ঢাকা , বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
টাঙ্গাইলে এনসিপির পদযাত্রা, নিরাপত্তায় ৯ শতাধিক পুলিশ সদস্য সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত মডেল মেঘনার জব্ধকৃত মালামাল ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরির আদেশ সারাদেশে নীরবে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী মেলিওডোসিস ওয়ারড্রব ম্যালফাংশনের শিকার হলেন জেনিফার লোপেজ এবার প্রাক্তন স্বামীর ৩০ হাজার কোটির সম্পত্তিতে ‘চোখ’ কারিশমার অক্ষয় কুমারের ফিটনেস রহস্য ফাঁস! বিপাকে রাজকুমার! জারি হলো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে জয়ার নতুন সিনেমা সবাইকে কেন সতর্ক করলেন অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান? আবারও রায়হান রাফী ও তমা মির্জার প্রেমে ভাঙন বিএনপির ভরসার কেন্দ্রবিন্দুতে আপসহীন খালেদা জিয়া ডেঙ্গু আতঙ্কে নগরবাসী জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র ৫ আগস্টের মধ্যে জারি করতে হবে : নাহিদ ইসলাম বিয়ামে এসি বিস্ফোরণ নয়, নথি পোড়াতে গিয়ে আগুনে পুড়ে ২ জন নিহত ডিএসসিসির পরিবহন ব্যবস্থাপনায় ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রানওয়েতে স্কুলের পারমিশন যারা দিয়েছে তাদের ধরতে হবে-স্বাস্থ্য উপদেষ্টা একই দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ করতে চায় এনসিপি ও ছাত্রদল দেশকে পুনরায় গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন তারেক রহমান-ফখরুল রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির

সংস্কার করা হচ্ছে দেশের জরাজীর্ণ খাদ্যগুদামগুলো

  • আপলোড সময় : ১৭-০৫-২০২৪ ০১:৩৭:৫৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৫-২০২৪ ০১:৩৭:৫৭ অপরাহ্ন
সংস্কার করা হচ্ছে দেশের জরাজীর্ণ খাদ্যগুদামগুলো সংস্কার করা হচ্ছে দেশের জরাজীর্ণ খাদ্যগুদামগুলো
দেশের পুরাতন, ক্ষতিগ্রস্ত ও জরাজীর্ণ খাদ্যগুদামগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছেতথ্য অনুযায়ী, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্যশস্য সংরক্ষণের জন্য বর্তমানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৪৭৬টি উপজেলায় ৬৩৩টি স্থানীয় সরবরাহ ডিপো (এলএসডি), বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে ১৩টি কেন্দ্রীয় সংরক্ষণাগার (সিএসডি), সমুদ্র ও নদী বন্দরকেন্দ্রিক ছয়টি সাইলো এবং বগুড়া জেলার সান্তাহারে একটি আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার (ওয়্যারহাউজ) আছেসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিগত পাঁচ বছরে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালন বাজেটে যে বরাদ্দ পাওয়া যায়, যা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুলএ পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত খাদ্যগুদাম এবং অন্যান্য স্থাপনার সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ প্রকল্পহাতে নেওয়া হয়৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবেযদিও এ প্রকল্পের জন্য ৬৪৫ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত খাদ্যগুদাম এবং অন্যান্য স্থাপনার সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে প্রতি বর্গমিটার সংস্কার ও মেরামতের জন্য ব্যয় প্রস্তাব করা হয় ৪৫ হাজার টাকাএর অর্ধেক খরচেই নতুন ভবন নির্মাণ করা হয় জানিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় এই ব্যয় প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়বলা হয়, সাধারণত নতুন ভবন নির্মাণ করতেই প্রতি বর্গমিটারের ২৫ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়এই ব্যয় প্রস্তাব অত্যাধিকসম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগে প্রকল্পটির প্রস্তাবের ওপর পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়সভা সূত্র বলছে, প্রকল্প গ্রহণের যৌক্তিকতা তুলে ধরে সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. সোহেলুর রহমান খান বলেন, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্যশস্য সংরক্ষণের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬৩৩টি স্থানীয় সরবরাহ ডিপো, ১৩টি কেন্দ্রীয় সংরক্ষণাগার, সমুদ্র ও নদীবন্দর কেন্দ্রিক ৬টি সাইলো এবং ১টি আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার রয়েছেসংরক্ষণাগারগুলোর সম্মিলিত ধারণক্ষমতা ২১ দশমিক ৮৬ লক্ষ মেট্রিক টনতবে, অধিকাংশ খাদ্যগুদাম অত্যন্ত পুরাতন ও জরাজীর্ণ হয়ে ধারণক্ষমতা হ্রাস পেয়েছেস্বল্পব্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এসব খাদ্যগুদাম এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক অবকাঠামো মেরামত ও সংস্কার করলে খাদ্যশস্য ধারণ ক্ষমতা সমুন্নত রাখাসহ সংরক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবেএমন প্রেক্ষাপটে ৪২৪টি খাদ্যগুদাম ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে