ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫ , ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে-আলী রীয়াজ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বদলিতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন রাস্তায় অভিনেতাকে সিদ্দিককে গণপিটুনি কারিগরি শিক্ষার্থীরা যা শিখছেন, চাকরির বাজারে তার চাহিদা নেই -সিপিডি আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটের প্রস্তুতি চলছে : সিইসি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে গড়িমসি অপকর্ম বন্ধ করুন, নইলে বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে -নেতাকর্মীদের ফখরুল সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান বইপ্রেমী এক ডিসির গল্প গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোন ই-৮ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলেন ২৫ কর্মী পুলিশের জন্য ১৭২ কোটি টাকায় কেনা হবে ২০০ জিপ সামাজিক সুরক্ষায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাখ ২৪ হাজার উপকারভোগী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে লিপ্ত থাকার অভিযোগ গ্যাস খাতে বছরে আর্থিক ক্ষতি বিলিয়ন ডলার নতুন লুকে নজর কাড়লেন ব্লেক লাইভলি
ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির প্রতিবেদন

দুবাইয়ে ৫৩২ বাংলাদেশি বাড়ি-ফ্ল্যাটের মালিক

  • আপলোড সময় : ১৭-০৫-২০২৪ ০১:৩৯:২৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৫-২০২৪ ০১:৩৯:২৮ অপরাহ্ন
দুবাইয়ে ৫৩২ বাংলাদেশি বাড়ি-ফ্ল্যাটের মালিক দুবাইয়ে ৫৩২ বাংলাদেশি বাড়ি-ফ্ল্যাটের মালিক
সংযুক্ত আবর আমিরাতের দুবাইয়ে শতভাগ প্রস্তুত আবাসন সম্পদ কিনেছেন বা অপ্রস্তুত আবাসন সম্পদ কিনতে মনস্থ করছেন এমন বাংলাদেশির সংখ্যা ২০২২ সালে ছিল ৩৯৪ জন২০২২ সালে তারা মোট ২২ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের সম্পদ কিনেছেনসেবার বাংলাদেশিরা মোট ৬৪১টি সম্পদ কিনেছিলেনবিভিন্ন তথ্য ব্যবহার করে ওই প্রতিবেদনে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি তাদের ধারণার ভিত্তিতে জানিয়েছে, ২০২২ সালে সর্বমোট এ সংখ্যা হতে পারে ৫৩২ জনপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশিরা দুবাই শহরে প্রস্তুত ও অপ্রস্তুত সম্পদ কিনেছেন এমন বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ৪০৫ জন এবং তাদের কেনা সম্পদের মূল্য ছিল ২১ কোটি ১২ লাখ ডলার, ওই বছর বাংলাদেশিরা মোট ৬৫৭টি সম্পদ কিনেছিলেনইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি তাদের প্রতিবেদনে বিভিন্ন শ্রেণিতে এসব তথ্য প্রকাশ করেছেফাঁস হওয়া সম্পদ কেনার ঘটনার সঙ্গে ট্যাক্স অবজারভেটরি নিজেদের আনুমানিক হিসাবও দিয়েছে, যেখানে ফাঁস হওয়া ঘটনার সঙ্গে ফাঁস না হওয়া ঘটনাও আমলে নেওয়া হয়েছেতবে কারা এসব সম্পদ কিনেছেন, সেই তথ্য ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নিট্যাক্স অবজারভেটরির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২০২২ সালে যে ৫৩২ জন বাংলাদেশি আবাসন কিনেছেন, তাদের কেনা সম্পদের অর্থের মূল্য ছিল ৩৭ কোটি ৭৪ লাখ ডলার২০২০ সালে সে সংখ্যাটা ছিল ৫৬২ জন; অর্থের মূল্য ছিল ৩৭ কোটি ৫৩ লাখ ডলারঅর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্পদ কেনার হার কমলেও তার অর্থের মূল্য বেড়েছে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগপ্রত্যাশী নীতির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছেদেশটি আবাসন খাতে বিনিয়োগের জন্য অনেকটা দরজা খুলে বসে আছেদুবাই শহরে বিনিয়োগ করার সক্ষমতা থাকলেই তিনি সেখানে বাড়ি কিনতে পারেনএর বাইরে আর কিছু খোঁজে না আরব আমিরাতের কর্তৃপক্ষসে কারণে দুবাই এখন সাধারণ বহুজাতিক নয়, বরং তা বিদেশিদের শহর হয়ে গেছেপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন মিলিয়নের বেশি বা ৩০ লক্ষাধিক মানুষের দুবাই শহরে আমিরাতিরা চূড়ান্ত সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে, তারা এখন মাত্র ৮ শতাংশ
ট্যাক্স অবজারভেটরির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দুবাই শহরে বিদেশিদের মালিকানাধীন আবাসনের মূল্য ছিল ১২১ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ১০০ কোটি ডলার; ২০২০ সালে যা ছিল ৯৮ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৮০০ কোটি ডলারমূল্যের হিসাবে দুবাই শহরের আবাসন খাতের ৪৩ শতাংশই এখন বিদেশিদের দখলেপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ২০২২ ও ২০২৩ সালে দুবাই শহরে রুশ ধনীদের আবাসন খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে যথাক্রমে ৯৪০ ও ১ হাজার ৫০০ শতাংশএই সময় রুশ ধনীরা মোট ৬৩০ কোটি ডলারের প্রস্তুত ও অপ্রস্তুত সম্পদ কিনেছেন
রুশ নাগরিকদের সম্পদ কেনার হার বাড়লেও সামগ্রিকভাবে সম্পদের মূল্যের দিক থেকে সবার ওপরে আছেন ভারতীয়রা২০২২ ও ২০২০ উভয় বছরেই দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন যুক্তরাজ্যের নাগরিকেগণ২০২২ সালে তৃতীয় স্থানে ছিল সৌদি আরব; ২০২০ সালে ছিল পাকিস্তানএ ছাড়া ২০২২ সালে যেসব দেশের মানুষ শীর্ষ ১০ এ ছিলেন, সেগুলো হলো চীন, মিসর, জর্ডান, রাশিয়া, কানাডা, ইরান প্রভৃতি
সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ আবু জাফর বলেন, এই দেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের বিনিয়োগ নিয়ে অনেক আলোচনা আছে, সব ঠিক নাবাংলাদেশের নাগরিকেরা বিভিন্ন দেশে বসবাস করেনতাঁদের অনেকে অন্য দেশের পাসপোর্ট ও নাগরিকত্ব নিয়েছেনঅনেকেই দুবাইয়ে থাকার জন্য বাড়ি কিনছেনএটাকে অন্যভাবে দেখার সুযোগ নেই
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকের টাকা ও ঘুষের টাকায় আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের এসব সম্পদ গড়ে উঠেছেসেখানে বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক থাকায় তাঁদের আয় সহজেই কিনে নিয়েছে চক্রটিফলে দেশটি থেকে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা কমেছেএখনই তাদের খোঁজ করে ব্যবস্থা নিতে হবেনা হলে দেশের উন্নয়ন খেয়ে ফেলবে এসব চক্র

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