীতির আওতায় অন্যান্য বাণিজ্য অংশীদারদের একই সুবিধা দিতে বাধ্য করবে। তাই এ বিষয়ে সতর্কতা এবং কৌশলগত মূল্যায়ন জরুরি। এছাড়া মার্কিন তুলা আমদানির জন্য বিশেষ ওয়্যারহাউজ সুবিধা চালুর বিষয়টিও বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি। তাদের মতে, এ ধরনের ব্যবস্থা থাকলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা পোশাকে ব্যবহৃত তুলার ভিত্তিতে শুল্ক ছাড় বা মওকুফের বিষয়টি আলোচনায় আনা সহজ হবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স