সম্পূর্ণ জিওবি অনুদানে ৬৪৫ কোটি টাকা প্রাক্কলনে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়তবে, ৬৪৫ কোটি টাকা চাওয়া হলেও প্রকল্পটিতে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়সভায় বলা হয়েছে, বর্তমানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর (এমটিবিএফ) সিলিং অনুযায়ী প্রকল্পের চাহিদার চেয়ে বাজেট ঘাটতি ২ হাজার ৩৪২ কোটি টাকাচলমান প্রকল্পেই চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দেয়া যাচ্ছে না, তার ওপর এই প্রকল্পে কীভাবে বরাদ্দ পাবে তা নিয়েও সংশয় রয়েছেতাই প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩০টি গুদামের সংস্কার কাজ করতে হবেএ ছাড়া পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় গত ৫ বছরে যে সকল খাদ্যগুদাম সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে সে সকল স্থাপনা ফের সংস্কারের প্রস্তাবনা থেকে বাদ দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অনুবিভাগ) মো. মহসীন বলেন, দেশে অনেক জরাজীর্ণ খাদ্যগুদাম রয়েছেবিশেষ করে কক্সবাজার ও উপকূলীয় এলাকায় বিদ্যমান খাদ্যগুদামগুলোর অবস্থা আরও খারাপকারণ এসব এলাকার পানি লবণাক্তযেগুলো আছে সেগুলো সংস্কার করা জরুরিজলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কখন কী দুর্যোগ দেশে হানা দেয় তা বোঝা দায়এসব কারণে খাদ্যনিরাপত্তা বাড়ানো জরুরিখাদ্য ধারণক্ষমতা বাড়াতে হবেকোনো কারণে যদি একটা ফসল নষ্ট হয় তখন কী অবস্থা হবে একবার ভেবে দেখেনবন্যা-খরা-শিলাবৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হতে পারেআমরা পুরোনো খাদ্যগুদামগুলো সংস্কার করলে খাদ্যনিরাপত্তা বাড়বেপরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধান ছায়েদুজ্জামান বলেন, যে খাদ্যগুদামগুলো বেশি জরাজীর্ণ সেগুলো প্রকল্পের মাধ্যমে দ্রুত সংস্কারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছেদ্রুত বাস্তবায়নেই প্রকল্পের আকার ও ব্যয় কমানো হয়েছেএমটিবিএফের সিলিং থেকে চলমান প্রকল্পগুলোতেই তারা চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দিতে পারছে নাবেশি কাজ নিয়ে বরাদ্দ না পেয়ে ৭ থেকে ৮ বছরে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার চেয়ে কম কাজ নিয়ে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা ভালোকারণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে খাদ্য সংরক্ষণের সক্ষমতা বাড়াতে গুদামগুলো দ্রুত সংস্কার দরকারএদিকে আগের পিইসি সভায় ক্ষতিগ্রস্ত খাদ্যগুদাম ও অন্যান্য স্থাপনা মেরামত ও সংস্কার অংশ বাদ দিয়ে শুধু ১৬টি জরাজীর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত খাদ্যগুদাম এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য স্থাপনা পুনর্নির্মাণের লক্ষ্যে ডিপিপি পুনর্গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়কিন্তু খাদ্য মন্ত্রণালয় হতে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো ওই প্রকল্পের পুনর্গঠিত ডিপিপিতে ১৬টি খাদ্যগুদাম ও অন্যান্য স্থাপনা পুনর্নির্মাণের পরিবর্তে পুনরায় বিভিন্ন ধারণ ক্ষমতার খাদ্যগুদাম ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক অবকাঠামোর মেরামত ও সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছেঅর্থাৎ পিইসি সভার সিদ্ধান্তের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বর্তমানে পুনর্গঠিত ডিপিপিতে পুনর্নির্মাণ কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত না করে মেরামত ও সংস্কার কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছেএ প্রসঙ্গে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন সভায় অবহিত করে বলেন, দেশের সকল মানুষের জন্য সর্বদা খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম দায়িত্বজনসংখ্যা বৃদ্ধি ও খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে খাদ্য সংকট ও বিভিন্ন দুর্যোগের সময় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ভবিষ্যতে সরকারের অধিক পরিমাণে খাদ্য মজুত সক্ষমতার প্রয়োজন হবেএ লক্ষ্যে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দেশের সার্বিক মজুত সক্ষমতার লক্ষ্যমাত্রা ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৭ লাখ টন নির্ধারণ করা হয়েছেএমন প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রকল্পটির আওতা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনিউল্লেখ্য, দেশের খাদ্য সংরক্ষণাগারগুলোর সম্মিলিত ধারণক্ষমতা ২১ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টনঅধিকাংশ খাদ্যগুদাম পাঁচ-ছয় দশক আগে নির্মিতএসব স্থাপনা জরাজীর্ণ হয়ে ধীরে ধীরে কমছে ধারণক্ষমতাবিশেষ করে উপকূলীয় এলাকার গুদামগুলোর অবস্থা বেশি নাজুকবর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় খাদ্যনিরাপত্তা বাড়াতে জরাজীর্ণ খাদ্যগুদামগুলো সংস্কারের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স